History Of Java (James Gosling)

History Of Java

The Records Of Java May Be Very Exciting. Java Changed Into Firstly Designed For Interactive Tv, However, It Becomes Too Advanced Generation For The Virtual Cable Television Industry On The Time. The History Of Java Starts Off Evolved With The Green Group. Java Team Individuals (Also Known As Inexperienced Crew), Initiated This Assignment To Increase A Language For Virtual Gadgets Consisting Of Set-Top Boxes, Televisions, And Many Others. But, It Changed Into First-Class Proper For Internet Programming. Later, Java Era Became Included With The Aid Of Netscape. The Principles For Developing Java Programming Were “Easy, Strong, Transportable, Platform-Independent, Secured, High Performance, Multithreaded, Structure Impartial, Object-Oriented, Interpreted, And Dynamic”. Java Become Evolved With The Aid Of James Gosling, Who’s Known As The Father Of Java, In 1995. James Gosling And His Group Participants Started Out The Mission Within The Early ’90s. James Gosling – Founder Of Java

Currently, Java Is Utilized In Internet Programming, Mobile Devices, Games, E-Commercial Enterprise Answers, And Many Others. Following Are Given Vast Factors That Describe The History Of Java.

1) James Gosling, Mike Sheridan, And Patrick Naughton Initiated The Java Language Assignment In June 1991. The Small Team Of Solar Engineers is Referred To As an Inexperienced Crew.

2) First Of All It Was Designed For Small, Embedded Systems In Electronic Home Equipment Like Set-Pinnacle Boxes.

3) First Off, It Changed Into Referred To As “Greentalk” By James Gosling, And The Record Extension Was. Gt.

4) After That, It Turned Into Known As Alrightand Was Developed As A Part Of The Inexperienced Project.

Oak Tree Photos,

Why Java Became Named As “Oak”?

5) Why Oak? Very Wellis A Image Of Strength And was Chosen As A Countrywide Tree Of Many Countries Just Like The US., France, Germany, Romania, And So Forth.

6) In 1995, Alright was Renamed As “Java” Because It Become Already A Hallmark By Means Of O. K. Technologies.

 

Why is Java Programming Named “Java”?

7) Why Had They Selected The Call Java For Java Language? The Group Accumulated To Select A Brand-New Call. The Counselled Phrases Were “Dynamic”, “Revolutionary”, “Silk”, “Jolt”, “DNA”, And So Forth. They Wanted Something That Meditated The Essence Of The Generation: Revolutionary, Dynamic, Lively, Cool, Unique, Easy To Spell, And Amusing To Say.

According To James Gosling, “Java Become One Of The Pinnacle Selections Alongside Silk“. Given That Java Become So Precise, Maximum Of The Crew Contributors Desired Java more Than Other Names.

8) Java Is An Island In Indonesia Where The First Coffee Turned Into Produced (Known As Java Coffee). It’s Far A Sort Of Coffee Bean. Java Name Became Chosen By Way Of James Gosling, Even As Having A Cup Of Coffee Close By His Workplace. Nine) Be Aware That Java Is Just A Call, No Longer An Acronym.

10) To Begin With Advanced With The Aid Of James Gosling At Solar Microsystems (Which Is Now A Subsidiary Of Oracle Company) And Launched In 1995.

11) In 1995, Time Mag Referred To As Java as One Of The Ten High-Quality Products Of 1995.

12) JDK 1. 0 Changed Into Released On January 23, 1996. After The First Launch Of Java, There Had Been Many Extra Features Delivered To The Language. Now Java Is Being Utilized In Windows Applications, Net Applications, Corporation Programs, Mobile Applications, Cards, And Many Others. Each New Version Provides New Capabilities In Java.

দশম শ্রেণী : গণিত সমাধান | চক্রবৃদ্ধি সুদ : কষে দেখি -6.1

দশম শ্রেণী : গণিত সমাধান | চক্রবৃদ্ধি সুদ : কষে দেখি -6.1 | Compound Interest Solution |

মাধ্যমিক গণিত সমাধান কষে দেখি -6.1 ক্লাস ১০

অধ্যায় : চক্রবৃদ্ধি সুদ (Compound Interest)

চক্রবৃদ্ধি সুদ ক্লাস ১০

কষে দেখি -6.1 ক্লাস ১০ math

1.আমার কাছে 5000 টাকা আছে আমি ওই টাকা একটি ব্যাঙ্কে বার্ষিক 8.5 % চক্র বৃদ্ধি সুদ হারে জমা রাখলাম | 2 বছর শেষে সুদে আসলে মোট কতটাকা পাবে ?

2. 5000 টাকার বার্ষিক 5% চক্র বৃদ্ধি হারে 3 বছরের সমূল চক্র বৃদ্ধি সুদ কত হবে ?

3.গৌতম বাবু 2000 টাকা বার্ষিক 6% হার চক্র বৃদ্ধি সুদের হারে 2 বছরের জন্য ধার নিয়েছেন | 2 বছর পরে তিনি কত টাকা চক্রবৃদ্ধি সুদ দেবেন ?

4. 30000 টাকার বার্ষিক 9% চক্র বৃদ্ধি হারে 3 বছরের চক্র বৃদ্ধি সুদ কত হবে ?

5.বার্ষিক 5% হারে চক্র বৃদ্ধি হারে সুদে 80000 টাকার $\small 2 \frac{1}{2}$ বছরে সমূল চক্র বৃদ্ধি কত হবে ?

6. ছন্দা দেবীবার্ষিক 8% চক্রবৃদ্ধি সুদের হারে কিছু টাকা 2 বছরের জন্য ধার করেন | চক্র বৃদ্ধি সুদ 2496 টাকা হলে ছন্দা দেবী কত টাকা ধার করেছিলেন ?

7. বার্ষিক 10% চক্রবৃদ্ধির  হার সুদে কোন আসলের 3 বছরের চক্র বৃদ্ধি সুদ 2648 টাকা হবে তা হিসাব করে লেখো ।

8.রহমত চাচা বার্ষিক 9% হার চক্র বৃদ্ধি সুদে কিছু টাকা সমবায় ব্যাঙ্কে জমা রেখে 2 বছর পরে সুদে আসলে 29702.05 টাকা ফেরত পেলেন , রহমত চাচা কত টাকা সমবায় ব্যাঙ্কে জমা রেখেছিলেন ?

9.বার্ষিক 8% চক্র বৃদ্ধি হার সুদে কত টাকার 3 বছরের সমূল চক্র বৃদ্ধি সুদ 31492.80 টাকা হবে?

10. বার্ষিক 7.5%সুদের হারে 12000 টাকার 2বছরের চক্রবৃদ্ধিসুদ ও সরল সুদের অন্তর কত ? 

11.বার্ষিক 5% সুদের হারে 10000 টাকার 3 বছরের চক্রবৃদ্ধি সুদ ও সরল সুদের অন্তর কত?

12. বার্ষিক 9% সুদের হারে কিছু টাকার 2 বছরের চক্রবৃদ্ধি সুদ ও সরল সুদের অন্তর 129.60 টাকা হলে ওই টাকার পরিমাণ কত?

13. বার্ষিক 10% সুদের হারে কিছু টাকার 3 বছরের চক্র বৃদ্ধি সুদ ও সরল সুদের অন্তর 930 টাকা হলে ওই টাকার পরিমান কত ?

14.বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি সুদে যদি প্রথম বছর 7% এবং দ্বিতীয় বছর 8% হয়| তবে 6000 টাকার 2 বছরের সুদ হিসাব করি |

15. বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি সুদের হার যদি প্রথম বছর 5% এবং দ্বিতীয় বছর 6% হয় | তবে 5000 টাকার 2 বছরের সুদ হিসাব করি |

16. কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলধনের 1 বছরের সরল সুদ 50 টাকা এবং 2 বছরের চক্রবৃদ্ধি সুদ 102 টাকা হলে, মূলধনের পরিমান ও বার্ষিক সুদের হার হিসেব করে লেখো |

17. কোনো মূলধনের 2 বছরের সরল সুদ ও চক্রবৃদ্ধি সুদ যথাক্রমে 8400 টাকা এবং 8652 টাকা হলে মূলধন ও বার্ষিক সুদের হার হিসেব করে লেখো |

18. 6 মাস অন্তর দেয় বার্ষিক 8% চক্রবৃদ্ধি হার সুদে 6000 টাকার 1 বছরের চক্রবৃদ্ধি সুদ নির্ণয় করো |

19. 3 মাস অন্তর দেয় বার্ষিক 10% চক্রবৃদ্ধি হার সুদে 6250 টাকার 9 মাসের চক্রবৃদ্ধি সুদ নির্ণয় করো |

20. যদি 60000 টাকার 2 বছরের সমুল চক্রবৃদ্ধি 69984 টাকা হয়, তবে বার্ষিক সুদের হার কত হিসাব করে লেখো |

21. বার্ষিক 8% চক্রবৃদ্ধি হার সুদে কত বছরে 40000 টাকার সমুল চক্রবৃদ্ধি 46656 টাকা হবে, তা নির্ণয় করো |

22. শতকরা বার্ষিক কত চক্রবৃদ্ধি হার সুদে 10000 টাকার 2 বছরের সমুল চক্রবৃদ্ধি 12100 টাকা হবে, তা হিসেব করে লেখো |

23. বার্ষিক 10% চক্রবৃদ্ধি হার সুদে কত বছরে 50000 টাকার সমুল চক্রবৃদ্ধি 60500 টাকা হবে, তা নির্ণয় করো |

*24. বার্ষিক 10% চক্রবৃদ্ধি হার সুদে কত বছরের 300000 টাকার সমুল চক্রবৃদ্ধি 399300 টাকা হবে, তা হিসেব করে লেখো |

**25. সুদের পর্ব 6 মাস হলে বার্ষিক 10% চক্রবৃদ্ধি হার সুদে 1600 টাকার $\small 1\frac{1}{2}$ বছরের চক্রবৃদ্ধি সুদ ও সুদ-আসল নির্ণয় করো |

YOU ALSO MAY LIKE THIS POST:

  1. জীবন ও তার বৈচিত্র- ক্লাস ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর—–> Click here
  2. জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯——->Click Here
  3. গ্রহরুপে পৃথিবী- CLASS 9 SHORT Question
  4. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  5. জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ – Class 9
  6. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  7. পরিমাপ Question Answer Class 9
  8. Class 9 Geography Chapter 1 MCQ of Graharupa Prithibi
  9. গ্রহরুপে পৃথিবী -Class 9 Question Answer
  10. Class 10 Short Question Life Science Chapter-1
  11. Force and Speed class 9 Question Answer

 

 

 

 

বল ও গতি গাণিতিক উদাহরন প্রশ্ন উত্তর

বল ও গতি 

1. নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র থেকে একক বলের সংজ্ঞা দাও।

m ভরের কোনো বস্তুর ওপর F বল প্রয়োগ করা হলে যদি a ত্বরণ সৃষ্টি হয় তবে নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্রানুযায়ী, F = ma। এখন m = 13a = 1 হলে, F = 1.1 = 1 হয়। সুতরাং, একক ভরের বস্তুর ওপর যে পরিমাণ বল প্রয়োগের ফলে বস্তুটিতে একক ত্বরণ উৎপন্ন হয়, সেই মানের বলকে একক বল হিসেবে ধরা হয়।

2. CGS পদ্ধতি ও SI-তে বলের পরম এককের সংজ্ঞা লেখো ও একক দুটির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করো?

CGS পদ্ধতি ও SI-তে বলের পরম একক যথাক্রমে ডাইন (dyn) ও নিউটন (N)।

1 g ভরের কোনো বস্তুর ওপর যে বল প্রয়োগ করা হলে, বস্তুর 1 cm/s2 ত্বরণ সৃষ্টি হয় তাকে 1 dyn বলা হয়।

1 dyn 1g cm /s2

1 kg ভরের কোনো বস্তুর ওপর যে বল প্রয়োগ করা হলে, বস্তু

1 m/s2 ত্বরণ সৃষ্টি হয় তাকে 1 N বল বলা হয়।.

