জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ -Class 9 Chapter 1 Question Answer

 অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

 জীবন ও তার বৈচিত্র্য  >>> জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ 

1. অ্যানাটমি (Anatomy) কাকে বলে?

উত্তরঃ জীববিদ্যার অন্তর্গত যে শাখায়, জীবদেহ ব্যবচ্ছেদের পর, তার অন্তর্গঠন সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়, তাকেই শারীরস্থান বা অ্যানাটমি বলে।

2. কলাস্থানবিদ্যা বা হিস্টোলজি (Histology) কাকে বলে? 

উত্তরঃ জীববিদ্যার যে শাখায় জীবদেহের কলার গঠন, অবস্থান, আকৃতি ও কাজ সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়, তাকে কলাস্থানবিদ্যা বা হিস্টোলজি বলে।

3. ইথোলজি (Ethology) কাকে বলে?

উত্তরঃ জীববিদ্যার যে শাখায় জীবের আচরণ-সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তাকে ইথোলজি বলে।

4. জীবভূগোল (Biogeography) কাকে বলে ?

উত্তরঃ  জীববিদ্যার অন্তর্গত যে শাখায় ভৌগোলিক পরিবেশে জীবের বিস্তার সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়, তাকে জীবভূগোল বলা হয়।

5. বংশগতিবিদ্যা (Genetics) কাকে বলে?

উত্তরঃ  জীববিদ্যার যে শাখায় জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্যের আলোচনা করা হয়, তাকে বংশগতিবিদ্যা বা জেনেটিক্স বলে।

6. এমব্রায়োলজি (embryology) কাকে বলে ? 

উত্তরঃ জীববিদ্যার যে শাখায় জীবের ভ্রূণের গঠন ও পূর্ণবিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তাকে এমব্রায়োলজি বলে।

7. বিবর্তনীয় জীববিদ্যা (Evolutionary Biology) কাকে বলে ?

উত্তরঃ  জীববিদ্যার যে শাখায় জীবজগতের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়, তাকে বিবর্তনীয় জীববিদ্যা বলে।

8. উদ্যানবিদ্যা বা উদ্যান পালন বিদ্যা (Horticulture) কাকে বলে?

উত্তরঃ  জীববিদ্যার যে শাখায় ফুল ও ফলের উৎপাদন এবং রক্ষণাবেক্ষণ-সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়, তাকে উদ্যানবিদ্যা বা উদ্যান পালন বিদ্যা বলে।

9. জীববিদ্যার কোন শাখায় গণিত ও রাশিবিজ্ঞানের জ্ঞান প্রয়োগের প্রয়োজন হয় ?

উত্তরঃ  জীববিদ্যার বায়োমেট্রিক্স (Biometrics) শাখায় গণিত ও রাশিবিজ্ঞান-সংক্রান্ত জ্ঞান প্রয়োগের প্রয়োজন হয়।

10. বায়োনিক্স (Bionics) কাকে বলে?

উত্তরঃ  জীববিদ্যা ও ইলেক্‌ট্রনিক্সের সমন্বয়ে গঠিত শাখার নাম বায়োনিক্স বা জীববৈদ্যুতিনবিদ্যা ।

11. সংকরায়ণ (Hybridization) কাকে বলে ?

উত্তরঃ  দুটি ভিন্ন গুণমানসম্পন্ন প্রজাতির ক্রসব্রিডিং-এর মাধ্যমে উন্নত প্রজাতির উৎপাদন পদ্ধতিকে সংকরায়ণ বলে।

12. জীববিদ্যা ও কম্পিউটার সায়েন্স-এর সমন্বয়ে সৃষ্ট বিজ্ঞানকে কী বলে? 

উত্তরঃ  জীববিদ্যা ও কম্পিউটার সায়েন্স-এর সমন্বয়ে সৃষ্ট বিজ্ঞানকে বায়োইনফরমেটিক্স (Bioinformatics) বলে।

13. জীববিদ্যার প্রধান দুটি শাখা কী কী?

উত্তরঃ  জীববিদ্যার প্রধান দুটি শাখা হল—

[1] বিশুদ্ধ জীববিদ্যা (Classical Biology) এবং 

[2] ফলিত বা প্রয়োগিক জীববিদ্যা (Applied Biology)

14.  প্রায়োগিক জীববিদ্যার শাখাগুলি কী কী ?

উত্তরঃ প্রায়োগিক জীববিদ্যার শাখাগুলি হল—

[1] মৌচাষ, 

[2] পশুপালনবিদ্যা, 

[3] কৃষিবিদ্যা, 

[4] উদ্যানবিদ্যা,

[5] রেশমচাষ।

1. জীবন ও তার বৈচিত্র- ক্লাস ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর —–> Click here

2. জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯——-> Click Here

3.গ্রহরুপে পৃথিবী- CLASS 9 SHORT Question

জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯

জীবন ও তার বৈচিত্র্য- Class 9 Life Science- Chapter 1

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

 

1.  জীবন বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ  জীবের প্রধান বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ, প্রজনন, বিপাক, উত্তেজিতা অভিযোজন, বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের প্রকাশকে জীবন বলে।

2. জনন বলতে কী বোঝ? বংশগতি কাকে বলে ?

