Class 10 Short Question Life Science Chapter-1

Class 10 Life Science Chapter-1

Short Question Answer

  1. কে প্রথম প্রমাণ করেন যে, উদ্ভিদের প্রাণ আছে?

Ans. জগদীশচন্দ্র বসু।

  1. জগদীশচন্দ্র বসু কোন্ যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ভিদের দেহে প্রাণের উপস্থিতি প্রমাণে সমর্থ হন?

**অথবা, কে ক্রেস্কোগ্রাফ যন্ত্র আবিষ্কার করেন ?

Ans. ক্রেস্কোগ্রাফ নামক যন্ত্রের সাহায্যে জগদীশচন্দ্র বসু উদ্ভিদের দেহে প্রাণের উপস্থিতি প্রমাণ করেন

  1. প্রাণীর মতো উদ্ভিদদেহে ‘রিফ্লেক্স আর্ক’-এর অস্তিত্ব প্রমাণ করতে জগদীশচন্দ্র বসু কোন্ যন্ত্র ব্যবহার করেন?

Ans.  রেজোন্যান্ট রেকোর্ডার (Resonant Recorder) নামক যন্ত্র ব্যবহার করেন।

  1. বিভিন্ন উদ্দীপনায় উদ্ভিদদেহে উৎপন্ন সাড়া লেখচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করতে কোন্ কোন্ যন্ত্র ব্যবহৃত হয়?

Ans. প্লান্টফাইটোগ্রাফ এবং ফ্রেস্কোগ্রাফ যন্ত্র ব্যবহৃত হয়।

       5 .  কোন্ গাছের পাতা স্পর্শ করা মাত্রই পত্রকগুলি বুজে যায় ?

Ans. লজ্জাবতী উদ্ভিদ।

  1. প্রখর সূর্যালোকে কোন্ ফুলের পাপড়িগুলি উন্মুক্ত হয়?

Ans. টিউলিপ ফুল।

  1. ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে কোন প্রকার শৈবাল সূর্যের আলোর দিকে চলে যায়?

Ans . ক্ল্যামাইডোমোনাস।

       ৪. উদ্দীপক কী?

Ans.  বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ পরিবেশের যেসব পরিবর্তন জীবের দ্বারা শনাক্ত হয় ও জীবের সাড়াপ্রদানে সাহায্য              করে, তাদের উদ্দীপক বলে।

       9. উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা বলতে কী বোঝ?

Ans. বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে জীবের সাড়াপ্রদানের ক্ষমতাকে সংবেদনশীলতা বলে।

      10 . উদ্দীপক কত প্রকার ও কী কী?

Ans. উদ্দীপক দুই প্রকার। যথা—বাহ্যিক উদ্দীপক এবং অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক ।

  1. কয়েকটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের উদাহরণ দাও।

Ans. অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক হরমোন, ক্যালশিয়াম আয়ন (Ca2+)।

  1. কয়েকটি বাহ্যিক উদ্দীপকের উদাহরণ দাও। *

Ans. বাহ্যিক উদ্দীপক : আলো, উয়তা, অভিকর্ষ বল।

  1. উদ্ভিদের সাড়াপ্রদানের একটি মাধ্যম কী ?

Ans. চলন।

  1. উদ্ভিদ কীভাবে পরিবেশের পরিবর্তনে সাড়া দেয়?

Ans. উদ্ভিদ ধীর বৃদ্ধিজ চলন বা রসস্ফীতিজনিত চলনের মাধ্যমে সাড়া দেয়।

  1. লজ্জাবতী বা বনচাড়ালের পত্রকের চলন কোন্ কোশের রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য ঘটে থাকে?

Ans. উপাধান কোশের রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য বনচাড়াল বা লজ্জাবতীর পত্রকের চলন ঘটে।

  1. নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ থেকে (বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ) উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের অঙ্গপ্রতঙ্গ সঞ্চালনের পদ্ধতিকে কী বলে?

Ans.  নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ থেকে উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের পদ্ধতিকে চলন বলে।

  1. উদ্দীপকের প্রকৃতি অনুযায়ী উদ্ভিদের চলন কত প্রকার ও কী কী ?

Ans.  উদ্দীপকের প্রকৃতি অনুযায়ী উদ্ভিদের চলন প্রধানত দু-প্রকার। যথা—স্বতঃস্ফূর্ত চলন ও আবিষ্ট চলন।

  1. স্বতঃস্ফূর্ত চলন কী ধরনের উদ্দীপকের প্রভাবে ঘটে?

Ans. বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে স্বতঃস্ফূর্ত চলন ঘটে।

  1. আবিষ্ট চলন কী ধরনের উদ্দীপকের প্রভাবে ঘটে?

Ans. আলো, তাপ প্রভৃতি বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে আবিষ্ট চলন ঘটে।

  1. উয়তার তীব্রতা দ্বারা উদ্ভিদের ফুল ফোটা কী জাতীয় চলন?