.: 1 N = 1 kg · m/s2

নিউটন (N) ও ডাইনের (dyn) মধ্যে সম্পর্ক—

1 N = 1 kg • m/s2

= 1000 g × 100 cm / s 2 = 105 dyn

রৈখিক ভরবেগের ধারণা থেকে, F = ma সমীকরণটি প্রতিষ্ঠা করো। যেখানে m হল বস্তুর ভর F হল প্রযুক্ত বল, এ হল বস্তুর ত্বরণ।

> ধরা যাক, m ভরের একটি বস্তু 1 বেগে গতিশীল। বস্তুর গতির অভিমুখে স্থির মানের F বল সময় ধরে ক্রিয়া করার ফলে বস্তুর বেগ হল v।

বস্তুর প্রাথমিক রৈখিক ভরবেগ = mu এবং t সময় পরে রৈখিক ভরবেগ =mv । t সময়ে বস্তুর রৈখিক ভরবেগের পরিবর্তন =mv-mu =m (v-u)

. : বস্তুর রৈখিক ভরবেগের পরিবর্তনের হার

m(v-u)/t = ma যেখানে, a = (v-u)/t বস্তুর ত্বরণ।

নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্রানুযায়ী,

F ∞ ma বা, F = Kma [K= ধ্রুবক] … (1)

যদি ধরে নেওয়া হয় যে, একক বল হল এমন বল যা একক ভরের বস্তুর ওপর প্রযুক্ত হলে একক ত্বরণ সৃষ্টি করে তাহলে, m = 1, a = 1 হলে F = 1 হবে।

.: (1) নং সমীকরণ থেকে পাওয়া যায়,

1 = K . 1 . 1 বা, K = 1 :. F= ma

এটিই স্থির ভরের ক্ষেত্রে নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্রের সমীকরণ।

কামান থেকে গোলা ছোড়ার সময় কামান পিছন দিকে কিছুটা হটে যায় কেন তা নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো ?

কামান থেকে গোলা ছুড়লে গোলা তীব্র বেগে সামনের দিকে ক্রিয়া ছুটে যায় এবং কামানটিও সঙ্গে সঙ্গে পিছু হটে। কামান গোলার ওপর যে বল প্রয়োগ করে তা যদি ক্রিয়া ধরা হয়, তাহলে গোলা এই ক্রিয়ার ফলে সামনের দিকে এগিয়ে যায় আবার গোলাও কামানের ওপর সমান ও যে বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া প্রয়োগ করে, তার ফলে কামান পিছু হটে।

কোনো আরোহী নৌকো থেকে তীরে লাফ দিলে নৌকোটি পিছনের দিকে সরে যায় কেন?

কোনো আরোহী নৌকো থেকে লাফ দেওয়ার সময় পা দিয়ে নৌকোর ওপর একটি বল প্রয়োগ করে, সেই বলের প্রভাবে নৌকো পিছিয়ে যায় এবং ওই মুহূর্তে নৌকোও আরোহীর ওপর সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে, যার প্রভাবে আরোহী তীরে পৌঁছোয়।

বায়ুশূন্য স্থানে পাখি উড়তে পারে না কেন?

আকাশে ওড়ার সময় পাখি ডানার সাহায্যে বায়ুর ওপর একটি বল প্রয়োগ করে এবং বায়ুও পাখির ওপর সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে। এই প্রতিক্রিয়া বলের প্রভাবে পাখি উড়তে পারে। বায়ুশূন্য স্থানে এইরূপ প্রতিক্রিয়া বলের উদ্ভব হয় না, তাই বায়ুশূন্য স্থানে পাখি উড়তে পারে না।

ঘাত (thrust) বলতে কী বোঝ ?

মনে করা যাক, এক ব্যক্তি মেঝের ওপর বসে আছে। ব্যাক্তির মেঝের ওপর নিজ ওজনের সমপরিমাণ বল নীচের দিকে প্রয়োগ করে, আবার মেঝেও ব্যক্তির ওপর সমান ও বিপরীতমুখী একটি প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে। এই ধরনের বলকে ঘাত বলা হয়। একটি বস্তুকে অপর কোনো বস্তুর ওপর রাখলে তারা পরস্পরের ওপর যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া প্রয়োগ করে তাকে ঘাত বলে ৷

ধাক্কা (push) বলতে কী বোঝ ?

একটি টেনিস বল নিয়ে দেয়ালের দিকে ছোড়া হল। টেনিস বলটি যখন দেয়াল স্পর্শ করল তখন টেনিস বলটি দেয়ালের ওপর একটি বল প্রয়োগ করে এবং দেয়ালও প্রতিক্রিয়াস্বরূপ টেনিস বলের ওপর সমান ও বিপরীতমুখী একটি বল প্রয়োগ করে, ফলস্বরূপ টেনিস বল ও দেয়াল পরস্পর থেকে দূরে সরে যেতে চায়, এই ধরনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে ধাক্কা বলা হয়।

দুটি বস্তুর সংস্পর্শে থাকা অবস্থায় যদি পারস্পরিক ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার ফলে বস্তুদ্বয় পরস্পর হতে দূরে সরে যেতে চায় তাহলে ওই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে ধাক্কা বলা হয়।

নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্রের সাহায্যে রৈখিক ভরবেগের সংরক্ষণ নীতিটি প্রতিষ্ঠা করো।

ধরা যাক m1 ও m2 ভরের দুটি বস্তু একই সরলরেখা বরাবর যথাক্রমে u1 ও u2 বেগে অগ্রসর হচ্ছে । u1 > u2 হলে বস্তুদ্বয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হবে। সংঘর্ষের পরে বস্তু দুটি ওই একই সরলরেখা বরাবর যথাক্রমে v1 V2 বেগে অগ্রসর হল। সংঘর্ষ চলাকালীন m1 ভরের বস্তু m2 ভরের বস্তুর ওপর যে বল প্রয়োগ করে তা হল F1 এবং m2 ভরের বস্তু m1ভরের বস্তুর ওপর যে বল প্রয়োগ করে তা হল F2 স্পষ্টতই F1 ও F2 হল ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া।

.. নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্রানুযায়ী, F1 = -F2 —-(1)

F1 বল, m2 ভরের বস্তুর ওপর প্রযুক্ত হয় ।

.: F1 = [t = সংঘাতের সময়কাল ]

আবার, F2 বল m1 ভরের বস্তুর ওপর প্রযুক্ত হয়।

:. F2 =

সুতরাং, (1) নং সমীকরণ থেকে পাওয়া যায়,

= –

বা, m2v2-m2u2 = -m1v1+m1u1

বা, m1u1+m2u2 = m1v1+m2v2

সুতরাং বাহ্যিক বল ক্রিয়া না করলে বস্তু দুটির সংঘর্ষের ফলে মোট রৈখিক ভরবেগ অপরিবর্তিত থাকে।

গাণিতিক উদাহরনঃ-

একটি কণা 10 m/s বেগে 1 min এবং 20 m/s বেগে 40s গেল। কণার গড় বেগ কত?

উত্তরঃ- কণাটি 10 m/s বেগে 1 min 60 s সময়ে যায়,

S1=10 x 60 = 600m

এরপর কণাটি 20 m/s বেগে 40s সময়ে যায়,

S2 = 20 × 40 = 800m

:. গড় বেগ, Va= =14 m/s

একটি গাড়ি যাত্রাপথের একটি গাড়ি যাত্রাপথের ! অংশ দূরত্ব 40 km/h দ্রুতিতে ও অংশ দূরত্ব 80 km/h দ্রুতিতে অতিক্রম করল। গাড়ির গড় দ্রুতি নির্ণয় করো।

উত্তরঃ- ধরা যাক, যাত্রাপথ s km

গাড়িটি km দুরত্ব, v1= 40 km/h দ্রুতিতে যায়।

এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সময়,t1=(s/4)/v1= S/(4 × 40)=s/160 h

এরপর গাড়িটি 3s/4 km দূরত্ব v2=80km/h দ্রুতিতে যায়।

: এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সময়,

t2=[(3s/4)/v2]=[3s/(4×80)]=3s/320 h

:. গাড়ির গড় দ্রুতি, va=s/(t1+t2)

বা, va =s/[(s/160)+(3s/320)]

বা, va=1/[(2+3)/320]

=320/5=64 km/h

একটি ট্রেন 100 km দীর্ঘ পথের প্রথম 30 km, 30 km/h সুষম দ্রুতিতে যায়। বাকি 70 km পথ ট্রেনটির দ্রুতি কত হলে সমগ্র পথের গড় দ্রুতি হবে 40 km/h ?

 একটি ট্রেন সমদ্রুতি ” নিয়ে দমদম থেকে নৈহাটি গেল এবং সমদ্রুতি নিয়ে নৈহাটি থেকে দমদম ফিরে এল। ট্রেনটির গড় দ্রুতি নির্ণয় করো।

একটি গাড়ি স্টার্ট নেওয়ার 10s পর 45km/h বেগ অর্জন করল। গাড়ির ত্বরণ নির্ণয় করো।

একটি ট্রেন ব্রেক কষার 10s পর থামল। ট্রেনের মন্দন 3m/s2 হলে, ব্রেক কষার মুহূর্তে ট্রেনের বেগ কত ছিল ?

10m/s বেগে গতিশীল একটি ট্রেন 2 m/s 2 ত্বরণ অর্জন করল। ট্রেনটি 10 s সময়ে কতটা দূরত্ব অতিক্রম করবে?

ট্রেনের প্রাথমিক বেগ (u) = 10 m/s,

ত্বরণ (a) = 2m / s2

একটি গাড়ির প্রাথমিক বেগ 10 m/s । গাড়িটি সমত্বরণে গতিশীল হয়ে 50 m দূরত্ব অতিক্রম করার পর বেগ হয় 12 m/s । গাড়ির ত্বরণ কত ?

একটি গাড়ি প্রথম x min -এy km এবং পরবর্তী y min-এ x km পথ যায়। গাড়ির গড় বেগ কত?

একটি ট্রেন 72 km/h বেগে চলছিল। ব্ৰেক কথার 40s পরে ট্রেনটি স্থির হল। ট্রেনটির মন্দন ও ব্রেক কষার পর অভিক্রান্ত দূরত্ব নির্ণয় করো।

You May Also Like this Content:

  1. জীবন ও তার বৈচিত্র- ক্লাস ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর—–> Click here
  2. জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯——->Click Here
  3. গ্রহরুপে পৃথিবী- CLASS 9 SHORT Question
  4. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  5. জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ – Class 9
  6. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  7. পরিমাপ Question Answer Class 9
  8. Class 9 Geography Chapter 1 MCQ of Graharupa Prithibi
  9. গ্রহরুপে পৃথিবী -Class 9 Question Answer
  10. Class 10 Short Question Life Science Chapter-1
  11. Force and Speed class 9 Question Answer

12. বল ও গতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর ও পার্থক্য লেখো

 

 

বল ও গতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

বল ও গতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন : লব্ধি বল কাকে বলে ?

কোনো বস্তুর ওপর ক্রিয়াশীল কতকগুলি বলের পরিবর্তে একটি বল ক্রিয়া করলে যদি ক্রিয়াশীল বলগুলির মতো একই ফল সৃষ্টি করে তবে তাকে ওই বলগুলির লব্ধি বল বলা হয়

প্রশ্ন : বস্তুর ওপর প্রযুক্ত বলের প্রভাব কী কী হতে পারে ?