উত্তরঃ  জনন: জনিতৃ জীব থেকে একই প্রকার বৈশিষ্ট্যযুক্ত অপত্য জীব সৃষ্টির জৈবনিক প্রক্রিয়াকে জনন বলে।

বংশগতিঃ যে প্রক্রিয়ায় পিতামাতার চারিত্রিক গুণাবলি বংশপরম্পরায় সন্তান-সন্ততির দেহে সঞ্চারিত হয়, তাকে বংশগতি বলে।

3. জরা ও মৃত্যু বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ  বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবদেহের শারীরবৃত্তীয় ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পায়। এই অবস্থাকে জরা বলে। একসময় জীবনের সমস্ত লক্ষণগুলি লুপ্ত হয়, একে মৃত্যু বলে।

4. সজীব বস্তু বা জীব কাকে বলে ?

উত্তরঃ  যেসব বস্তু জননের মাধ্যমে নতুন অপত্য জীব সৃষ্টিতে সক্ষম এবং বৃদ্ধি, বিপাক, উত্তেজিতা, ক্ষয়পূরণ ইত্যাদি প্রাণ বা জীবনের ধর্ম প্রকাশ করতে পারে, তাদের সজীব বস্তু বা জীব বলে।

যেমন—উদ্ভিদ, প্রাণী ইত্যাদি।

5. জড় বস্তু কাকে বলে ?

উত্তরঃ   যেসব বস্তুর চেতনা নেই, স্বেচ্ছায় নড়চড়া করতে পারে না, বৃদ্ধি হয় না, উত্তেজনায় সাড়া দেয় না এবং বংশবিস্তার করে না অর্থাৎ, প্রাণের ধর্মগুলি যাদের মধ্যে প্রকাশ পায় না তাদের জড় বস্তু বলে। যেমন— টেবিল, পাথর ইত্যাদি।

6. চলন ও গমন কাকে বলে?

উত্তরঃ  চলনঃ যে প্রক্রিয়ায় জীব উদ্দীপকের প্রভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে না, তাকে চলন বলে।

গমন: যে প্রক্রিয়ায় জীব উদ্দীপকের প্রভাবে অথবা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে, তাকে গমন বলে।

7. বিবর্তন বা অভিব্যক্তি কাকে বলে?

উত্তরঃ  যে অতি মন্থর কিন্তু অবিরাম গতিশীল পরিবর্তনের ফলে উদ্বংশীয় (পূর্বপুরুষ) সচল জীব থেকে নতুন প্রকারের জটিলতর জীবের উদ্ভব ঘটে, তাকে বিবর্তন বা অভিব্যক্তি বলে।

8.প্রকরণ কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রকরণ: কোনো জীব প্রজাতির অন্তর্গত সমস্ত জীবে জিনগত বৈচিত্র্যের কারণে যে বাহ্যিক গঠনগত বিভিন্নতা দেখা যায়, তাকে প্রকরণ বলে।

9. অভিযোজন কাকে বলে ?

উত্তরঃ  অভিযোজন: কোনো নির্দিষ্ট পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকা ও সাফল্যের সাথে প্রজননের জন্য জীবের অঙ্গসংস্থানিক ও শারীরবৃত্তীয় যে স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে, তাকে অভিযোজন বলে।

10. মিউটেশন বা পরিব্যক্তি কাকে বলে? পরিব্যক্তিতা কী?

উত্তরঃ  মিউটেশন বা পরিব্যক্তি: ক্রোমোজোমস্থিত কোনো জিনের আকস্মিক ও স্থায়ী পরিবর্তনকে মিউটেশন বা পরিব্যক্তি বলে।

পরিব্যক্তিতা: ক্রোমোজোমস্থিত কোনো পরিব্যক্তি ঘটানোর ক্ষমতাকে পরিব্যক্তিতা বলে।

11.  জীবনচক্র কাকে বলে ?

উত্তরঃ  জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ অবস্থা, বংশবৃদ্ধি এবং মৃত্যু— এই পর্যায়গুলির ধারাবাহিকভাবে চক্রবৎ আবর্তনকে জীবনচক্র বলা হয়।

যেমন—ব্যাঙের জীবনচক্র।

12. উত্তেজিতা কাকে বলে? উদ্ভিদদেহে উত্তেজিতার একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ  উত্তেজিতা: বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহে যে প্রতিক্রিয়া বা পরিবর্তন ঘটে, তাকে উত্তেজিতা বলে।

উদাহরণ: লজ্জাবতী গাছের পাতা স্পর্শ করলে পাতাগুলি তৎক্ষণাৎ মুদে যায়।

13. উয়তাকে জীবের জীবনীশক্তির পরিচালক বলা হয় কেন ?