Ans. থার্মোন্যাস্টিক চলন।

  1. অনুকূল জলবৃত্তিজ চলন কোথায় দেখা যায় ?

Ans. উদ্ভিদের মূলে।

  1. কোন্ উদ্ভিদের মূলে প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তী চলন দেখা যায় ?

অথবা, কোন্ উদ্ভিদের মূল অভিকর্ষের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়?

Ans.  লবণাম্বু উদ্ভিদের শ্বাসমূল।

  1. পত্ররন্দ্রের খোলা বা বন্ধ হওয়ার কোন প্রকারের চলন ?

Ans. ফোটোন্যাস্টিক চলন।

  1. উদ্ভিদের একটি আলোক তির্যকবর্তী অঙ্গের নাম লেখো।

Ans. পাতা।

  1. ‘বটের ঝুরি সোজা মাটির দিকে যায়’—এটা কী প্রকার চলন?

Ans. অনুকূল অভিকর্ষবর্তী চলন।

  1. সিসমোন্যাস্টিক চলনে কোটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে?

Ans. স্পর্শ ও আঘাত ।

  1.  প্রকরণ চলন কী কারণে ঘটে?

Ans. কোশের রসস্ফীতির তারতম্যের কারণে প্রকরণ চলন ঘটে।

28 . উদ্ভিদের মূলে কী জাতীয় অভিকর্ষবৃত্তি চলন দেখা যায়?

Ans.  অনুকূল অভিকর্ষবৃত্তি।

  1. ফটোন্যাস্টিক চলন কীসের প্রভাবে ঘটে?

Ans. আলোর তীব্রতা।

  1. উদ্ভিদের ফটোট্যাকটিক চলনের দুটি উদাহরণ দাও।

Ans. আলোক উৎসের দিকে ক্ল্যামাইডোমোনাস ও ভলভক্স চলন।

  1. ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলনের একটি উদাহরণ দাও।

Ans.  পদ্মফুলের পাপড়ি তীব্র আলোকে খুলে যায়, আবার কম আলোকে মুদে যায়। এটি একপ্রকারের ফটোন্যাস্টিক বা আলোক ব্যাপ্তিচলন।

  1. হেলিওট্রপিজম কী? *

Ans.  ফোটোট্রপিক চলনে আলোর উৎস সূর্য বলে ফটোট্রপিক চলনকে হেলিএট্রপিজম (হেলিও কথার অর্থ সূর্য) বলে।

  1. জৈবিক চলন বলতে কী বোঝ?

Ans. উদ্ভিদকোশের প্রোটোপ্লাজমের সক্রিয়তার দ্বারা সংঘটিত চলনকে জৈবিক চলন বলে।

  1. গমনে সক্ষম একটি ছত্রাকের নাম লেখো।

Ans. গমনে সক্ষম ছত্রাক হল মিক্সোমাইসিটিস।

  1. কোন প্রকার বক্রচলনে উদ্দীপক প্রয়োজন হয়?

Ans আবিষ্ট বক্রচলনে।

  1. আবিষ্ট বচলন কত প্রকার ও কী কী ?

Ans. আবিষ্ট চলন দুই প্রকার। যথা— ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন।

  1. পরাগমিলনের পর পরাগনালিকা ডিম্বাণুর দিকে থাকে—এটি কী ধরনের চলন?

Ans. এটি একপ্রকার কেমোট্রপিক চলন।

  1. কোনো রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে উদ্ভিদ অঙ্গের ন্যাস্টিক চলনকে কী বলে?

Ans.  কেমোন্যাস্টিক চলন

  1. একটি স্পর্শ যাপ্তি (সিসমোন্যাস্টি) চলনের উদাহরণ দাও।

Ans. স্পর্শ করলে লজ্জাবতীসহ কিছু উদ্ভিদের পাতা বুজে যায়- এটি সিসমোন্যাস্টিক চলন

  1. কী কারণে ফুল ফোটা ও ফোটা ফুল বন্ধ হয়?

Ans. ফুল ফোটা বা ফোটা ফুল বন্ধ হওয়া পুষ্পপত্রের কোশের রসস্ফীতির চাপের পার্থক্যের জন্য ঘটে।

  1. সংবেদনশীলতার একটি উদাহরণ দাও।

Ans লজ্জাবতী লতার পাতাকে স্পর্শ করলে পত্রকগুলি নুইয়ে পড়ে। এটি একপ্রকার সংবেদনশীলতা।

  1. কাণ্ডে কী কী প্রকারের ট্রপিক চলন দেখা যায়?