বল প্রয়োগ করে—(i) স্থির বস্তুকে গতিশীল করা যায়, (ii) গতিশীল বস্তুর বেগের মান বা অভিমুখ বা উভয়ই পরিবর্তন করা যায়, (iii) গতিশীল বস্তুকে থামানো যায় অথবা (iv) বস্তুর আকার বা আকৃতির পরিবর্তন করা যায় ।

প্রশ্ন : প্রতিমিত বল (balanced force) কাকে বলে ?

→ কোনো বস্তুর ওপর একাধিক বল ক্রিয়া করলে যদি ক্রিয়াশীল বলগুলির লম্বি (resultant) শূন্য হয়, তাহলে ওই বলগুলিকে প্রতিমিত বল বলা হয় ।

প্রশ্ন : কার্যকর বল (effective force) বলতে কী বোঝ ? এর প্রভাবে বস্তুর কোন্ ধর্মের পরিবর্তন ঘটে ?

কোনো বস্তুর ওপর এক বা একাধিক বল ক্রিয়া করলে যদি ক্রিয়াশীল বলগুলির লম্বি (resultant) শূন্য না হয়, তাহলে ওই বলগুলিকে কার্যকর বল বলা হয় কার্যকর বলের প্রভাবে বস্তুর গতীয় ধর্মের (স্থিতি বা গতির পরিবর্তন ঘটে থাকে।

প্রশ্ন : অভ্যন্তরীণ বল ও বাহ্যিক বল কাকে বলে ? [1+1]

কোনো বস্তুর ওপর বল প্রযুক্ত হওয়ার সময় যদি বলের প্রয়োগকারী ওই সংস্থার অংশ বিশেষ হয় তাহলে প্রযুক্ত বল গতিবেগের পরিবর্তন করতে পারে না, গতিবেগের পরিবর্তনের শুধুমাত্র চেষ্টা করে, সেই বলকে অভ্যন্তরীণ বল বলা হয় ৷

কোনো বস্তুর ওপর বল প্রযুক্ত হওয়ার সময় যদি বলের প্রয়োগকারী ও বস্তু আলাদা সংস্থা হয় তাহলে প্রযুক্ত বল বস্তুর গতিবেগের পরিবর্তন করে বা গতিবেগের পরিবর্তনের চে করে। সেই বলকে বাহ্যিক বল বলে।

প্রশ্ন : কোনো বস্তুর অবস্থার পরিবর্তনের জন্য কোন্ বল দায়ী ? নিউটনের প্রথম গতিসূত্রের সাহায্যে উত্তর দাও।

— নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে এটা বোঝা যায় যে, কোনো বস্তুর স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থার পরিবর্তন একমাত্র বাহ্যিক কার্যকর বলের দ্বারাই সম্ভব। অভ্যন্তরীণ বল বা বাহ্যিক প্রতিমিত বলের দ্বারা সম্ভব নহে।

প্রশ্ন : নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে বলের ধারণা দাও।

নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে বলের যে সংজ্ঞা পাওয়া যায়। তা প্রকৃতিবাচক (qualitative)। কোনো বস্তুর ওপর বাহ্যিক কার্যকর বল প্রযুক্ত না হলে বস্তুর গতিবেগের কোনো পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ বস্তুর গতিবেগ শূন্য (স্থির বস্তু) বা কোনো নির্দিষ্ট মান (সমবেগসম্পন্ন) যাই হোক না কেন তা অপরিবর্তিত থাকে।

প্রশ্ন : নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে কী কী জানা যায়?

> নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে যে জিনিসগুলো জানা যায়—

(i) বস্তুর জাড্য ধর্ম, 

(ii) বলের প্রকৃতিগত সংজ্ঞা, 

(iii) বস্তুর গতিবেগ পরিবর্তন শুধুমাত্র বাহ্যিক অপ্রভিমিত বাসের দ্বারাই সম্ভব, অভ্যন্তরীণ বলের দ্বারা সম্ভব নয় ও

(iv) কোনো বস্তুর স্থিতিশীল ও সমবেগে গতিশীল অবস্থার মধ্যে যে একটা। অভিন্নতা আছে তার স্পষ্ট বিবৃতি।

প্রশ্ন : জাড্য কাকে বলে ? কয় প্রকার ও কী কী ? 

যে ধর্মের জন্য কোনো বস্তু, স্থিতিশীল বা গতিশীল যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, সেই অবস্থাতেই থাকতে চায় এবং সেই অবস্থার পরিবর্তনের প্রচেষ্টাকে বাধা দেয় তাকে জাড্য বলে। 

জাড্য দু-প্রকার—

(i) স্থিতিজাড্য ও 

(ii) গতিজাড্য।

প্রশ্ন: স্থিতিজাড্য ও গতিজাড্য কাকে বলে ?

কোনো স্থির বস্তুর, সর্বদা স্থির থাকতে চাওয়ার প্রবণতাকে স্থিতিজাড্য বলা হয় ৷

কোনো গতিশীল বস্তুর, সর্বদা সমবেগে সরলরেখা বরাবর গতিশীল থাকতে চাওয়ার প্রবণতাকে গতিজাড্য বলা হয় ৷

প্রশ্ন : স্থির বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে, বাসের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা পিছন দিকে হেলে যায় কেন?

একটি বাসের ভিতর কিছু যাত্রী দাঁড়িয়ে আছে। এবার বাসটি হঠাৎ করে চলতে শুরু করলে দেখা যায় যাত্রীরা পিছন দিকে হেলে যায়। এর কারণ হল গাড়ি যখন স্থির ছিল তখন যাত্রীরাও স্থির ছিল কিন্তু গাড়ি যখন হঠাৎ চলতে শুরু করল তখন যাত্রীদের নিম্নাংশ গাড়ির সংলগ্ন বলে গতিশীল হয় কিন্তু ঊর্ধ্বাংশ তখনও স্থিতিজাড্যের জন্য স্থির থাকতে চায় ও তাই যাত্রীরা পিছন দিকে হেলে যায়।

প্রশ্ন : একটি জলপূর্ণ বালতি হঠাৎ করে ঠেললে কী হবে ?

বালতিতে কানায় কানায় পূর্ণ জল নিয়ে বালতিকে হঠাৎ করে গতিশীল করলে বালতি থেকে কিছুটা জল পিছনের দিকে চলকিয়ে পড়ে। এর কারণ হল বালতির ওপর সামনের দিকে হঠাৎ বল প্রয়োগ করা হলে বালতি সামনের দিকে গতিশীল হয় কিন্তু বালতির জল তখনও স্থিতিজাড্যের জন্য স্থির থাকতে চায় তাই পিছন দিকে চলকিয়ে পড়ে।

প্রশ্ন : কম্বল থেকে ধুলো ঝাড়ার জন্য, কম্বলকে দড়ি থেকে ঝুলিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় কেন?

কম্বল থেকে ধুলো ঝাড়ার সময় কম্বলকে কোনো অবলম্বন থেকে ঝুলিয়ে সজোরে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এক্ষেত্রে দেখা যায় কম্বল থেকে ধুলো ঝরে পড়ছে। এর কারণ হিসেবে

বলা যায় কম্বলকে সজোরে আঘাত করার ফলে প্রযুক্ত বলের দিকে কম্বল গতিশীল হয়। কিন্তু কম্বলের গায়ে আলগাভাবে লেগে থাকা ধুলোবালি স্থিতিজাড্যের জন্য স্থির অবস্থায় থাকতে চায়। এর ফলস্বরূপ ধুলোবালি কম্বল থেকে পৃথক হয়ে ঝরে পড়ে।

প্রশ্ন : ঘূর্ণায়মান বৈদ্যুতিক পাখার সুইচ অফ করার পরেও কিছুক্ষণ ধরে পাখা ঘুরতে থাকে কেন ?

ঘূর্ণায়মান বৈদ্যুতিক পাখার সুইচ অফ করে দিলেও পাখাটি সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায় না। গতিজাড্যের জন্য সুইচ অফ করার পর আরও কয়েকবার ঘোরার পর থামে।

প্রশ্ন : দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী সীমারেখায় পৌঁছে থেমে যেতে পারে না কেন?

দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের লক্ষ্য থাকে সবার আগে সীমারেখা অতিক্রম করা। এই উদ্দেশ্যে সীমারেখা স্পর্শ করার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিযোগী কখনোই তার বেগ কমাতে চায় না। এখন, সীমারেখায় পৌঁছেই প্রতিযোগী যদি হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে পড়তে চায় তবে তার দেহের ঊর্ধ্বাংশ গতিজাড্য বজায় রাখার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। ফলে প্রতিযোগীর হুমড়ি খেয়ে সামনের দিকে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। পড়ে গিয়ে আঘাত থেকে বাঁচার জন্যই প্রতিযোগী সীমারেখায় ছেই থামতে চায় না, বরং ধীরে ধীরে তার বেগ কমিয়ে আনার আরও কিছুটা দৌড়ে তারপর থামে।

প্রশ্ন :নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র থেকে একক বলের সংজ্ঞা দাও।

m ভরের কোনো বস্তুর ওপর F বল প্রয়োগ করা হলে যদি a ত্বরণ সৃষ্টি হয় তবে নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্রানুযায়ী, F = ma। এখন m = 13 a = 1 হলে, F = 1 .1 = 1 হয়। সুতরাং, একক ভরের বস্তুর ওপর যে পরিমাণ বল প্রয়োগের ফলে বস্তুটিতে একক ত্বরণ উৎপন্ন হয়, সেই মানের বলকে একক বল হিসেবে ধরা হয় ।

প্রশ্ন : CGS পদ্ধতি ও SI-তে বলের পরম এককের সংজ্ঞা লেখো ও একক দুটির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করো ।

CGS পদ্ধতি ও SI-তে বলের পরম একক যথাক্রমে ডাইন (dyn) ও নিউটন (N)।

1 g ভরের কোনো বস্তুর ওপর যে বল প্রয়োগ করা হলে, বস্তুর 1 cm/s2 ত্বরণ সৃষ্টি হয় তাকে 1 dyn বলা হয়

.: 1 dyn 1g.cm/s²

1 kg ভরের কোনো বস্তুর ওপর যে বল প্রয়োগ করা হলে, বস্তুর 1 m/S2

ত্বরণ সৃষ্টি হয় তাকে I N বল বলা হয় ।

.: 1 N = 1 kg • m/S2

নিউটন (N) ও ডাইনের (dyn) মধ্যে সম্পর্ক—

1 N = 1 kg • m/S2= 1000 g × 100 cm /S2 = 105 dyn

প্রশ্ন : CGS পদ্ধতি ও SI-তে বলের অভিকর্ষীয় এককের সংজ্ঞা লেখো ও এককগুলির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরম এককের সম্পর্ক লেখো।

→ CGS পদ্ধতি ও SI-তে বলের অভিকর্ষীয় একক যথাক্রমে গ্রাম-ভার (g-wt) ও কেজি-ভার (kg-wt)।

1g ভরের কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা নিজ কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে তাকে 1 g-wt বলা হয় । অভিকর্ষজ ত্বরণ, g = 980 cm/sS2 হলে,

1 g-wt = 1 g x 980 cm/S2 = 980 dyn 1 kg ভরের কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা নিজ কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে তাকে 1 kg-wt বলা হয় । অভিকর্ষজ ত্বরণ, g = 9.8m/S2

 হলে,

1 kg-wt = 1 kg x 9.8 m/S2= 9.8 N

You May Also Like this Content:

You May Also Like this Content:

  1. জীবন ও তার বৈচিত্র- ক্লাস ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর—–> Click here
  2. জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯——->Click Here
  3. গ্রহরুপে পৃথিবী- CLASS 9 SHORT Question
  4. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  5. জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ – Class 9
  6. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  7. পরিমাপ Question Answer Class 9
  8. Class 9 Geography Chapter 1 MCQ of Graharupa Prithibi
  9. গ্রহরুপে পৃথিবী -Class 9 Question Answer
  10. Class 10 Short Question Life Science Chapter-1
  11. Force and Speed class 9 Question Answer

12. বল ও গতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর ও পার্থক্য লেখো

বল ও গতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর ও পার্থক্য লেখো

1.   স্থিতি বা গতি কাকে বলে?