উত্তরঃ  উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের অন্তর্গত প্রতিটি জীবের জৈবিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নির্দিষ্ট উয়তার প্রয়োজন হয়। সেই কারণে উন্নতাকে জীবের জীবনীশক্তির পরিচালক বলে।

14.  জীবের উৎপত্তির আধুনিক মতবাদটি লেখো। এই তত্ত্বের জনক কে?

উত্তরঃ  জীবের উৎপত্তির আধুনিক মতবাদটিকে জৈবরাসায়নিক উৎপত্তির মতবাদ বা অ্যাবায়োজেনেসিস তত্ত্ব বলা হয়। এই তত্ত্ব অনুযায়ী ‘অজৈব রাসায়নিক পদার্থ থেকে জৈব পদার্থ এবং জীবের উৎপত্তি ঘটেছে’। আদি পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রকার ভৌত শক্তি,

যেমন—তড়িং বিকিরণ, তেজস্ক্রিয়তা ইত্যাদির প্রভাবে বায়ুমণ্ডলে অজৈব গ্যাসীয় বস্তু থেকে জৈব অণুর উৎপত্তি ঘটে।

তত্ত্বের জনক: বিজ্ঞানী ওপারিন ( 1924) প্রথম এই মতবাদের প্রস্তাবনা করেন। বিজ্ঞানী হ্যালডেন পরে এই মতবাদটিকে সমর্থন করেন।

15. হট ডাইলিউট স্যুপ কী?

উত্তরঃ  কেমোজেনি মতবাদ অনুযায়ী, জীব সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে অজৈব অণুগুলি পরস্পর মিলিত হয়ে ক্ষুদ্র জৈব অণুর (কার্বোহাইড্রেট, অ্যামিনো অ্যাসিড, স্নেহ পদার্থ এবং অন্যান্য জৈব পদার্থ) উৎপত্তি ঘটে। এই উদ্ভূত পদার্থসমূহ সমুদ্রের উত্তপ্ত জলে ভাসতে থাকে। বিজ্ঞান হ্যালডেন (1929) এই ক্ষুদ্র জৈব অণুসমূহের সঙ্গে সমুদ্রের উত্তপ্ত জলের সমাহারকে ‘হট ডাইলিউট স্যুপ’ বলে অভিহিত করেন।

16. প্রোটিনয়েড কী? এর গুরুত্ব কী?

উত্তরঃ  প্রোটিনয়েড: বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স (1958) প্রায় 18 প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিডের শুষ্ক মিশ্রণকে 150°C – 180°C উয়তায় উত্তপ্ত করেন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে বিভিন্ন অ্যামিনো অ্যাসিডগুলি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পলিপেপটাইডের মতো বৃহৎ অণু গঠন করে, যাকে প্রোটিনয়েড বলে।

গুরুত্ব: প্রোটিনয়েডগুলি জলে একত্রিত হয়ে মাইক্রোস্ফিয়ার গঠন করে। বিজ্ঞানী ফক্স-এর মতে আদিকোশ গঠনে এগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

17.  মাইক্রোস্ফিয়ারে জীবের কোন্ বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা যায় ?

উত্তরঃ  প্রোটিনয়েড অণুগুলির সংযুক্তির ফলে মাইক্রোস্ফিয়ার গঠিত হয়। মাইক্রোস্ফিয়ারের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

[1] মাইক্রোস্ফিয়ার দ্বিস্তর আবরণযুক্ত।

[2] এদের মধ্যে চলন দেখা যায়।

[3] এরা অভিস্রবণ ধর্মযুক্ত।

[4] মাইক্রোস্ফিয়ারের অভ্যন্তরে উৎসেচকের ধর্মযুক্ত প্রোটিন পদার্থ বর্তমান।

[5] এরা দ্বি-বিভাজন পদ্ধতিতে বিভাজিত হতে সক্ষম।

18. নগ্ন জিন কী?

উত্তরঃ  জীব সৃষ্টির রাসায়নিক মতবাদ অনুযায়ী, কোশ সৃষ্টির অন্তিম পর্যায়ে পিউরিন, পিরিমিডিন প্রভৃতি নিউক্লিওসাইডগুলি পরস্পর সংযুক্ত হয়ে নিউক্লিক অ্যাসিড গঠন করে। এই নিউক্লিক অ্যাসিড প্রতিলিপি গঠনে সক্ষম ছিল। এই নিউক্লিক অ্যাসিড গঠনে হিস্টোন বা অন্য প্রোটিন অংশ নেয় না। নিউক্লিয় পর্দা দ্বারা আবৃত না থাকার ফলে এই নিউক্লিক অ্যাসিডগুলিকে নগ্ন জিন (naked gene) বলে।

19. কোয়াসারভেট কী? এর গুরুত্ব কী?