Ans. আলোক অনুকূলবর্তী, অভিকর্ষ প্রতিকূলবর্তী ও জল প্রতিকূলবর্তী ট্রপিক চলন দেখা যায়।

  1. একটি আলোক বির্তী উদ্ভিদ অঙ্গের নাম লেখো।

Ans. সমাঙ্ক পৃষ্ঠ পাতা।

  1. ফটোন্যাস্টিক চলনের একটি উদাহরণ দাও।

Ans. আলোর তীব্রতার ফলে সূর্যমুখীর দিক পরিবর্তন হয়। এটি একপ্রকার ফটোন্যাস্টিক চলন।

  1. মূলে কী কী প্রকারের ট্রপিক চলন দেখা যায়?

Ans. মূলে জল অনুকূলবর্তী, অভিকর্ষ অনুকূলবর্তী ও আলোক প্রতিকূলবর্তী ট্রপিক চলন দেখা যায়।

  1. শ্বাসমূলে কী কী প্রকারের ট্রপিক চলন দেখা যায়?

Ans. শ্বাসমূলে আলোক অনুকূলবর্তী, অভিকর্ষ প্রতিকূলবর্তী ও জল প্রতিকূলবর্তী ট্রপিক চলন দেখা যায়।

  1. উদ্ভিদের বিটপ সর্বদা অভিকর্ষ বলের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়—এটি কী জাতীয় চলন?

Ans.  প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তী চলন।

  1. কেমোন্যাস্টিক চলন দেখা যায় এমন একটি উদ্ভিদের নাম লেখো।

Ans. পতঙ্গভুক উদ্ভিদ, যেমন—সূর্যশিশির।

  1. উদ্ভিদের শাখাপ্রশাখা সূর্যালোকের পায়—এটা কী জাতীয় চলন?

Ans.  অনুকূল আলোকবর্তী চলন বা পজিটিভ ফটোট্রপিক চলন।

  1. কোন্ প্রকার চলনে সমগ্র উদ্ভিদদেহের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে?

Ans. ট্যাকটিক চলনে।

  1. ট্যাকটিক চলন দেখা যায় এমন একটি উদ্ভিদের নাম লেখো।

Ans. ক্ল্যামাইডোমোনাস/ভলভক্স নামক উদ্ভিদে ফোটোট্যাকটিক চলন দেখা যায়।

  1. মাটিতে আবদ্ধ উদ্ভিদ উদ্দীপকের প্রভাবে বা উদ্দীপক ছাড়াই নানাভাবে বেঁকে যায়, একে কী প্রকার চলন বলে?

Ans. বক্র চলন।

  1. যান্ত্রিক চলন বলতে কী বোঝ?

Ans. উদ্ভিদ অঙ্গের চলন ভৌত পদ্ধতিতে (ইমাবাইবিশন) হলে, তাকে যান্ত্রিক চলন বলে।

  1. বনচাড়ালের পাতার পার্শ্বপত্রকের চলন কী ধরনের চলনের উদাহরণ ?

Ans. প্রকরণ চলন।

  1. পতঙ্গভুক উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পতঙ্গদেহের প্রোটিনের সংস্পর্শে পত্রফাদের কর্ষিকাগুলিতে কী ধরনের চলন দেখা যায় ?

Ans. কেমোন্যাস্টিক চলন।

  1. উদ্ভিদের মূল জলের উৎসের দিকে অগ্রসর হয়, এটি কী প্রকার চলন?

Ans. হাইড্রোট্রপিক চলন ।

  1. উদ্ভিদের বিটপ বা কাণ্ডের শাখাপ্রশাখা আলোর উৎসের দিকে অগ্রসর হয়, এটি কী প্রকারের চলন?

Ans. ফটোট্রপিক চলন ।

  1. জগদীশচন্দ্র বসু-র লেখা একটি বই-এর নাম।

Ans. The Nervous Mechanism of Plants.

  1. স্বপ্ন সূর্যালোকে ফোটে এমন দুটি ফুলের নাম লেখো।

Ans. বেল, হাসনুহানা।

  1. পরাগনালিকার ডিম্বকের দিকের চলন কী প্রকার চলন?

Ans. কেমোট্রপিক চলন ।

  1. মসের শুক্রাণুর, ডিম্বাণুর দিকে চলন কী প্রকারের চলন?

Ans. এটি একপ্রকারের কেমোট্যাকটিক চলন।

YOU ALSO MAY LIKE THIS POST:

  1. জীবন ও তার বৈচিত্র- ক্লাস ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর—–> Click here
  2. জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯——->Click Here
  3. গ্রহরুপে পৃথিবী- CLASS 9 SHORT Question
  4. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  5. জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ – Class 9
  6. পরিমাপ- ক্লাস ৯ প্রশ্ন উত্তর | Measure Class 9 Question Answer
  7. পরিমাপ Question Answer Class 9
  8. Class 9 Geography Chapter 1 MCQ of Graharupa Prithibi
  9. গ্রহরুপে পৃথিবী -Class 9 Question Answer

 

 

 

 

জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ – Class 9

জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ (MCQ)

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

 1. জীববিদ্যার যে শাখায়
বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াসমূহের বিষয়ে আলোচনা করা হয়