কোনো বস্তু যদি পারিপার্শ্বিক বস্তুর সাপেক্ষে
সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে স্থান পরিবর্তন না করে, তাহলে ওই বস্তুকে স্থির বস্তু বলা
হয়। বস্তুর এই অবস্থাকে স্থিতি বলে । কোনো বস্তু যদি পারিপার্শ্বিক বস্তুর সাপেক্ষে
সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে স্থান পরিবর্তন করে, তাহলে ওই বস্তুকে গতিশীল বস্তু বলা হয়।
বস্তুর এই অবস্থাকে গতি বলে।

2.  সব স্থিতি বা গতিই আপেক্ষিক–ব্যাখ্যা করো।

আমাদের চারপাশে বাড়িঘর, গাছপালা সময়ের পরিবর্তনের-
সঙ্গে ভূপৃষ্ঠের সাপেক্ষে স্থান পরিবর্তন করে না, তাই এরা হল পৃথিবীপৃষ্ঠের সাপেক্ষে
স্থির বস্তু। কিন্তু পৃথিবী নিজেই সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে। অর্থাৎ ঘরবাড়ি, গাছপালা
ইত্যাদি পৃথিবীর সাপেক্ষে স্থির হলেও পরম স্থির নয়। আসলে মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুই
এইভাবে একে অপরের সাপেক্ষে গতিশীল। তাই প্রকৃতিতে পরম স্থিতি বলে কিছু নেই। যেহেতু
পরম স্থিতিশীল বস্তুর কোনো অস্তিত্ব নেই, তাই পরম গতিশীল বস্তু বলেও কিছু হয় না ।
অর্থাৎ সব স্থিতি বা গতিই আপেক্ষিক।

3.  বস্তুর গতি কয় প্রকার ও কী কী ?

বস্তুর গতি দুই প্রকার(i) চলন গতি এবং
(ii) ঘূর্ণন গতি ।

4.   চলন গতি কী? উদাহরণসহ বুঝিয়ে লেখো। [1+1]

কোনো বস্তু যদি সরলরেখা বরাবর চলে, তবে তার
গতিকে চলন গতি বলা হয়। এইধরনের কোনো গতিশীল বস্তুর ওপর অবস্থিত যে-কোনো দুটি বিন্দুর
সংযোজক সরলরেখা সর্বদা পরস্পরের সমান্তরাল থাকে।

5.  জেনে রাখোঃ

কোনো বস্তুর ভর একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত
ধরে নেওয়া হলে, ওই বিন্দুভরকে কণা বলা হয়। গতি-সংক্রান্ত আলোচনায় কোনো বিস্তৃত বস্তুকে
কণা হিসেবে বিবেচনা করা হলে গতি-সংক্রান্ত বিশ্লেষণ সহজ হয়

6.   ঘূর্ণন গতি বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।

কোনো বস্তু যদি নিজের কোনো অক্ষের সাপেক্ষে
ঘুরতে থাকে তাহলে বস্তুর গতিকে ঘূর্ণন গতি বলা হয়। চলন্ত বৈদ্যুতিক পাখার গতি হল ঘূর্ণন
গতি। আবার পৃথিবী যে নিজের অক্ষের ওপর লাট্টুর মতো দিনরাত পাক খেয়ে চলেছে, সেই আহ্নিক
গতিও হল পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি।

7.  মিশ্র গতি কাকে বলে? উদাহরণ দাও

কোনো বস্তু যদি এমনভাবে গতিশীল হয় যে, বস্তুর
গতি বিশুদ্ধ চলন গতি বা ঘূর্ণন গতি নয় কিন্তু উভয় গতির সমন্বয়, তাহলে বস্তুর এরূপ
গতিকে মিশ্র গতি বলা হয়।

কোনো গতিশীল গাড়ির চাকার গতি। গাড়ির চাকার
কেন্দ্রবিন্দুস্থ কণাটি ছাড়া সকল কণার গতি হল মিশ্র গতি।

8.  চলন গতি ও ঘূর্ণন গতির মধ্যে পার্থক্য লেখো ।

চলন গতি ও ঘূর্ণন গতির পার্থক্য

চলন গতি

ঘূর্ণন গতি

1. চলন গতির ক্ষেত্রে
বস্তুর মধ্যে অবস্থিত যে-কোনো দুটি বিন্দুর সংযোজক সরলরেখা সর্বদা সমান্তরাল থাকে।

1. ঘূর্ণন গতির ক্ষেত্রে
বস্তুর মধ্যে অবস্থিত যে-কোনো দুটি বিন্দুর সংযোজক সরলরেখা সমান্তরাল থাকে না।

2. চলন গতিতে প্রতিটি
কণার বেগের মান নির্দিষ্ট।

2. ঘূর্ণন গতির ক্ষেত্রে
ঘূর্ণাক্ষ থেকে দূরত্ব বাড়লে কোনো কণার বেগের মান বাড়ে ৷

9.
বৃত্তীয় গতি কাকে বলে ?

কোনো কণা যদি কোনো নির্দিষ্ট অক্ষ বা বিন্দুর
চারিদিকে বৃত্তপথে পরিভ্রমণ করে, তবে কণার গতিকে বৃত্তীয় গতি বলা হয়

10.  ঘূর্ণন তল ও ঘূর্ণাক্ষ বলতে কী বোঝ ?

কোনো কণা যখন কোনো নির্দিষ্ট অক্ষ বা বিন্দুর
চারিদিকে পরিভ্রমণ করে তখন ঘূর্ণনশীল অবস্থায় কণাটি যে বৃত্ত রচনা করে, সেই বৃত্তটি
যে সমতলে থাকে, তাকে ঘূর্ণন তল বলা হয় |

একটি কণা যখন বৃত্তপথে পরিভ্রমণ করে তখন,
বৃত্তপথের কেন্দ্রগামী ও ঘূর্ণন তলের ওপর লম্ব সরলরেখাকে ঘূর্ণাক্ষ বলে।

11.   পৃথিবীরআহ্নিক ও বার্ষিক গতি কী ধরনের গতি ?

 সূর্যের চারিদিকে পৃথিবী বৃত্তাকার পথে ঘুরছে ধরে নিলে [যদিও পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার] পৃথিবীর
বার্ষিক গতি হল বৃত্তীয় গতি। সূর্যের চারিদিকে পৃথিবী প্রদক্ষিণকালে নিজ অক্ষের সাপেক্ষে
আবর্তন করে যাকে আমরা আহ্নিক গতি বলি । এটি হল পৃথিবীর ঘূর্ণন।

12.  ঘূর্ণন গতি ও বৃত্তীয় গতির মধ্যে পার্থক্য কী? উদাহরণসহ বুঝিয়ে লেখো।

কোনো দৃঢ় বস্তু হল একাধিক কণার সমষ্টি। এরূপ
একটি দৃঢ় স্তু যদি নিজের কোনো নির্দিষ্ট অক্ষের সাপেক্ষে ঘুরতে থাকে, চবে তার গতিকে
ঘূর্ণন গতি (rotational motion) বলা হয়। এক্ষেত্রে দৃঢ় বস্তুটি নিজের অক্ষের সাপেক্ষে
স্থানান্তরিত না হয়ে কেবলমাত্র দিক-সজ্জা (orientation) পরিবর্তন করে। প্রসঙ্গত, যে
অক্ষের সাপেক্ষে বস্তুটির ঘূর্ণন হয় তাকে ঘূর্ণন অক্ষ(rotational axis) বলা হয় ৷

 

ফ্যানের ব্লেডের গতি হল ঘূর্ণন গতি। এক্ষেত্রে
ফ্যানের কেন্দ্রস্থিত অক্ষের সাপেক্ষে এর ব্লেডের ঘূর্ণন হয়। একইরকমভাবে মেঝের ওপর
একজায়গায় স্থির হয়ে লাট্টুর গতি, CD ড্রাইভে ডিস্কের গতি, পৃথিবীর আহ্নিক গতি (যার
জন্য দিনরাত্রি হয়) ইত্যাদি সবই ঘূর্ণন গতির উদাহরণ।

অপরদিকে বৃত্তাকার পথ বরাবর একটি কণার গতি
হল কণাটির বৃত্তীয় গতি (circular motion)। যেহেতু কণার আকার একটি বিন্দুর সমান, তাই
কণার নিজের অক্ষ থাকা সম্ভব নয় ৷ তাই কণার কখনোই ঘূর্ণন গতি হবে না ।

নিউক্লিয়াসের চারিদিকে বৃত্তপথে চলমান ইলেকট্রন
কণার গতিকে বৃত্তীয় গতি বলা হয়। আবার সূর্যের তুলনায় পৃথিবীকে বিন্দু হিসেবে মনে
করা হলে সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর প্রদক্ষিণ (যার জন্য ঋতু পরিবর্তন হয়) হল পৃথিবীর
বৃত্তীয় গতি

13. পর্যাবৃত্ত গতি বলতে কী বোঝ ? উদাহরণ দাও ।

কোনো বস্তু যদি নির্দিষ্ট সময় অন্তর একই
পথ বারবার অতিক্রম করে বা গতির পুনরাবৃত্তি করে, তবে বস্তুর গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলা
হয় ।

সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর গতি, ঘড়ির কাঁটার
গতি, সরল দোলকের গতি ইত্যাদি হল পর্যাবৃত্ত গতি।

14.  সরলরৈখিক দোলগতি কাকে বলে?

কোনো বস্তু (যদি একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর
বারবার একই সরলরেখা বরাবর যাওয়া আসা করে, তবে তার গতিকে সরলরৈখিক দোলগতি বলা
হয় ।

15. সরণ কাকে বলে ? সরণ কী রাশি?

কোনো নির্দিষ্ট দিকে কণার স্থান পরিবর্তনকে
সরণ বলা হয়। সরণ একটি ভেক্টর রাশি, কারণ সরণের মান ও অভিমুখ উভয়ই আছে।

16.  CGS পদ্ধতি ও SI-তে সরণের একক কী?

CGS পদ্ধতি ও SI-তে সরণের একক হল যথাক্রমে
সেন্টিমিটার (cm) ও মিটার (m)।

17.  সরণ ও অতিক্রান্ত দূরত্বের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

সরণ ও অতিক্রান্ত দূরত্বের মধ্যে পার্থক্য

সরণ

অতিক্রান্ত দূরত্বের

1. কোনো নির্দিষ্ট
দিকে কণার স্থান পরিবর্তনকে সরণ বলা হয় ।

1. সরল বা বক্রপথে
কোনো কণা যতটা পথ অতিক্রম করে, তাকে অতিক্রান্ত দূরত্ব বলা হয়।

2. সরণ ভেক্টর রাশি।

2. অতিক্রান্ত দূরত্ব
স্কেলার রাশি।

3. গতিশীল কণার সরণ
ধনাত্মক, শূন্য বা ঋণাত্মক হতে পারে।

3. গতিশীল কণার অতিক্রান্ত
দূরত্ব শূন্য বা ঋণাত্মক হয় না।

18.  কোনো কণার সরণ কি অতিক্রান্ত দূরত্বের চেয়ে বেশি
হতে পারে ?