উত্তরঃ কোয়াসারভেট: আদিম পৃথিবীতে সমুদ্রের উত্তপ্ত জলে শর্করা, প্রোটিন, লিপিড, নিউক্লিক অ্যাসিড প্রভৃতি জৈব যৌগের সমন্বয়ে গঠিত, বিভাজনে সক্ষম কোলয়েড-জাতীয় কণাকেই কোয়াসারভেট বলে। বিজ্ঞানী ওপারিনের মতে, এটিই হল আদিম কোশ।

গুরুত্ব: বিজ্ঞানীদের মতে, সমুদ্রের জলে নিউক্লিওপ্রোটিন সমন্বিত কোয়াসারভেট থেকেই প্রথম প্রাণের সৃষ্টি হয়।

20. প্রজাতি কাকে বলে?

উত্তরঃ  একটি নির্দিষ্ট জীবগোষ্ঠীর অন্তর্গত জীব, যারা বংশগতভাবে এক ও আন্তঃপ্রজননক্ষম এবং জননের মাধ্যমে প্রজনন অপত্যের জন্ম দেয়, তাদের প্রজাতি বলে।

21.  বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতার গুরুত্ব কী ?

উত্তরঃ  বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির পারস্পরিক নির্ভরশীলতাই প্রকৃতির ভারসাম্য এবং জীবের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে। বিজ্ঞানীদের মতে, যত বেশি সংখ্যক প্রজাতি পৃথিবীতে টিকে থাকবে এবং পারস্পরিক ক্রিয়ায় অংশ নেবে, প্রকৃতির ভারসাম্য ততই সুস্থির হবে।

22.  বাইরে থেকে আসা কোনো প্রজাতি কীভাবে জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করে ?

উত্তরঃ  বাইরে থেকে আসা কোনো উদ্ভিদের বীজ অনেক সময়ে নতুন অঞ্চলে এমনভাবে অভিযোজিত হয় যে, ওই পরিবেশ তার কাছে খুবই অনুকূল হয়। এর ফলে আশেপাশের জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন—কচুরিপানা সৃষ্টির ফলে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য বিশেষভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

23) জীববৈচিত্র্য কাকে বলে? এটি প্রধানত কত প্রকার ?

উত্তরঃ  জীববৈচিত্র্য: কোনো একটি ভৌগোলিক অঞ্চলে বা পরিবেশে, বিভিন্ন প্রকার পরিবেশে এবং বিভিন্ন প্রকার বাস্তুতন্ত্রে বসবাসকারী জীব সম্প্রদায়ের মধ্যে তাদের গঠন, আকার ও প্রকৃতি অনুযায়ী যে বিভিন্নতা দেখা যায়, তাকে জীববৈচিত্র্য বলে।

প্রকারভেদ: জীববৈচিত্র্য প্রধানত তিন প্রকার। যথা—

[1] জিনগত বৈচিত্র্য,

[2] প্রজাতি বৈচিত্র্য এবং

[3] বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।

24. জিনগত বৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তরঃ  একই প্রজাতির মধ্যে জিনের বিভিন্ন প্রকরণ এবং সমন্বয়কে জিনগত বৈচিত্র্য বলে। একই প্রজাতির প্রত্যেক জীবের মধ্যে জিনগত গঠনের সামান্য পরিবর্তন দেখা যায়, যার জন্য এরা একে অন্যের থেকে সামান্য পৃথক হয় ।

25. প্রজাতি বৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তরঃ  কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত বিভিন্ন প্রজাতির জীবের বৈচিত্র্যকে ওই অঞ্চলের প্রজাতি বৈচিত্র্য বলে। কোনো বিশেষ অঞ্চলে বসবাসকারী প্রজাতিসমূহের প্রকারের ভিত্তিতে এবং প্রজাতির সংখ্যা নির্ণয়ের মাধ্যমে প্রজাতি বৈচিত্র্য নির্ধারিত হয়।

26.  বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তরঃ  একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্র এবং তাতে উপস্থিত বিভিন্ন জীবসম্প্রদায়ের যে বৈচিত্র্য দেখা যায়, তাকে বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য বলে। বিভিন্ন জীব বিভিন্নভাবে সমন্বিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার বাস্তুতন্ত্র গঠন করে। বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের গঠন ও কাজ পৃথক হয়। বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের এই বিভিন্নতাই হল বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।

যেমন—প্রবাল দ্বীপের বাস্তুতন্ত্র, বৃষ্টিবনের বাস্তুতন্ত্র।

27. ওপারিন-হ্যালডেন তত্ত্বের স্বপক্ষে একটি পরীক্ষা-নির্ভর প্রমাণ উল্লেখ করো?