  1. সাইটোলজি
  2. ফিজিওলজি
  3. হিস্টোলজি
  4. ইকোলজি
উত্তরঃ ফিজিওলজি

2. জীববিদ্যার ছত্রাক বিষয়ক শাখাকে বলা হয়

  1. ফাইকোলজি 
  2. প্যারাসাইটোলজি 
  3. মাইকোলজি 
  4. মাইক্রোবায়োলজি
উত্তরঃ  মাইকোলজি 

3. ‘বায়োলজি’ শব্দের প্রবর্তক হলেন-

  1. ওপারিন
  2. ল্যামার্ক
  3. অ্যারিস্টটল
  4. লিনিয়াস
উত্তরঃ  ল্যামার্ক

 4. জীববিদ্যার যে শাখায় জীবদেহের নানাবিধ কলা ও কোশ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়, তা হল 

  1. সাইটোলজি
  2. হিস্টোলজি
  3. ফিজিওলজি
  4. সাইকোলজি
উত্তরঃ  হিস্টোলজি

5. জীববিদ্যার যে শাখায় জীবদেহের বিভিন্ন রোগের প্রকৃতি, লক্ষণ ও কারণ সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়, তা হল-

  1. ইকোলজি
  2. বায়োনিক্স
  3. হিস্টোলজি
  4. প্যাথোলজি
উত্তরঃ  প্যাথোলজি

6. জীববিদ্যার যে শাখায় জীবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়-

  1. কলাবিদ্যা
  2. রোগবিদ্যা
  3. বাস্তুবিদ্যা
  4. বিবর্তনীয় জীববিদ্যা
উত্তরঃ  বিবর্তনীয় জীববিদ্যা

7. জীববিদ্যার যে শাখায় স্তূণের গঠন ও বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তা হল-

  1. প্যালিয়ন্টোলজি 
  2. প্যাথোলজি
  3. এমব্রায়োলজি 
  4. ইকোলজি
উত্তরঃ  এমব্রায়োলজি 
 

৪. জীববিদ্যার যে শাখায় পরজীবী উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়, তা হল——

  1. প্যাথোলজি 
  2.  এমব্রায়োলজি 
  3. প্যালিয়ন্টোলজি 
  4. প্যারাসাইটোলজি 
উত্তরঃ  প্যারাসাইটোলজি 
 

 9. জীববিদ্যার যে শাখায় জীৱাশ্ম পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাগৈতিহাসিক জীৰ সম্বন্ধে  আলোচনা করা হয়, তা হল–

  1. এমব্রায়োলজি 
  2. প্যালিয়ন্টোলজি 
  3. প্যাথোলজি
  4. প্যারাসাইটোলজি
উত্তরঃ  প্যালিয়ন্টোলজি 

10. জীবজগতের শ্রেণিবিন্যাসের রীতিনীতি সম্পর্কে জীববিদ্যার যে শাখায় আলোচনা করা হয়, তা হল–

  1.  ট্যাক্সোনমি
  2. ইভোলিউশন
  3. এগ্রোনমি
  4. বায়োমেট্রি
উত্তরঃ  ট্যাক্সোনমি

11. রাশিশাস্ত্রের সঙ্গে জীববিদ্যার সম্পর্কিত শাখাটি হল বায়োমেট্রি

  1. বায়োনিক্স
  2. বায়োমেট্রি
  3. সাইবারনেটিক্
  4. বায়োফিজিক্স
উত্তরঃ  বায়োমেট্রি

12. জীববিদ্যা ও ইলেকট্রনিক্স-এর সমন্বয়ে গঠিত বিজ্ঞানের শাখাটি হল

  1.  বায়োমেট্রিক্স 
  2.  সাইবারনেটিক্স 
  3. বায়োনিক্স 
  4. বায়োফিজিক্স 
উত্তরঃ  বায়োনিক্স 

13. মহাকাশবিজ্ঞান ও জীববিদ্যার সহযোগে গঠিত বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা হল-

  1. স্পেস বায়োলজি 
  2.  বায়োজিওগ্রাফি
  3. সাইবারনেটিক্স
  4. বায়োনিক্স 
উত্তরঃ   স্পেস বায়োলজি 

14. ভূগোল, সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, পুরাতত্ত্ববিজ্ঞান ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত জীববিদ্যার শাখাটি হল

  1. অ্যানথ্রোপোলজি
  2. জিওলজি 
  3. জুলজি
  4. ফাইটোলজি
উত্তরঃ   অ্যানথ্রোপোলজি

15. গ্রিক শব্দ ‘বায়োস’ (bios) -এর অর্থ হল–

  1. জীবন
  2. জীব
  3. জীবজ
  4. জীবাণু
উত্তরঃ   জীবন

 

জীবন ও তার বৈচিত্র- ক্লাস ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী লেখো?