কোনো গতিশীল কণার সরণ কখনও অতিক্রান্ত দূরত্বের
চেয়ে বেশি হতে পারে না। কণা যদি সরলরৈখিক পথে একটি বিন্দু থেকে অপর বিন্দুতে পৌঁছোয়
সেক্ষেত্রে সরণের মান অতিক্রান্ত দূরত্বের সমান হয় কিন্তু কণা বক্রপথে গতিশীল হলে
সরণের মান অতিক্রান্ত দূরত্বের চেয়ে কম হয়।

19. দ্রুতি কাকে বলে? দ্রুতি কী রাশি? CGS পদ্ধতি SI-তে দ্রুতির একক কী ?

কোনো গতিশীল কণা একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম
করে তাকে দ্রুতি বলে। দ্রুতির শুধু মান আছে অভিমুখ নেই, তাই দ্রুতি স্কেলার
রাশি।
CGS পদ্ধতি ও SI-তে দ্রুতির একক যথাক্রমে cm/s ও m/s

20. সমদ্রুতি ও অসমদ্রুতি কাকে বলে ?

কোনো গতিশীল কণা, যদি সমান সময়ের ব্যবধানে
সমান রত্ব অতিক্রম করে, তাহলে কণার দ্রুতিকে সমদ্রুতি বলা হয়। কোনো গতিশীল কণা, যদি
সমান সময়ের ব্যবধানে বিভিন্ন ব্রত্ব অতিক্রম করে, তাহলে কণার দ্রুতিকে অসমদ্রুতি
বলা হয়।

21. গড় দ্রুতি বলতে কী বোঝ ?

অসমদ্রুতিতে গতিশীল কণা কোনো নির্দিষ্ট সময়ে
যে দূরত্ব তিক্রম করে, সেই অতিক্রান্ত দূরত্ব ও সময়ের অবকাশের নুপাতকে গড় দ্রুতি
বলা হয়।

22. বেগ কাকে বলে? বে কী রাশি ?

সময়ের সাপেক্ষে কণার সরণের হারকে বেগ বলা হয় । বেগ ভেক্টর রাশি,
কারণ বেগের মান ও অভিমুখ দুই-ই আছে।

23.  বেগের মাত্রীয় সংকেত লেখো। CGS পদ্ধতিতে ও SI-তে
বেগের একক কী ?

বেগের মাত্রীয়
সংকেত হল LT-1 |

 CGS পদ্ধতি ও SI-তে বেগের একক যথাক্রমে cm/s ও m/s।

24. সমবেগ ও অসমবেগ কাকে বলে ?

কোনো কণার বেগের মান ও অভিমখ যদি সর্বদা অপরিবর্তিত
থাকে, তাহলে কণার বেগকে সমবেগ বলা হয়।

কোনো কণার বেগের মান বা অভিমুখ বা উভয়ের
যদি সময়ের সাপেক্ষে পরিবর্তন হয়, তাহলে কণার বেগকে অসমগে বলা হয়।

25. জেনে রাখো

 1 km/h = 5/18m/s বা 1 m/s 18/5 km/h

26. দ্রুতি ও বেগের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

দ্রুতি ও বেগের মধ্যে পার্থক্য

দ্রুতি

বেগে

1.. কোনো কণা একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম
করে তাকে দ্রুতি বলা হয়।

 

1. কোনো কণার সময়ের সাপেক্ষে সরণের হারকে
বেগ বলা হয়।

2.
দ্রুতি স্কেলার রাশি।

2. বেগ ভেক্টর রাশি।

3. সমদ্রুতিসম্পন্ন বস্তু,সমবেগ- সম্পন্ন
নাও হতে পারে।

3. সমবেগসম্পন্ন বস্তু, সমদ্রুতিসম্পন্ন হবেই

3.
সমবেগসম্পন্ন বস্তু, সমদ্রুতিসম্পন্ন হবেই ।

4. কোনো গতিশীল কণার
গড় বেগ শূন্য হতে পারে।

 

 

27.  সমদ্রুতিসম্পন্ন বস্তু, সমবেগসম্পন্ন নাও হতে পারেব্যাখ্যা
করো।

বক্রপথে গতিশীল
কোনো বস্তু সমান সময়ের অবকাশে সমান দূরত্ব অতিক্রম করলে বস্তুর গতি সমদ্রুতিসম্পন্ন।
বস্তুটি বক্রপথে গতিশীল হওয়ার জন্য প্রতিমুহূর্তে তার বেগের অভিমুখ পরিবর্তন হয় তাই
বস্তুর গতি সমবেগসম্পন্ন নয়। সুতরাং, অভিমুখ পরিবর্তন করে যদি কোনো বস্তু সমান সময়ের
অবকাশে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তাহলে বস্তু সমদ্রুতিসম্পন্ন হলেও সমবেগসম্পন্ন হয়
না

28. ত্বরণ বলতে কী বোঝ ?

কোনো গতিশীল কণার সময়ের সাপেক্ষে বেগ পরিবর্তনের
হারকে ত্বরণ বলা হয়।
ধরা যাক, সরলরেখা বরাবর গতিশীল কোনো কণার প্রাথমিক বেগ
= u এবং t সময় পরে বেগ = v । অতএব, ত্বরণের সংজ্ঞা অনুযায়ী কণাটির ত্বরণ, a =(v-u)/t
.

29. ত্বরণের মাত্রীয় সংকেত নির্ণয় করো। ত্বরণের মাত্রা কী ? CGS পদ্ধতি ও SI-তে ত্বরণের একক কী
?

ত্বরণের মাত্রীয় সংকেত = বেগের মাত্রীয়
সংকেত/ সময়ের মাত্রীয় সংকেত
= LT-1/T-1

ত্বরণের মাত্রা হল দৈর্ঘ্যে 1, সময়ে –2।

 

CGS পদ্ধতি ও SI-তে ত্বরণের একক হল যথাক্রমে
cm/s2 ও m/s2

30. সমত্বরণ ও অসমত্বরণ কাকে বলে ?

যদি কোনো গতিশীল কণার সমান সময়ের অবকাশে
বেগের একই পরিবর্তন হয়, তবে কণা সমত্বরণে গতিশীল বলা হয় ৷

যদি কোনো গতিশীল কণার সমান সময়ের অবকাশে
বেগের ং, বিভিন্ন পরিবর্তন হয়, তবে রুণা অসমত্বরণে গতিশীল বলা হয় ।

 

31. তাৎক্ষণিক ত্বরণ কাকে বলে?

কোনো গতিশীল কণার কোনো এক মুহূর্তে খুব ক্ষুদ্র
সময়ের অবকাশে বেগের যে পরিবর্তন হয়, সেই বেগের পরিবর্তন ও সময়ের অবকাশের অনুপাতের
সীমাস্থ মানকে ওই মুহূর্তে তাৎক্ষণিক ত্বরণ বলা হয় ৷

32. মন্দন হল ঋণাত্মক ত্বরণব্যাখ্যা করো।

কোনো গতিশীল কণার বেগ যদি সময়ের পরিবর্তনের
সঙ্গে হ্রাস পায় তাহলে কণার বেগ পরিবর্তনের হার বা ত্বরণ হয় ঋণাত্মক। এই ঋণাত্মক
ত্বরণকেই মন্দন বলা হয়। এক্ষেত্রে মন্দন ও বেগের অভিমুখ বিপরীত হয় ।

33.  ত্বরণের এককে ‘প্রতি সেকেন্ড’ দু-বার আসে কেন ?

ত্বরণের এককে সেকেন্ড কথাটি দু-বার ব্যবহৃত
হয়। একবার আসে বেগের পরিবর্তন বোঝাতে আর, একবার আসে বেগের পরিবর্তনের হার বোঝাতে।

34.  কোনো বস্তুকণার বেগ আছে কিন্তু ত্বরণ নেই- এটা হতে
পারে কি?

সমবেগে গতিশীল কণার ক্ষেত্রে বেগ আছে কিন্তু
ত্বরণ নেই, এটা হতে পারে। কোনো কণা স্থির থাকলে বা সমবেগে গতিশীল হলে ত্বরণহীন হয়।

35.  কোনো বস্তুর বেগ নেই কিন্তু ত্বরণ আছে এটা হতে পারে কি?

কোনো বস্তুর বেগ নেই কিন্তু ত্বরণ আছে, এটা
হতে পারে একটি বস্তুকে উল্লম্বভাবে ওপর দিকে ছুড়ে দিলে বস্তুটি সর্বোচ্চ উচ্চতায়
মুহূর্তের জন্য স্থির হয়। তখন বস্তুর বেগ শূন্য কিন্তু তখনও বস্তুর ত্বরণ থাকে, তা
হল অভিকর্ষজ ত্বরণ।

You May Also Like this Content:

  1. জীবন ও তার বৈচিত্র- ক্লাস ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর—–> Click here
  2. জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯——->Click Here
  3. গ্রহরুপে পৃথিবী- CLASS 9 SHORT Question
  4. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  5. জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ – Class 9
  6. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  7. পরিমাপ Question Answer Class 9
  8. Class 9 Geography Chapter 1 MCQ of Graharupa Prithibi
  9. গ্রহরুপে পৃথিবী -Class 9 Question Answer
  10. Class 10 Short Question Life Science Chapter-1
  11. Force and Speed class 9 Question Answer

Class 10 Life Science -জীবজগতের নিয়ন্ত্রন ও সমন্বয় 

জীবজগতের নিয়ন্ত্রন ও সমন্বয়

Class 10 Life Science Short Question Answer Chapter 1

1.   সংবেদনশীলতা ও সংবেদন বলতে কী বোঝ?

Ans.  সংবেদনশীলতা। জীবের যে-কোনো ধরনের পরিবর্তন শনাক্ত করে সেই অনুযায়ী সাড়াপ্রদানের ক্ষমতাকে     সংবেদনশীলতা ( sensitivity) বলে।

সংবেদন : চাপ, তাপ, আলো ইত্যাদি উদ্দীপকের উপস্থিতিতে জীবদেহে যে সকল অনুভূতির সৃষ্টি হয়, তাকে সংবেদন বলে।

2.   সাড়া কী?

Ans. সাড়া বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহে যে সকল পরিবর্তন ঘটে, তার বহিঃপ্রকাশকে সাড়া (response)বলে

3.  উদ্দীপক কী? উদাহরণ দাও।

Ans. উদ্দীপক যেসব বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ অবস্থা বা পদার্থ। জীবদেহে এক বিশেষ অনুভূতির সৃষ্টি করে জীবকে প্রতিক্রিয়া বা সাড়াপ্রদানে সক্ষম করে তোলে, তাকে উদ্দীপক বলে। উদাহরণ চাপ, তাপ, আলো, ক্ষুধা, তৃষ্বা ইত্যাদি।

4.  বাহ্যিক উদ্দীপক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

      Ans. বাহ্যিক উদ্দীপক : যেসব পদার্থ বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা জীবদেহের বাইরের থেকে জীবের ওপর প্রভাব বিস্তার করে তার মধ্যে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে, তাদের বাহ্যিক উদ্দীপক (external stimuli) বলে।

উদাহরণ:- আলো, চাপ, তাপ, বায়ু ইত্যাদি।

5.  অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans. অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক: জীবের দেহমধ্যস্থ যেসব বিশেষ অবস্থা জীবদেহের মধ্যে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে, তাদের অভ্যন্তরীণ বৃি উদ্দীপক (internal stimuli) বলে।

উদাহরণ:- ক্ষুধা, তৃয়া ইত্যাদি।

6.   উদ্ভিদের চলন বলতে কী বোঝ ?

Ans. উদ্ভিদের চলন যে প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ এক জায়গায় স্থির থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা পরিবেশের বিভিন্ন বাহ্যিক বা দেহস্থ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে দেহের কোনো অংশ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ  সঞ্চালন করে, তাকে উদ্ভিদের চলন বলে।

7.  উদ্ভিদ চলনের উদ্দেশ্যগুলি কী কী?