উত্তরঃ  ওপারিন-হ্যালডেন তত্ত্বের প্রমাণ স্বপক্ষে বিজ্ঞানী মিলার এবং ইউরে, প্রাচীন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলির সাহায্যে জীবন সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড উৎপাদনে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁরা জলীয় বাষ্প (H2O), মিথেন (CH4), অ্যামোনিয়া (NH3) ও হাইড্রোজেন গ্যাস (H2)-এর মিশ্রণে তড়িৎবিচ্ছুরণ ঘটিয়ে, বিভিন্ন প্রকার সরল জৈব যৌগ (সরল শর্করা, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড) উৎপাদনে সক্ষম হয়েছিলেন।

সিদ্ধান্ত:  এই পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, অক্সিজেন-বিহীন প্রাচীন পৃথিবীর বিজারক পরিবেশে অতিবেগুনি রশ্মি বা বজ্রপাতের প্রভাবেই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ জৈব যৌগগুলি সৃষ্টি হয়েছিল।

জীবন ও তার বৈচিত্র- Class 9 – Life Science Short Question

Class 9 জীবন বিজ্ঞান – Chapter-1 – জীবন ও তার বৈচিত্র

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

GRIP TO WORLD LIFE SCIENCE

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

1.  সজীব বস্তুর প্রধান উপাদানটির নাম কী?

উত্তরঃ সজীব বস্তুর প্রধান উপাদানটির নাম প্রোটোপ্লাজম।

2.  জীবকোশে প্রোটোপ্লাজম গঠনের জন্য বাতাসের কোন উপাদানটির বিশেষ প্রয়োজন ?

উত্তরঃ জীবকোশের প্রোটোপ্লাজম গঠনের জন্য বাতাসের যে উপাদানটির বিশেষ প্রয়োজন, তা হল নাইট্রোজেন

3. কোন্ জীবনক্রিয়া দেহের ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে ?

উত্তরঃ বৃদ্ধি দেহের ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে।

4.  উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার ধর্মকে কী বলে ?

উত্তরঃ উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার ধর্মকে উত্তেজিতা বলে।

5. “পৃথিবীতে জীব সৃষ্টির প্রাথমিক পর্বে, পরিবেশের অজৈব পদার্থসমূহ উপযুক্ত শক্তির প্রভাবে ক্ষুদ্র জৈব অণুর সৃষ্টি করেছিল”—এই প্রকল্পটির স্রষ্টা কে?

উত্তরঃ “পৃথিবীতে জীব সৃষ্টির প্রাথমিক পর্বে, পরিবেশের অজৈব পদার্থসমূহ উপযুক্ত শক্তির প্রভাবে ক্ষুদ্র জৈব অণুর সৃষ্টি করেছিল”—এই প্রকল্পটির স্রষ্টা হলেন আলেকজান্ডার ওপারিন এবং জে. বি. এস. হ্যালডেন।

6. মিলার এবং ইউরে তাঁদের পরীক্ষায় যেসব গ্যাস ব্যবহার করেছিলেন, সেগুলির নাম লেখো।

উত্তরঃ মিলার এবং ইউরে তাঁদের পরীক্ষায় যেসব গ্যাস ব্যবহার করেছিলেন সেগুলি হল—জলীয় বাষ্প, হাইড্রোজেন, মিথেন ও অ্যামোনিয়া।

7. ‘হট ডাইলিউট স্যুপ’ কথাটির প্রবক্তা কে?

উত্তরঃ ‘হট ডাইলিউট স্যুপ’ কথাটির প্রবক্তা হলেন বিজ্ঞানী জে. বি. এস. হ্যালডেন।

৪.  প্রোটোৰায়ন্ট কী ?

 উত্তরঃ  নিউক্লিক অ্যাসিড ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত পর্দাবৃত কণা যা প্রোটোসেলের পূর্বগঠন, তাকে প্রোটোবায়ন্ট বলে।

9.  জীব সৃষ্টির পূর্বে পৃথিবীর আবহাওয়া কীরূপ ছিল? 

উত্তরঃ  জীব সৃষ্টির পূর্বে পৃথিবীর আবহাওয়া বিজারক প্রকৃতির ছিল। 

10. কত বছর আগে জড় বস্তু থেকে রাসায়নিক উপায়ে প্রথম প্রাণের আবির্ভাব ঘটেছিল ? 

উত্তরঃ প্রায় 3.7 বিলিয়ন বছর আগে রাসায়নিক উপায়ে প্রাণের আবির্ভাব ঘটেছিল।

11. থেকে জীব সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে কী বলে ? 