উত্তরঃ  

জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্যাবলিঃ

সজীব বস্তুর বহিঃপ্রকাশিত বৈশিষ্ট্যগুলিই ‘জীবন’রূপে চিহ্নিত হয়। এই সকল বৈশিষ্ট্য সজীব বস্তুকে জড়বস্তুর থেকে পৃথক করে। এখানে জীবনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হল—।

  1. প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিঃজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল জনন। প্রজননের মাধ্যমে কোনো জীব তার জীবনকালে নিজের মতো নতুন জীব সৃষ্টি করে বংশবৃদ্ধি ঘটায়। বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্ব বজায় থাকে।
  2. বিপাক: প্রতিটি জীবের বেঁচে থাকা ও বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপের জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়। শক্তি উৎপাদন ও শক্তি ব্যবহারের এই সমস্ত বিক্রিয়াগুলিকে একত্রে বিপাক বলে। যেমন—সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে শর্করাজাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে। সালোকসংশ্লেষ তাই সামগ্রিকভাবে একটি বিপাক পদ্ধতি।
  3. উত্তেজিতা: উত্তেজিতা জীবনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে জীবের সাড়া দেওয়াকে উত্তেজিতা বলা হয়। এই ধর্মের সাহায্যে জীবদেহে তাপ, চাপ, বেদনা প্রভৃতি অনুভূত হয়।যেমন—লজ্জাবতী লতার পাতা স্পর্শ করলে তা মুড়ে যায়।
  4. সংগঠন: প্রত্যেকটি জীবের দেহ একটি সুনির্দিষ্ট রীতিতে সংগঠিত হয়। সাধারণত কতকগুলি কোশ একত্রিত হয়ে কলা, কলা একত্রিত হয়ে অঙ্গ, অঙ্গ একত্রিত হয়ে তন্ত্র এবং অনেকগুলি তন্ত্র মিলে জীবদেহ গঠন করে।

       5. বদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ: জীবের আকার, আয়তন এবং শুষ্ক ওজন বেড়ে যাওয়াকে বৃদ্ধি বলে। স্থানীয় বৃদ্ধি জীবদেহের ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে।

2. পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি কীভাবে ঘটেছে তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।

অথবা, জীবনের উৎপত্তি সম্বন্ধে ওপারিন এবং হ্যালডেন মতবাদ লেখো।

উত্তরঃ  পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তির সংক্ষিপ্ত আলোচনাঃ

পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি বা জীবনের উৎপত্তি কীভাবে ঘটেছে, এই বিষয়ে নানা মতবাদ প্রচলিত আছে। আলেকজান্ডার ওপারিন 1924 খ্রিস্টাব্দে তাঁর ‘The Origin of Life on Earth’ নামক গ্রন্থে জীবনের উৎপত্তি-সংক্রান্ত প্রকল্পটি প্রণয়ণ করেন। পরবর্তীকালে জে বি. এস. হ্যালডেন (1928) প্রাণের উৎপত্তি-সংক্রান্ত একইরকম মতবাদ প্রকাশ করেন। এই দুই বিজ্ঞানীর প্রস্তাবিত জীবনের উৎপত্তি সংক্রান্ত তত্ত্বই বর্তমানে সর্বাপেক্ষা গ্রহণযোগ্য। এই তত্ত্বের নাম ‘জীবনের জৈবরাসায়নিক উৎপত্তির তত্ত্ব’ বা ‘অ্যাবায়োজেনেসিস তত্ত্ব’। জীবনের উৎপত্তির ওটি পর্যায় হল—

[1] পৃথিবীর উৎপত্তি ও তার প্রাচীন পরিবেশের ক্রমপরিবর্তন,

[2] জীবনের রাসায়নিক উৎপত্তি বা কেমোজেনি,

[3] প্রাণের জৈবিক বিবর্তন বা বায়োজেনি।

প্রাণের উৎপত্তির এই পর্যায়গুলি নীচে আলোচনা করা হল।

  1. পৃথিবীর উৎপত্তি ও তার প্রাচীন পরিবেশের ক্রমপরিবর্তন:প্রায় 5-6 বিলিয়ন বছর পূর্বে প্রচণ্ড এক বিস্ফোরণের মাধ্যমে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়। সৃষ্টির শুরুতে পৃথিবী ছিল এক উত্তপ্ত গ্যাসীয় পিণ্ড। কয়েকশো মিলিয়ন বছর ধরে গ্যাসগুলি ঘনীভূতহয় এবং বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত হয়। সেই সময়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা ছিল প্রায় 5000 – 6000°C। এই অতি উচ্চ তাপমাত্রায় বিভিন্ন গ্যাস, যেমন—হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, মিথেন ইত্যাদির স্বাধীনভাবে অবস্থান করা অসম্ভব ছিল। তাই মৌলগুলি পরস্পরের সাথে অথবা কোনো ধাতু বা অধাতুর সাথে যুক্ত হয়ে অবস্থান করত। এর ফলে পরিবেশে কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, জলীয় বাষ্প ইত্যাদি থাকলেও মুক্ত অক্সিজেন উপস্থিত ছিল না। পৃথিবীর পরিবেশ ছিল বিজারক প্রকৃতির। ক্রমশ জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত সুরু হয়। এই জলচক্রের আবির্ভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা হ্রাস পায় ও কঠিন উপাদানের উৎপত্তি ঘটে। বৃষ্টিপাতের ফলে জলরাশি সঙ্কিত হয়ে সমুদ্রের উৎপত্তি ঘটে।