Ans. উদ্ভিদ চলনের উদ্দেশ্য :-

(i) উপযুক্ত পরিমাণ জল ও খনিজ লবণের খোঁজে উদ্ভিদের মূল মাটির গভীরে ক্রমাগত প্রবেশ করে অর্থাৎ হাইড্রোট্রপিক চলন দেখায়।

(ii) পর্যাপ্ত সূর্যালোক, বায়ু ইত্যাদির সন্ধানে কান্ড ও শাখাপ্রশাখার বিভিন্ন দিকে চলন ঘটে।

8.  উদ্ভিদের আবিষ্ট চলন কতপ্রকার ও কী কী?

Ans. উদ্ভিদের আবিষ্ট চলন তিনপ্রকার, যথা- (i) ট্যাকটিক চলন, (ii) ট্রপিক চলন ও (iii) ন্যাস্টিক চলন ।

9.  সামগ্রিক চলন কাকে বলে?

Ans. সামগ্রিক চলন:– যখন সমগ্র উদ্ভিদদেহ বা উদ্ভিদদেহের কোনো অংশ বা কোনো কোশ বা কোশের প্রোটোপ্লাজম উদ্দীপকের প্রভাবে বা উদ্দীপকের প্রভাব ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামগ্রিকভাবে একস্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়, তখন তাকে সামগ্রিক চলন বলে।

10. সামগ্রিক চলন কত প্রকার ও কী কী?

Ans. সামগ্রিক চলনের প্রকার : উদ্ভিদের সামগ্রিক চলন দুই প্রকার, যথা—(i) স্বতস্ফূর্ত সামগ্রিক চলন ও (ii) আবিষ্ট সামগ্রিক চলন বা ট্যাকটিক চলন।

11.  স্বতঃস্ফূর্ত সামগ্রিক চলন কাকে বলে?

Ans. স্বতঃস্ফূর্ত সামগ্রিক চলন : বাহ্যিক উদ্দীপকের ওপর নির্ভর না করে অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে সমগ্র উদ্ভিদদেহ বা উদ্ভিদ অঙ্গের যে সামগ্রিক চলন ঘটে, তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সামগ্রিক চলন বলে।

12.  ট্যাকটিক চলন বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।

Ans. ট্যাকটিক চলন : বহিস্থ উদ্দীপকের (আলো, তাপমাত্রা, জল) প্রভাবে সমগ্র উদ্ভিদদেহ বা উদ্ভিদ দেহাংশের যে সামগ্রিক চলন ঘটে, তাকে ট্যাকটিক চলন বলে।

*উদাহরণ :- ফার্নের শুক্রাণুর ম্যালিক অ্যাসিডের আকর্ষণে ডিম্বাণুর দিকে অগ্রসর হওয়া একপ্রকার ট্যাকটিক চলন।

 13.  বক্রচলন বলতে কী বোঝ?

Ans. বক্রচলন : স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে আভ্যন্তরীণ বুদ্ধিজনিত বা রসস্ফীতিজনিত কারণে উদ্ভিদ অঙ্গের যে চলন ঘটে এবং যার ফলে উদ্ভিদ অঙ্গ নানাভাবে বেঁকে যায়, তাকে বক্রচলন বলে।

  14. বক্রচলন কত প্রকার ও কী কী?

Ans. বক্রচলন প্রকারভেদ : বজ্রচলন দুই প্রকার। যথা- (i) স্বতঃস্ফূর্ত রক্ৰচলন ও (ii) আবিষ্ট বচলন।

  15. স্বতঃস্ফূর্ত বক্রচলন কী?

Ans. স্বতঃস্ফূর্ত রক্ৰচলন : বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাব ছাড়াই প্রোটোপ্লাজমের অন্তঃস্থ উদ্দীপক দ্বারা যে বক্রচলন সম্পন্ন হয়, তাকে স্বতঃস্ফূর্ত রক্ৰচলন বলে।

উদাহরণ : শিম, অপরাজিতা ইত্যাদি উদ্ভিদের বলন বা ন্যুটেশন।

16. আবিষ্ট বক্রচলন কী?

Ans. আবিষ্ট বক্রচলন : বাহ্যিক উদ্দীপকের (উদ্দীপকের গতিপথ বা তীব্রতা) প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের পরিণত অঞ্চলে যে বক্রচলন ঘটে, তাকে আবিষ্ট বক্রচলন বলে।

17. আবিষ্ট বচলন কত প্রকার ও কী কী ?

Ans. আবিষ্ট বজ্রচলনের প্রকারভেদ : আবিষ্ট বক্রচলন প্রধানত দু-ধরনের হয়। যথা-

(i) দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিক চলন এবং

(ii) ব্যাপ্তি চলন বা ন্যাস্টিক চলন।

18. দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিক চলন কাকে বলে?

Ans. দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিক চলন:- যে আবিষ্ট বক্রচলন বাহ্যিক উদ্দীপকের উৎস বা গতিপথ অনুসারে ঘটে, তাকে দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিক চলন বলে।

19. ট্রপিক চলন প্রধানত কত প্রকার ও কী কী?

Ans. ট্রপিক চলনের প্রকারভেদ: ট্রপিক চলন বা ট্রপিজম প্রধানত তিন প্রকারের হয়।

যথা- (i)      ফটোট্রপিক চলন বা ফটোট্রপিজম,

(ii)      জিওট্রপিক চলন বা জিওট্রপিজম ,

(iii)     হাইড্রোট্রপিক চলন বা হাইড্রোট্রপিজম।

20. ফটোট্রপিজম বা ফটোট্রপিক চলন কী? উদাহরণ দাও।

Ans. ফটোট্রপিজম বা ফটোট্রপিক চলন : উন্নত শ্রেণির উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের যে আবিষ্ট বক্রচলন আলোর উৎস বা গতিপথ অনুসারে হয়, তাকে ফটোট্রপিজম বা ফটোট্রপিক চলন বলে।

* উদাহরণ: উদ্ভিদের কাণ্ড ও শাখাপ্রশাখা সূর্যের আলোর দিকে বৃদ্ধি পাওয়া একটি ফটোট্রপিজম।

21. ফাটাটপিক চলন কত প্রকার ও কী কী?

Ans. ফটোট্রপিক চলনের প্রকারভেদ : ফটোট্রপিক চলন তিন প্রকার,

যথা— (i) পজিটিভ ফটোট্রপিক বা অনুকূল আলোকবর্তী চলন,

(ii)নেগেটিভ ফটোট্রপিক বা প্রতিকূল আলোকবর্তী চলন,

(iii) ডায়াফটোট্রপিক বা তির্যক আলোকবর্তী চলন।

22. অনুকূল আলোকবর্তী চলন কী? উদাহরণ দাও।

Ans. অনুকূল আলোকবর্তী চলন :- যে ট্রপিক চলনে উদ্ভিদ অঙ্গ আলোক উৎসের বা গতিপথের দিকে বৃদ্ধি পায়, তাকে অনুকূল আলোকবর্তী চলন বা পজিটিভ ফোটোট্রপিজম বলে।

·        উদাহরণ : উদ্ভিদের কাণ্ড ও শাখাপ্রশাখার আলোর দিকে বৃদ্ধি পাওয়া।

23. প্রতিকূল আলোকবর্তী চলন কী? উদাহরণ দাও।

Ans. প্রতিকূল আলোকবর্তী চলন : যে ট্রপিক চলনে উদ্ভিদ অঙ্গা আলোক উৎসের বা গতিপথের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়, তাকে প্রতিকূল আলোকবর্তী চলন বা নেগেটিভ ফোটোট্রপিজন বলে।

·        উদাহরণ : আলোক উৎসের বিপরীত দিকে মূলের বৃদ্ধি।

24.  তির্যক আলোকবর্তী চলন কী? উদাহরণ দাও।

Ans. তির্যক আলোকবর্তী চলন : যে ট্রপিক চলনে উদ্ভিদ অঙ্গ আলোকরশ্মির সঙ্গে তির্যকভাবে বৃদ্ধি পায়, তাকে তির্যক আলোকবর্তী চলন বলে।

·        উদাহরণ : আলোক রশ্মির সঙ্গে পাতার তির্যকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া।

25 হাইড্রোট্রপিজম কী? উদাহরণ দাও।

Ans. হাইড্রোট্রপিজম : উন্নত শ্রেণির উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের যে ট্রপিক চলন জলের উৎস বা গতিপথ অনুসারে হয়, তাকে হাইড্রোট্রপিজম বা হাইড্রোট্রপিক চলন বা জলবৃত্তিজ চলন বলে।

·         উদাহরণ : প্রধান মূলের জলের উৎসের দিকে বৃদ্ধি পাওয়া একটি হাইড্রোট্রপিজম।

26. অনুকূল জলবৃত্তিদ্ধ চলন বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।

Ans. অনুকূল জলবৃত্তিজ চলন : যে প্রকার জলবৃত্তিঙ্গ চলনে উদ্ভিদ অঙ্গের বৃদ্ধি জলের উৎসের অনুকূলে ঘটে, তাকে অনুকূল জলবৃত্তিঞ্জ চলন বা পজিটিভ হাইড্রোট্রপিজম বলে।

·        উদাহরণ : উদ্ভিদের মূল জলের উৎসের দিকে অগ্রসর হয়।

27. প্রতিকূল জলবৃত্তিজ চলন বলতে কী বোঝা ? উদাহরণ দাও। •

Ans. প্রতিকূল জলবৃত্তিঙ্গ চলন : যে প্রকার জলবৃত্তিদ্ধ চলনে উদ্ভিদ অঙ্গের বৃদ্ধি জলের উৎসের প্রতিকূলে ঘটে, তাকে প্রতিকূল জলবৃত্তিজ চলন বা নেগেটিভ হাইড্রেট্রপিজম বলে।

·        উদাহরণ : জলের উৎসের বিপরীতে কাণ্ডের বৃদ্ধি।

28 *জিওট্রপিজম কী? উদাহরণ দাও।

Ans. জিওট্রপিজম : যে ট্রপিক চলন অভিকর্ষ বলের গতিপথ অনুসারে ঘটে, তাকে জিওট্রপিজম বা জিওট্রপিক চলন বলে।

·        উদাহরণ : অভিকর্ষ বলের প্রভাবে উদ্ভিদের মূলের মাটির গভীরে প্রবেশ করা হল একটি জিওট্রপিজম।

29. জিওট্রপিক চলন বা অভিকর্ষবর্তী চলন কত প্রকার ও কী কী ?

Ans. পজিওট্রপিক চলন চার প্রকার-

(i)       অনুকূল অভিকর্ষবর্তী চলন,

(ii)      প্রতিকূল

(iii)    তির্যক অভিকর্ষবর্তী চলন

(iv)     ভায়াজিওট্রপিক চলন ।

30. অনুকূল অভিকর্ষবর্তী চলন বলতে কী বোঝা ?  উদাহরণ দাও।

Ans. পজিটিভ জিওট্রপিক বা অভিকর্ষবর্তী চলন:-  যে জিওট্রপিক চলনে উদ্ভিদ অন্য অভিকর্ষ বলের অনুকূলে বৃদ্ধি পায়, তাকে অনুকূল অভিকর্ষবর্তী চলন বা পজিটিভ জিওট্রপিজম বলে।

·        উদাহরণ : উদ্ভিদের প্রধান মূল অভিকর্ষ বলের অনুকূলে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে বৃদ্ধি পায়।

31.  প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তী চলন কী ?