উত্তরঃ জনন বলে।

12. জীব থেকে জীব সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে ষ্টি 12 প্রোটিনয়েডগুলি কীজাতীয় বস্তু ?

উত্তরঃ প্রোটিনয়েডগুলি প্রোটিনজাতীয় বস্তু।

13. প্রোটিনয়েড এবং এদের চারিদিকে সৃষ্ট দুই স্তরবিশিষ্ট ফসফোলিপিড দ্বারা আবৃত গঠনকে একত্রে কী বলা হয় ?

উত্তরঃ  প্রোটিনয়েড এবং এদের চারিদিকে সৃষ্ট দুই স্তরবিশিষ্ট। ফসফোলিপিড দ্বারা আবৃত গঠনকে একত্রে মাইক্রোস্ফিয়ার বলে।

14. জীবনের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ?

উত্তরঃ জীবনের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল প্রজনন ও বিপাক।

15.  প্রোটোরায়ন্ট কি কি দিয়ে গঠিত হয় ? 

উত্তরঃ DNA, RNA এবং প্রোটিনের সমন্বয়ে প্রোটোবায়ন্ট গঠিত হয়।

16.  উদ্দীপক কাকে বলে?

উত্তরঃ  পরিবেশের যে অবস্থাগত পার্থক্য জীবদেহে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে, তাকে উদ্দীপক বলে। 

17. সাড়া কাকে বলে ? 

উত্তরঃ উদ্দীপকের ক্রিয়ার প্রভাবে জীবদেহে যে প্রতিক্রিয়া বা পরিবর্তন দেখা দেয়, তাকে সাড়া বলে।

18.  জীবের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়কে কী বলে ?

উত্তরঃ জীবের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়কে জীবের স্থিতিকাল বলে। 

19. পৃথিবীতে কত প্রকারের জীব আছে বলে অনুমান করা হয়? 

উত্তরঃ  পৃথিবীতে প্রায় তিন কোটি বা তার বেশি প্রজাতির জীব আছে বলে অনুমান করা হয়।

20. কোন কারণের জন্য প্রজাতির বিভিন্নতা সৃষ্টি হয়?

উত্তরঃ  মূলত জিনগত বৈচিত্র্যের জন্য প্রজাতির বিভিন্নতা সৃষ্টি হয়। 

21.  জীববৈচিত্র্যকে সাধারণত যে তিনটি স্তরে বর্ণনা করা হয়, তার নাম লেখো।

উত্তরঃ জীববৈচিত্র্যকে সাধারণত যে তিনটি স্তরে বর্ণনা করা হয় তার নাম—জিনগত বৈচিত্র্য, প্রজাতিগত বৈচিত্র্য এবং বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।

22.  পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জীববৈচিত্র্যের দেশ কোনটি? 

উত্তরঃ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জীববৈচিত্র্যের দেশ হল ব্রাজিল .

 23. আলফা বৈচিত্র্য কাকে বলে ?

উত্তরঃ  কোনো নির্দিষ্ট বাসস্থানে বা ক্ষুদ্র অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রজাতি বৈচিত্র্যকে আলফা বৈচিত্র্য বলে। 

24.  বিটা বৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যে থাকা দুটি পৃথক বাসস্থানে উপস্থিত তুলনামূলক প্রজাতি প্ৰাচুৰ্য্যকে বিটা বৈচিত্র্য বলে।

25. গামা বৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তরঃ  ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক ক্ষেত্রের সমন্বয়ে গঠিত বৃহৎ ভৌগোলিক ক্ষেত্রের সামগ্রিক প্রজাতি প্রাচুর্য্যকে গামা বৈচিত্র্য বলে। 

26. উৎপত্তির সময়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা কত ছিল ?

উত্তরঃ   উৎপত্তির সময়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা ছিল প্রায় 5000-6000°C

27. জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হতে কত বছর সময় লেগেছে?

উত্তরঃ    জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হতে প্রায় 400 কোটি বছর সময় লেগেছে।

28. ভারতে পৃথিবীর কত শতাংশ জীববৈচিত্র্য দেখা যায় ? 

উত্তরঃ   ভারতে পৃথিবীর প্রায় পাঁচ শতাংশ জীববৈচিত্র্য দেখা যায়।

29 প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলে কে উল্লেখ করেন ? 

উত্তরঃ   বিজ্ঞানী টি. এইচ. হাক্সলে প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলে উল্লেখ করেন।

30.  প্রোটোপ্লাজমে আত্তীকরণ দ্বারা কোশীয় উপাদানের সংযোজনকে কী বলে ? 

উত্তরঃ   প্রোটোপ্লাজমে আত্তীকরণ দ্বারা কোশীয় উপাদানের সংযোজনকে ইন্টুসাসেপশন বা অন্তঃসংযোজন বলে।

31. হৃৎস্পন্দন, ফুসফুসের প্রসারণ-সংকোচনজাতীয় জীবনের ধর্মটিকে কী বলে?