 

  1. জীবনের রাসায়নিক উৎপত্তি বা কেমোজেনিঃ জীবন সৃষ্টির জন্য অপরিহার্য জৈব যৌগের উৎপত্তিকে বিজ্ঞানী ওপারিন ও হ্যালডেন কেমোজেনি বলে অভিহিত করেন। কেমোজেনির ধাপগুলি হল—

[A] সরল জৈব যৌগের উৎপত্তি: পৃথিবীর প্রাচীন পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে সাথে পৃথিবীর তাপমাত্রাও হ্রাস পেতে থাকে। পরিবেশে উপস্থিত বিভিন্ন যৌগগুলি (যেমন— হাইড্রোজেন, মিথেন, জলীয় বাষ্প) পরস্পর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তপ্ত বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে সরল জৈব যৌগ (যেমন—অ্যামিনো অ্যাসিড, সরল শর্করা, ফ্যাটি অ্যাসিড প্রভৃতি) গঠন করে। বজ্রবিদ্যুৎ, অতিবেগুনি রশ্মি, মহাজাগতিক রশ্মি এই বিক্রিয়ায় শক্তি জোগান দেয়।

[B] জটিল জৈব যৌগের উৎপত্তিঃ বিভিন্ন সরল যৌগগুলি ঘনীভবনের মাধ্যমে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, লিপিড, নিউক্লিক অ্যাসিড ইত্যাদির সৃষ্টি করে।

[C] কোয়াসারভেট-এর উৎপত্ত: আদিম পৃথিবীতে সমুদ্রের উত্তপ্ত জলে শর্করা, অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোটিন, লিপিড প্রভৃতি জৈব যৌগ যুক্ত হয়। বিজ্ঞানী হ্যালডেন একেই ‘তপ্ত লঘু স্যুপ’ (hot dilute soup) নামে অভিহিত করেন। এই তপ্ত লঘু স্যুপের জৈব যৌগগুলি পরস্পর সংযুক্ত হয়ে একপ্রকার বিভাজনে সক্ষম কোলয়েড গঠন করে। বিজ্ঞানী ওপারিন এর নাম দেন কোয়াসারভেট। ওপারিনের মতে কোয়াসারভেট অস্থায়ী আকৃতি ও আয়তনবিশিষ্ট গঠন। কিন্তু বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স-এর মতে দ্বি-লিপিড পর্দাবৃত বিভাজন ক্ষমতাসম্পন্ন যে যৌগ থেকে প্রাণের উৎপত্তি হয়, তা নির্দিষ্ট আকার ও আয়তনবিশিষ্ট। বিজ্ঞানী ফক্স এর নাম দেন মাইক্রোস্ফিয়ার

  1. প্রাণের জৈবিক বিবর্তন বা বায়োজেনিঃকোয়াসারভেটগুলি আদিম সমুদ্র থেকে নিউক্লিক অ্যাসিড, প্রোটিন ইত্যাদি শোষণ করে। একাধিক কোয়াসারভেট পরস্পর মিলিত হয়ে বিপাকীয় ধর্মযুক্ত প্রোটোৰায়ন্ট গঠন করে। প্রোটোবায়ন্টগুলি রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে জৈব যৌগ গঠন করে। জৈব যৌগযুক্ত, প্রতিলিপির মাধ্যমে জননে সক্ষম রূপান্তরিত প্রোটোবায়ন্টগুলিকে ইয়োবায়ন্ট বা প্রোটোসেল বলে। এই প্রোটোসেলগুলি হল পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রথম সঞ্জীব বস্তু। পরবর্তীকালে সাইটোপ্লাজমের উৎপত্তি হওয়ায় প্রোটোসেল থেকে আদি কোশ বা প্রোক্যারিওটিক কোশ সৃষ্টি হয়।

 3. জীববৈচিত্র্য কাকে বলে? জীববৈচিত্র্যের উৎস সম্বন্ধে আলোচনা করো?