Ans. নেগেটিভ জিওট্রপিক বা প্রতিকূল অতিকর্মবর্তী চলন যে জিওট্রপিক চলনে উদ্ভিদ অঙ্গ অভিকর্ষ বলের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়, তাকে প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তী চলন বা নেগেটিভ জিওট্রপিজম বলে।

·        উদাহরণ : কাণ্ড অভিকর্ষ বলের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়। গরান, গেওয়া প্রভৃতি লবণাম্বু উদ্ভিদের শ্বাসমূলে নেগেটিভ জিওট্রপিজম দেখা যায়।

32. তির্যক অভিকর্ষবর্তী চলন বলতে কী বোঝ?

Ans. তির্যক অভিকর্ষবর্তী চলন : যে অভিকর্ষবর্তী চলনে উদ্ভিদ অঙ্গ অভিকর্ষ বলের সঙ্গে তির্যকভাবে বৃদ্ধি পায়, তাকে তির্যক অভিকর্ষবর্তী চলন বলে।

·        উদাহরণ : উদ্ভিদের শাখামূলগুলি অভিকর্ষ বলের সঙ্গে তির্যকভাবে বৃদ্ধি পায়।

33. ডায়াজিওট্রপিক চলন কী?

Ans. ডায়াজিওট্রপিক : যে জিওট্রপিক চলনে উদ্ভিদ অঙ্গ অভিকর্ষ বলের সঙ্গে সমকোণে বৃদ্ধি পায়, তাকে ডায়াজিওট্রপিক চলন বা ডায়াজিওট্রপিজম বলে।

·          উদাহরণ : আদার গ্রন্থিকন্দের অনুভূমিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া।

34.   একটি টবের লম্বা সোজা একক বিটপযুক্ত উদ্ভিদকে ভূমির সমান্তরাল অবস্থায় সাত দিন রাখলে বিটপ অংশ বেঁকে ভূমির সঙ্গে লম্বভাবে অবস্থান করার কারণ কী?

Ans. ভূমির সঙ্গে বিটপের লম্বভাবে অবস্থানের কারণ : উদ্ভিদের বিটপ আলোক অনুকূলবর্তী ও অভিকর্ষ প্রতিকূলবর্তী অঙ্গ। উদ্ভিদের বিটপকে সাত দিন ভূমির সমান্তরালে রাখলে আলোক উৎসের দিকে বৃদ্ধি পাবার জন্য বিটপ বেঁকে ভূমির সঙ্গে লম্বভাবে অবস্থান করে।

35.   ন্যাস্টিক বা ব্যাপ্তি চলন কাকে বলে?

Ans. ন্যাস্টিক বা ব্যাপ্তি চলন : উন্নত শ্রেণির উদ্ভিদের যে আবিষ্ট বক্রচলন বাহ্যিক উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাকে ব্যাপ্তি চলন বা ন্যাস্টিক চলন বলে।

36. উদ্ভিদের ন্যাস্টিক চলন কত প্রকার ও কী কী?

Ans. ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ : ন্যাস্টিক চলন প্রধানত পাঁচ ধরনের হয়

যথা— (i) ফাটোন্যাস্টিক চলন,

(ii) থার্মোন্যাস্টিক চলন,

(iii) নিকটিন্যাস্টিক চলন,

(iv) সিসমোন্যাস্টিক চলন ও

(v) কেমোন্যাস্টিক চলন।

   37. থার্মোন্যাস্টিক চলন কী? উদাহরণ দাও।

Ans. থার্মোন্যাস্টিক চলন : যে ন্যাস্টিক চলন তাপমাত্রা বা উয়তার তীব্রতার দ্বারা ঘটে, তাকে থার্মোন্যাস্টিক চলন বলে।

·        উদাহরণ : টিউলিপ ফুলের পাপড়ি বেশি উয়তায় ফোটে আবার কম উয়তায় বন্ধ হয়ে যায়।

38.   ফটোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans.  ফটোন্যাস্টিক চলন : আলোক উদ্দীপকের তীব্রতার হ্রাস-বৃদ্ধির ফলে উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতিজনিত আবিষ্ট বক্রচলনকে ফটোন্যাস্টিক চলন বলে।

·         উদাহরণ:- সূর্যমুখী, পদ্ম প্রভৃতি ফুল দিনের বেলায় তীব্র আলোকের উপস্থিতিতে ফোটে এবং অন্ধকারে বন্ধ হয়ে যায়। আবার জুঁই, সন্ধ্যামালতী অন্ধকারে ফোটে এবং দিনের আলোয় বন্ধ হয়ে যায়।

39.   নিকটিন্যাস্টিক চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans.  আলো ও তাপমাত্রা উভয়ের তীব্রতা হ্রাস বৃদ্ধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতিজনিত আবিষ্ট বক্রচলনকে নিকটিন্যাস্টি বা নিকটিন্যাস্টিক চলন বলে।

·         উদাহরণ:- —প্রখর রোদে ও তীব্র নিকটিন্যাস্টিক চলন উন্নতায় তেঁতুল, কুয়চূড়া জাতীয় উদ্ভিদের পত্রকের উন্মোচন হয়। এইপ্রকার চলনকে নিদ্রা চলন (sleeping movement)-ও বলে।

40.   কেমোন্যাস্টিক চলন বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।

Ans. কেমোন্যাস্টিক চলন : রাসায়নিক পদার্থের (ইথার, ক্লোরোফর্ম, প্রোটিন) তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতিজনিত আবিষ্ট বক্র চলনকে কেমোন্যাস্টিক চলন বলে।

·        উদাহরণ : পতঙ্গের স্পর্শে সূর্যশিশিরের পত্ররোমের চলন একপ্রকারের কেমোন্যাস্টিক চলন। ডায়োনিয়ার পত্ররোমের চলন এক প্রকারের কেমোন্যাস্টিক চলন।

41.   সিসমোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans. সিসমোন্যাস্টিক চলন : স্পর্শ উদ্দীপনা বা আঘাতজনিত উদ্দীপনার (বায়ুপ্রবাহ, কম্পন, বৃষ্টির সময় জলবিন্দুর পতন) তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতিজনিত আবিষ্ট বক্রচলনকে সিসমোন্যাস্টিক চলন বলে।

·        উদাহরণ : লজ্জাবতীর পত্রকগুলি স্পর্শ করলে মুড়ে যায়।

42.   জলের ঢেউ বা বাতাসের টানে জলজ ভাসমান উদ্ভিদ একস্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হওয়াকে কী গমন বলা যায়? উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

Ans. জলের ঢেউ বা বাতাসের টানে জলজ ভাসমান উদ্ভিদের অন্যত্র গমন :- স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে সাড়া দিতে জীবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের দ্বারা স্থানান্তরকে গমন বলে। কিন্তু ঢেউ বা বাতাসের টানে জলজ ভাসমান উদ্ভিদ স্থানান্তরিত হলে তাকে গমন বলা যায় না, কারণ এক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে জলজ ভাসমান উদ্ভিদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের মাধ্যমে স্থান পরিবর্তন ঘটে না।

   43. থিগ্‌মোট্রপিজম বা হ্যাপ্‌টোট্রপিজম কাকে বলে?

Ans. থিগমোট্রপিজম বা হ্যাপ্‌টোট্রপিজম : উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন কোনো বস্তুর স্পর্শের প্রভাবে ঘটে, তাকে থিগ্‌মোট্রপিজম বা হ্যাপটোট্রপিজম বলে।

44.   প্রকরণ চলন কী?

Ans. প্রকরণ চলন উদ্ভিদকোশের রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য উদ্ভিদ অঙ্গের পরিণত অঞ্চলে যে স্বতঃস্ফূর্ত বচল দেখা যায়, তাকে প্রকরণ চলন বলে। 1

·        উদাহরণ : বনচাঁড়ালের পাতার ন ত্রিফলকের পার্শ্বপত্রকের পর্যায়ক্রমিক ওপর-নীচে ওঠানামা এই ধরনের চলন।

     45. প্রকরণ চলনকে রসস্ফীতিজনিত চলন বলার কারণ কী?

Ans. প্রকরণ চলনকে রসস্ফীতিজনিত চলন বলার কারণ : প্রকরণ চলন হল একপ্রকার বক্রচলন। এইপ্রকার চলনে উদ্ভিদের পাতার কোশে অভিস্রবণের কারণে রসস্ফীতজনিত চাপের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে, এই কারণে এইপ্রকার চলনকে রসস্ফীতিজনিত চলন বলে।

     46. চলন ছাড়া গমন সম্ভব নয় কেন?

Ans. চলন ছাড়া গমন সম্ভব নয় : একস্থানে আবদ্ধ থেকে জীবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনকে বলে চলন। অপরপক্ষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহের অপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালনের মাধ্যমে সামগ্রিক স্থান পরিবর্তনকে বলে গমন। অর্থাৎ গমনের জন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালনের প্রয়োজন হয় কিন্তু চলনে যেহেতু দেহের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না, সেইজন্য বলা যেতে পারে চলন ছাড়া গমন সম্ভব নয়।

YOU ALSO MAY LIKE THIS POST:

  1. জীবন ও তার বৈচিত্র- ক্লাস ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর—–> Click here
  2. জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯——->Click Here
  3. গ্রহরুপে পৃথিবী- CLASS 9 SHORT Question
  4. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  5. জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ – Class 9
  6. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  7. পরিমাপ Question Answer Class 9
  8. Class 9 Geography Chapter 1 MCQ of Graharupa Prithibi
  9. গ্রহরুপে পৃথিবী -Class 9 Question Answer
  10. Class 10 Short Question Life Science Chapter-1

 

 

 

 

Class 10 Short Question Life Science Chapter-1

Class 10 Life Science Chapter-1

Short Question Answer

  1. কে প্রথম প্রমাণ করেন যে, উদ্ভিদের প্রাণ আছে?

Ans. জগদীশচন্দ্র বসু।

  1. জগদীশচন্দ্র বসু কোন্ যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ভিদের দেহে প্রাণের উপস্থিতি প্রমাণে সমর্থ হন?

**অথবা, কে ক্রেস্কোগ্রাফ যন্ত্র আবিষ্কার করেন ?

Ans. ক্রেস্কোগ্রাফ নামক যন্ত্রের সাহায্যে জগদীশচন্দ্র বসু উদ্ভিদের দেহে প্রাণের উপস্থিতি প্রমাণ করেন

  1. প্রাণীর মতো উদ্ভিদদেহে ‘রিফ্লেক্স আর্ক’-এর অস্তিত্ব প্রমাণ করতে জগদীশচন্দ্র বসু কোন্ যন্ত্র ব্যবহার করেন?

Ans.  রেজোন্যান্ট রেকোর্ডার (Resonant Recorder) নামক যন্ত্র ব্যবহার করেন।

  1. বিভিন্ন উদ্দীপনায় উদ্ভিদদেহে উৎপন্ন সাড়া লেখচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করতে কোন্ কোন্ যন্ত্র ব্যবহৃত হয়?

Ans. প্লান্টফাইটোগ্রাফ এবং ফ্রেস্কোগ্রাফ যন্ত্র ব্যবহৃত হয়।

       5 .  কোন্ গাছের পাতা স্পর্শ করা মাত্রই পত্রকগুলি বুজে যায় ?

Ans. লজ্জাবতী উদ্ভিদ।

  1. প্রখর সূর্যালোকে কোন্ ফুলের পাপড়িগুলি উন্মুক্ত হয়?

Ans. টিউলিপ ফুল।

  1. ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে কোন প্রকার শৈবাল সূর্যের আলোর দিকে চলে যায়?

Ans . ক্ল্যামাইডোমোনাস।

       ৪. উদ্দীপক কী?

Ans.  বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ পরিবেশের যেসব পরিবর্তন জীবের দ্বারা শনাক্ত হয় ও জীবের সাড়াপ্রদানে সাহায্য              করে, তাদের উদ্দীপক বলে।

       9. উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা বলতে কী বোঝ?