উত্তরঃ   হৃৎস্পন্দন, ফুসফুসের প্রসারণ-সংকোচনজাতীয় জীবনের ধর্মটিকে ছন্দোবদ্ধতা বা রিদ্‌মিসিটি বলে।

32. পচনশীল বস্তু থেকে প্রাণের উৎপত্তির তত্ত্বের নাম কী 

উত্তরঃ   পচনশীল বস্তু থেকে প্রাণের উৎপত্তির তত্ত্বের নাম স্বতঃস্ফূর্ত উদ্ভব তত্ত্ব।

33.  প্রাণের উৎপত্তি-সংক্রান্ত সায়ানোজেন মতবাদের প্রণেতা কে? 

উত্তরঃ   জার্মান বিজ্ঞানী ব্লুজার হলেন প্রাণের উৎপত্তি-সংক্রান্ত সায়ানোজেন মতবাদের প্রণেতা।

34. বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে ক্রমপর্যায়ে কোন্ দুটি উপাদান তৈরিতে সক্ষম হয়েছিলেন ?

উত্তরঃ   বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে ক্রমপর্যায়ে প্রোটিনয়েড ও মাইক্রোস্ফিয়ার তৈরিতে সক্ষম হয়েছিলেন।

35. প্রাচীন জিনের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তরঃ   প্রাচীন জিন নগ্ন প্রকৃতির ছিল এবং রেপ্লিকেশন, ট্রান্সলেশন পদ্ধতিগুলি ত্রুটিযুক্ত ছিল। 

36. প্রাইমরডিয়াল স্যুপ’ কী ?

উত্তরঃ   বিজ্ঞানী হ্যালডেন তপ্ত লঘু স্যুপ’-কে ‘প্রাইমরডিয়াল স্যুপ’ বলে উল্লেখ করেন।

গ্রহরুপে পৃথিবী- CLASS 9 SHORT QUESTION MARKS 1

একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও:

 

  • সৌরজগতে মোট কয়টি প্রধান গ্রহ আছে?

ANSWER: ৪ টি

  • পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশের ক্ষেত্রফল কত?

ANSWER:  প্রায় 51 কোটি 72 হাজার বর্গকিমি।

  • উপগ্রহ নেই এমন দুটি গ্রহের নাম লেখো।

ANSWER: বুধ ও শুক্র।

  • কোন্ গ্রহের উপগ্রহ সবচেয়ে বেশি?

ANSWER: বৃহস্পতির।

  • পৃথিবীর আনুমানিক ভর কত?

ANSWER: 5.97219 × 1024 কিগ্ৰা

  • GEOID শব্দের অর্থ কী?

ANSWER: পৃথিবীর সদৃশ।

  • একাট কুলান গ্রহের নাম লেখো।

ANSWER: মঙ্গল।

  • সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে কত সময় লাগে?

ANSWER:  8.2 মিনিট।

  • এরাটোথেনিসের মতে পৃথিবীর পরিধি কত?

ANSWER:  46,250 কিমি।

  • সৌরজগতে একমাত্র আলোর উৎস কী?

ANSWER:  সূর্য।

  • GPS-এর পুরো অর্থ কী?

ANSWER: Global Positioning System

  • GPS ব্যবহারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কয়টি উপগ্রহের প্রয়োজন?

ANSWER: 3টি।

  • 2006 সালে কোন্ গ্রহকে বামন গ্রহ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?

ANSWER: প্লুটোকে।

  • সৌরজগতের কেন্দ্রে কে থাকে?

ANSWER: সূর্য।

  • সৌরজগতের কোন্ গ্রহকে ‘লাল গ্রহ’ বলা হয় ?

ANSWER:  মঙ্গলকে।

  • সৌরজগতের গ্রহগুলি কার দ্বারা আলোকিত হয় ?

>ANSWER: সূর্য।

  • সূর্যের নিকটতম গ্রহ কোনটি ?

ANSWER: বুধ।

  • পৃথিবী থেকে সূর্যের মধ্যে সর্বাধিক দূরত্ব কত?

ANSWER: 15 কোটি 20 লক্ষ কিমি।

  • পৃথিবীর সবচেয়ে নীচু স্থানের নাম কী?

ANSWER: মারিয়ানা খাত।

  • উত্তর গোলার্ধে কোন স্থানের ধ্রুবতারার উন্নতিকোণ 90° হবে ?

ANSWER:  সুমেরু বিন্দুতে।

  • পৃথিবীর আবর্তন কোন্ দিক থেকে কোন্ দিকে ?

ANSWER: পশ্চিম থেকে পূর্বে।

  • IAU-এর পুরোকথা কী ?

ANSWER:  International Astronomical Union.