উত্তরঃ  জীববৈচিত্র্য:

নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে উপস্থিত বিভিন্ন প্রকারের জীবের আকৃতি, গঠন ও প্রকৃতির বিভিন্নতার বৈচিত্র্যকে জীববৈচিত্র্য বলে।

জীববৈচিত্র্যের উৎসঃ

বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে বর্তমান মোট জীবিত প্রজাতির সংখ্যা সঠিকভাবে ধারণা করা বেশ কঠিন। এখনও পর্যন্ত প্রায় 1.9 মিলিয়ন প্রজাতির সম্বন্ধে জানা গেছে। এর মধ্যে, বিভিন্ন অণুজীব, ছত্রাক, পতঙ্গ, গৃহপালিত পশুপাখি অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ এদের প্রকৃত সংখ্যা সম্বন্ধে ধারণা করা কঠিন। বিজ্ঞানী টেরি আরউইন (1982)-এর মতে পৃথিবীতে উপস্থিত মোট প্রজাতির সংখ্যা প্রায় 30 মিলিয়ন। জীবনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল জনন। এর মাধ্যমে জনিতৃ জীব থেকে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়। প্রত্যেক সজীব বস্তুই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের নিরিখে একে অপরের থেকে কিছুটা হলেও ভিন্ন হয়। এই ভিন্নতার জন্য দায়ী হল জীবকোশে উপস্থিত বংশগতীয় বস্তু বা জিন। এই জিনগত বৈচিত্র্য বা বিভিন্নতার ফলে একই প্রজাতিভুক্ত বিভিন্ন জীবে কিংবা এক প্রজাতির সঙ্গে অন্য প্রজাতির মধ্যে ভিন্নতা দেখা যায়। এই জিনগত বৈচিত্র্য সম্ভব হয় জিনের গঠনগত পরিবর্তন বা পরিব্যক্তির মাধ্যমে, যার ফলে প্রকরণ দেখা যায়। এই প্রকরণগুলির জীবের এক জনু থেকে অপর জনুতে স্থানান্তরণ ঘটে। প্রকরণের উপস্থিতির দ্বারাই জীব নিজেদের পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে অভিযোজিত করে। যার ফলে, জীবের প্রাকৃতিক নির্বাচন ঘটে। এর ফলে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয় অর্থাৎ, জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি পায়। এর থেকে বলা যায় যে প্রকরণ হল জীববৈচিত্র্যের উৎস।

4. প্রকরণের বিভিন্ন প্রকারভেদ ও তাদের গুরুত্ব উল্লেখ করো?

উত্তরঃ  প্রকরণের প্রকারভেদঃ

কোনো জীব প্রজাতির অন্তর্গত একটি জীব থেকে অন্য জীবের বাহ্যিক গঠনগত পার্থক্যকে প্রকরণ বলে। প্রকরণ প্রধানত দুই প্রকার—

[1] অবিচ্ছিন্ন প্রকরণ এবং 

[2] বিচ্ছিন্ন প্রকরণ। 

[1] অবিচ্ছিন্ন প্রকরণ (Continuous variation) : একটি নির্দিষ্ট জীবগোষ্ঠীর বিভিন্ন জীবের মধ্যে যে ছোটো ছোটো ও ক্রমিক গুণগত পার্থক্য দেখা যায়, তাকে অবিচ্ছিন্ন প্রকরণ বলে। অবিচ্ছিন্ন প্রকরণের ফলে জিনগত বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয়।

>> উদাহরণ: দুটি মানুষের উচ্চতা, গায়ের রং, পায়ের দৈর্ঘ্য এগুলি সমান হয় না। তাই এগুলি অবিচ্ছিন্ন প্রকরণ।

>> গুরুত্ব: অবিচ্ছিন্ন প্রকরণ একই প্রজাতির বিভিন্ন জীবের মধ্যে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। এই বৈচিত্র্যগুলির মধ্যে যেগুলির প্রাকৃতিক নির্বাচন ঘটে, সেই বৈচিত্র্যগুলিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়।

 

[2]বিচ্ছিন্ন প্রকরণ (Discontinuous variation): কোনো নির্দিষ্ট জীবগোষ্ঠীর মধ্যে হঠাৎ কোনো বড়ো গঠন বিচ্যুতি দেখা দিলে, তাকে বিচ্ছিন্ন প্রকরণ বলে। বিচ্ছিন্ন প্রকরণের ফলে প্রজাতি বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়।

>> উদাহরণঃ মানুষের হাতে বা পায়ে চটি আঙুল। এটি হল বিচ্ছিন্ন প্রকরণের উদাহরণ।

>> গুরুত্ব: মিউটেশন বা পরিব্যক্তি হল বিচ্ছিন্ন প্রকরণ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। পরিব্যক্তির ফলে দ্রুত নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয় অর্থাৎ, জীবের প্রজাতি বৈচিত্র্য সৃষ্টির অন্যতম কারণ হল বিচ্ছিন্ন প্রকরণ।

5. অবিচ্ছিন্ন ও বিচ্ছিন্ন প্রকরণের কারণগুলি উল্লেখ করো?