Ans. বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে জীবের সাড়াপ্রদানের ক্ষমতাকে সংবেদনশীলতা বলে।

      10 . উদ্দীপক কত প্রকার ও কী কী?

Ans. উদ্দীপক দুই প্রকার। যথা—বাহ্যিক উদ্দীপক এবং অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক ।

  1. কয়েকটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের উদাহরণ দাও।

Ans. অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক হরমোন, ক্যালশিয়াম আয়ন (Ca2+)।

  1. কয়েকটি বাহ্যিক উদ্দীপকের উদাহরণ দাও। *

Ans. বাহ্যিক উদ্দীপক : আলো, উয়তা, অভিকর্ষ বল।

  1. উদ্ভিদের সাড়াপ্রদানের একটি মাধ্যম কী ?

Ans. চলন।

  1. উদ্ভিদ কীভাবে পরিবেশের পরিবর্তনে সাড়া দেয়?

Ans. উদ্ভিদ ধীর বৃদ্ধিজ চলন বা রসস্ফীতিজনিত চলনের মাধ্যমে সাড়া দেয়।

  1. লজ্জাবতী বা বনচাড়ালের পত্রকের চলন কোন্ কোশের রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য ঘটে থাকে?

Ans. উপাধান কোশের রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য বনচাড়াল বা লজ্জাবতীর পত্রকের চলন ঘটে।

  1. নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ থেকে (বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ) উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের অঙ্গপ্রতঙ্গ সঞ্চালনের পদ্ধতিকে কী বলে?

Ans.  নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ থেকে উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের পদ্ধতিকে চলন বলে।

  1. উদ্দীপকের প্রকৃতি অনুযায়ী উদ্ভিদের চলন কত প্রকার ও কী কী ?

Ans.  উদ্দীপকের প্রকৃতি অনুযায়ী উদ্ভিদের চলন প্রধানত দু-প্রকার। যথা—স্বতঃস্ফূর্ত চলন ও আবিষ্ট চলন।

  1. স্বতঃস্ফূর্ত চলন কী ধরনের উদ্দীপকের প্রভাবে ঘটে?

Ans. বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে স্বতঃস্ফূর্ত চলন ঘটে।

  1. আবিষ্ট চলন কী ধরনের উদ্দীপকের প্রভাবে ঘটে?

Ans. আলো, তাপ প্রভৃতি বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে আবিষ্ট চলন ঘটে।

  1. উয়তার তীব্রতা দ্বারা উদ্ভিদের ফুল ফোটা কী জাতীয় চলন?

Ans. থার্মোন্যাস্টিক চলন।

  1. অনুকূল জলবৃত্তিজ চলন কোথায় দেখা যায় ?

Ans. উদ্ভিদের মূলে।

  1. কোন্ উদ্ভিদের মূলে প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তী চলন দেখা যায় ?

অথবা, কোন্ উদ্ভিদের মূল অভিকর্ষের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়?

Ans.  লবণাম্বু উদ্ভিদের শ্বাসমূল।

  1. পত্ররন্দ্রের খোলা বা বন্ধ হওয়ার কোন প্রকারের চলন ?

Ans. ফোটোন্যাস্টিক চলন।

  1. উদ্ভিদের একটি আলোক তির্যকবর্তী অঙ্গের নাম লেখো।

Ans. পাতা।

  1. ‘বটের ঝুরি সোজা মাটির দিকে যায়’—এটা কী প্রকার চলন?

Ans. অনুকূল অভিকর্ষবর্তী চলন।

  1. সিসমোন্যাস্টিক চলনে কোটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে?

Ans. স্পর্শ ও আঘাত ।

  1.  প্রকরণ চলন কী কারণে ঘটে?

Ans. কোশের রসস্ফীতির তারতম্যের কারণে প্রকরণ চলন ঘটে।

28 . উদ্ভিদের মূলে কী জাতীয় অভিকর্ষবৃত্তি চলন দেখা যায়?

Ans.  অনুকূল অভিকর্ষবৃত্তি।

  1. ফটোন্যাস্টিক চলন কীসের প্রভাবে ঘটে?

Ans. আলোর তীব্রতা।

  1. উদ্ভিদের ফটোট্যাকটিক চলনের দুটি উদাহরণ দাও।

Ans. আলোক উৎসের দিকে ক্ল্যামাইডোমোনাস ও ভলভক্স চলন।

  1. ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলনের একটি উদাহরণ দাও।

Ans.  পদ্মফুলের পাপড়ি তীব্র আলোকে খুলে যায়, আবার কম আলোকে মুদে যায়। এটি একপ্রকারের ফটোন্যাস্টিক বা আলোক ব্যাপ্তিচলন।

  1. হেলিওট্রপিজম কী? *

Ans.  ফোটোট্রপিক চলনে আলোর উৎস সূর্য বলে ফটোট্রপিক চলনকে হেলিএট্রপিজম (হেলিও কথার অর্থ সূর্য) বলে।

  1. জৈবিক চলন বলতে কী বোঝ?

Ans. উদ্ভিদকোশের প্রোটোপ্লাজমের সক্রিয়তার দ্বারা সংঘটিত চলনকে জৈবিক চলন বলে।

  1. গমনে সক্ষম একটি ছত্রাকের নাম লেখো।

Ans. গমনে সক্ষম ছত্রাক হল মিক্সোমাইসিটিস।

  1. কোন প্রকার বক্রচলনে উদ্দীপক প্রয়োজন হয়?

Ans আবিষ্ট বক্রচলনে।

  1. আবিষ্ট বচলন কত প্রকার ও কী কী ?

Ans. আবিষ্ট চলন দুই প্রকার। যথা— ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন।

  1. পরাগমিলনের পর পরাগনালিকা ডিম্বাণুর দিকে থাকে—এটি কী ধরনের চলন?

Ans. এটি একপ্রকার কেমোট্রপিক চলন।

  1. কোনো রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে উদ্ভিদ অঙ্গের ন্যাস্টিক চলনকে কী বলে?

Ans.  কেমোন্যাস্টিক চলন

  1. একটি স্পর্শ যাপ্তি (সিসমোন্যাস্টি) চলনের উদাহরণ দাও।

Ans. স্পর্শ করলে লজ্জাবতীসহ কিছু উদ্ভিদের পাতা বুজে যায়- এটি সিসমোন্যাস্টিক চলন

  1. কী কারণে ফুল ফোটা ও ফোটা ফুল বন্ধ হয়?

Ans. ফুল ফোটা বা ফোটা ফুল বন্ধ হওয়া পুষ্পপত্রের কোশের রসস্ফীতির চাপের পার্থক্যের জন্য ঘটে।

  1. সংবেদনশীলতার একটি উদাহরণ দাও।

Ans লজ্জাবতী লতার পাতাকে স্পর্শ করলে পত্রকগুলি নুইয়ে পড়ে। এটি একপ্রকার সংবেদনশীলতা।

  1. কাণ্ডে কী কী প্রকারের ট্রপিক চলন দেখা যায়?

Ans. আলোক অনুকূলবর্তী, অভিকর্ষ প্রতিকূলবর্তী ও জল প্রতিকূলবর্তী ট্রপিক চলন দেখা যায়।

  1. একটি আলোক বির্তী উদ্ভিদ অঙ্গের নাম লেখো।

Ans. সমাঙ্ক পৃষ্ঠ পাতা।

  1. ফটোন্যাস্টিক চলনের একটি উদাহরণ দাও।

Ans. আলোর তীব্রতার ফলে সূর্যমুখীর দিক পরিবর্তন হয়। এটি একপ্রকার ফটোন্যাস্টিক চলন।

  1. মূলে কী কী প্রকারের ট্রপিক চলন দেখা যায়?

Ans. মূলে জল অনুকূলবর্তী, অভিকর্ষ অনুকূলবর্তী ও আলোক প্রতিকূলবর্তী ট্রপিক চলন দেখা যায়।

  1. শ্বাসমূলে কী কী প্রকারের ট্রপিক চলন দেখা যায়?

Ans. শ্বাসমূলে আলোক অনুকূলবর্তী, অভিকর্ষ প্রতিকূলবর্তী ও জল প্রতিকূলবর্তী ট্রপিক চলন দেখা যায়।

  1. উদ্ভিদের বিটপ সর্বদা অভিকর্ষ বলের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়—এটি কী জাতীয় চলন?

Ans.  প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তী চলন।

  1. কেমোন্যাস্টিক চলন দেখা যায় এমন একটি উদ্ভিদের নাম লেখো।

Ans. পতঙ্গভুক উদ্ভিদ, যেমন—সূর্যশিশির।

  1. উদ্ভিদের শাখাপ্রশাখা সূর্যালোকের পায়—এটা কী জাতীয় চলন?

Ans.  অনুকূল আলোকবর্তী চলন বা পজিটিভ ফটোট্রপিক চলন।

  1. কোন্ প্রকার চলনে সমগ্র উদ্ভিদদেহের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে?

Ans. ট্যাকটিক চলনে।

  1. ট্যাকটিক চলন দেখা যায় এমন একটি উদ্ভিদের নাম লেখো।

Ans. ক্ল্যামাইডোমোনাস/ভলভক্স নামক উদ্ভিদে ফোটোট্যাকটিক চলন দেখা যায়।

  1. মাটিতে আবদ্ধ উদ্ভিদ উদ্দীপকের প্রভাবে বা উদ্দীপক ছাড়াই নানাভাবে বেঁকে যায়, একে কী প্রকার চলন বলে?

Ans. বক্র চলন।

  1. যান্ত্রিক চলন বলতে কী বোঝ?

Ans. উদ্ভিদ অঙ্গের চলন ভৌত পদ্ধতিতে (ইমাবাইবিশন) হলে, তাকে যান্ত্রিক চলন বলে।

  1. বনচাড়ালের পাতার পার্শ্বপত্রকের চলন কী ধরনের চলনের উদাহরণ ?

Ans. প্রকরণ চলন।

  1. পতঙ্গভুক উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পতঙ্গদেহের প্রোটিনের সংস্পর্শে পত্রফাদের কর্ষিকাগুলিতে কী ধরনের চলন দেখা যায় ?

Ans. কেমোন্যাস্টিক চলন।

  1. উদ্ভিদের মূল জলের উৎসের দিকে অগ্রসর হয়, এটি কী প্রকার চলন?

Ans. হাইড্রোট্রপিক চলন ।

  1. উদ্ভিদের বিটপ বা কাণ্ডের শাখাপ্রশাখা আলোর উৎসের দিকে অগ্রসর হয়, এটি কী প্রকারের চলন?

Ans. ফটোট্রপিক চলন ।

  1. জগদীশচন্দ্র বসু-র লেখা একটি বই-এর নাম।

Ans. The Nervous Mechanism of Plants.

  1. স্বপ্ন সূর্যালোকে ফোটে এমন দুটি ফুলের নাম লেখো।

Ans. বেল, হাসনুহানা।

  1. পরাগনালিকার ডিম্বকের দিকের চলন কী প্রকার চলন?

Ans. কেমোট্রপিক চলন ।

  1. মসের শুক্রাণুর, ডিম্বাণুর দিকে চলন কী প্রকারের চলন?

Ans. এটি একপ্রকারের কেমোট্যাকটিক চলন।

YOU ALSO MAY LIKE THIS POST:

  1. জীবন ও তার বৈচিত্র- ক্লাস ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর—–> Click here
  2. জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯——->Click Here
  3. গ্রহরুপে পৃথিবী- CLASS 9 SHORT Question
  4. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  5. জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ – Class 9
  6. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  7. পরিমাপ Question Answer Class 9
  8. Class 9 Geography Chapter 1 MCQ of Graharupa Prithibi
  9. গ্রহরুপে পৃথিবী -Class 9 Question Answer