উত্তরঃ  অবিচ্ছিন্ন প্রকরণ সৃষ্টির মূল কারণগুলি হল— 

[1] ক্রোমোজোমের স্বাধীন সারণ এবং 

[2] জিনের ক্রসিং ওভার। 

[1] ক্রোমোজোমের স্বাধীন সঞ্চারণ: মিয়োসিস কোশ বিভাজনের সময়ে অ্যানাফেজ-1 ও অ্যানোফেজ দশায় পিতা – মাতার যে-কোনো ক্রোমোজোম স্বাধীনভাবে সারিত হয়। এর ফলে নতুন নতুন বৈচিত্র্য সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।

[2 ] জিনের ক্রসিং ওভারঃ মিয়োসিস কোশ বিভাজনের সময়ে দুটি জিনের অ্যালিলের মধ্যে ক্রসিং ওভার (বা আদনপ্রদান ঘটে। এর ফলে নতুন জিন সমন্বয় তথা জিন বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়।

 

·  বিচ্ছিন্ন প্রকরণের মূল কারণ:

বিচ্ছিন্ন প্রকরণের মূল কারণ হল পরিব্যক্তি বা মিউটেশন। জিনের গঠনগত পরিবর্তন, ক্রোমোজোমের সংখ্যার পরিবর্তন ইত ফলে মিউটেশন বা পরিব্যক্তির সৃষ্টি হয়। এই পরিব্যক্তির ফলেই নতুন প্রজাতির উদ্ভব ঘটে।

 

  • জীব ও জড়ের পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো?

পার্থক্যের বিষয়

জীব

জড়

উত্তেজিতা

জীব উত্তেজনায় সাড়া দেয়। জড় উত্তেজনায় সাড়া দেয় না।

প্রজনন ও বংশবৃদ্ধি

প্রজননের দ্বারা জীব বংশবৃদ্ধি করতে পারে। জড় বংশবৃদ্ধি করতে পারে না।

পুষ্টি ও বৃদ্ধি

খাদ্যগ্রহণ করার ফলে জীবের পুষ্টি, বৃদ্ধি ইত্যাদি ঘটে। জড়বস্তু খাদ্যগ্রহণ করে না। তাই এদের পুষ্টি, বৃদ্ধি ইত্যাদি ঘটে না।

চলন-গমন

জীবের চলন, গমন আছে। জড়ের নিজস্ব চলন, গমন নেই।

শ্বাসকার্য

জীব শ্বাসকার্য করতে পারে। জড় শ্বাসকার্য করতে পারে না।

অভিযোজন

জীব পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। জড়ের পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা নেই।

পরিব্যক্তি

জীবের দেহে পরিব্যক্তি ঘটে। জড়ের ক্ষেত্রে পরিব্যক্তি ঘটে না।

জীবনচক্র

জীবের জীবনচক্র আছে। জড়ের জীবনচক্র নেই।

জরা ও মৃত্যু

জীবের জরা ও মৃত্যু আছে। জড়ের জরা ও মৃত্যু নেই।

  • কোয়াসারভেট এবং মাইক্রোস্ফিয়ার এর পার্থক্য লেখো?

তুলনার বিষয়

কোয়াসারভেট

মাইক্রোস্ফিয়ার

সংজ্ঞা

‘তপ্ত লঘু স্যুপে’ উৎপন্ন পর্দাবৃত বিন্দু। সমুদ্রের জলে সৃষ্ট দ্বি-লিপিড পর্দাবৃত বিন্দু।

বিভাজন ক্ষমতা

বিভাজন ক্ষমতাবিহীন। বিভাজন ক্ষমতাসম্পন্ন।

ভূমিকা

প্রোটোসেল উৎপাদনের পূর্বগঠন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটোসেল উৎপাদন ক্ষমতাযুক্ত এবং আদি কোশের পূর্বগঠন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গঠনগত উপাদান

প্রোটিন, ফ্যাট, শর্করা, নিউক্লিক  অ্যাসিড। প্রোটিনয়েড থেকে উৎপন্ন প্রোটিন ও অন্য জৈব যৌগ।

 

  • কোয়াসারভেট এবং প্রোটোসেল-এর তুলনা করো ?

তুলনার বিষয়

কোয়াসারভেট

প্রোটোসেল

গঠন

জৈব যৌগ সংবলিত, সীমানাপর্দাবৃত বিন্দু, যা থেকে আদি কোশ সৃষ্টি হয়। প্রোক্যারিওটিক, জেনেটিক উপাদানবিশিষ্ট (RNA), অবায়ুজীবী প্রাণ।

বিভাজন ক্ষমতা

বিভাজন ক্ষমতাবিহীন। বিভাজন ক্ষমতাসম্পন্ন।

বৈশিষ্ট্য

জীবন সৃষ্টির ক্ষমতাসম্পন্ন, জৈব পদার্থপূর্ণ গঠন। কোশপর্দাযুক্ত, জৈব পদার্থপূর্ণ পৃথিবীর প্রথম প্রাণ।