  • 2006 সালের 24 আগস্ট IAU-এর সভা কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?

ANSWER:  চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ্ শহরে।

  • এরাটোসথেনিস পৃথিবীর পরিধি নির্ণয়ের জন্য মিশরের কোন্-কোন্ শহরকে বেছে নিয়েছিলেন?

ANSWER:   মিশরের সিয়েন ও আলেকজান্দ্রিয়া শহরকে।

  • পৃথিবীর অভিকর্ষজ বলের মান কোন্ অন্যলে সবচেয়ে কম ?

ANSWER:   নিরক্ষীয় অঞ্চলে।

  • পৃথিবীর ব্যাস কোথায় সবচেয়ে বেশি?

ANSWER:   নিরক্ষীয় অঞ্চলে (প্রায় 12,757 কিমি)।

  • সৌরজগতে আয়তনে বৃহত্তম গ্রহ কোন্‌ টি ?

ANSWER:   বৃহস্পতি।

  • ভূপৃষ্ঠে GPS-এর প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?

ANSWER:  আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো রাজ্যে।

  • পৃথিবীতে সমুদ্র তলদেশে কত কিমি গভীরতা পর্যন্ত জীবের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয় ?

ANSWER:  ৭ কিমি।

  • বেডফোর্ড লেভেল পরীক্ষা কোথায় হয়েছিল ?

ANSWER:  ইংল্যান্ডের ওল্ড বেডফোর্ড নদীতে।

  • পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি কীরকম?

ANSWER:  পৃথিবীর মতো।

  • কোন সময় থেকে GPS পুরোপুরি চালু হয় ?

ANSWER:  1990-এর দশক থেকে।

  • জীবগোষ্ঠী তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় 02 কোথা থেকে সংগ্রহ করে ?

ANSWER:   বায়ুমণ্ডল।

  • পৃথিবীর কোন্ গতির ফলে মধ্যভাগ স্ফীত হয়েছে?

ANSWER:   আবর্তন গতি ৷

  • কে প্রথম Geoid শব্দটি ব্যবহার করেন?

ANSWER:  জোহান বেনডিক্ট লিসটিং।

  • কোন্ পরিমাপের বিজ্ঞান হল Geodesy ?

ANSWER:   পৃথিবীর আকৃতি ।

  • পৃথিবীর আনুমানিক বয়স কত ?

ANSWER:  প্রায় 460 কোটি বছর।

  • পৃথিবীর গড় উষ্ণতা কত?

ANSWER:  15° সেলসিয়াস ।

  • কোন্ সালে প্লুটোকে বামন গ্রহ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে?

ANSWER:   2006 সালে।

  • ক্যুইপার বেল্ট কী?

ANSWER:  সৌরজগতের হিমশীতল প্রান্ত।

YOU ALSO MY LIKE:

  1.  গ্রহ্রুপে পৃথিবী -ক্লাস ৯-চাপ্টার ১- MCQ
  2. Class 9 Geography Chapter 1 MCQ of Graharupa Prithibi

Class 9 Geography Chapter 1 MCQ of Graharupa Prithibi

গ্রহ্রুপে পৃথিবী -ক্লাস ৯-চাপ্টার ১- MCQ

নীল গ্রহ বলা হয়—

  1. পৃথিবীকে
  2. শনিকে
  3. শুক্রকে
  4. মঙ্গলকে

ANS: পৃথিবীকে

পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ

  1. বুধ
  2. শুক্র
  3. মঙ্গল
  4. বৃহস্পতি

ANS: শুক্র

পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাসের দৈর্ঘ্য-

  1. 12,712 কিমি
  2. 12,745 কিমি
  3. 12,757 কিমি
  4. 12,500 কিমি

ANS: 12,757 কিমি

পৃথিবীর মেরু ব্যাসের দৈর্ঘ্য—

  1. 12,400 কিমি
  2. 12,700 কিমি
  3. 12,714 কিমি
  4. 12, 720 কিমি

ANS: 12,714 কিমি

পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে”। প্রথম বলেন—

  • গ্যালিলিয়ো
  • কোপারনিকাস
  • বরাহমিহির
  • আর্যভট্ট

ANS: আর্যভট্ট

সূর্যের নিকটতম গ্রহের নাম—

  • বুধ
  • প্লুটো
  • নেপচুন
  • শুক্র

ANS: বুধ

“পৃথিবী সূর্যের এবং নিজের চারিদিকে ঘোরে”—সর্বপ্রথম বলেন—

  1. কোপারনিকাস
  2. আর্যভট্ট
  3. গ্যালিলিয়ো
  4. নিউটন

ANS: কোপারনিকাস

পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব হল—

  1. 14 কোটি কিমি
  2. 15 কোটি কিমি
  3. 16 কোটি কিমি
  4. 12 কোটি কিমি

ANS: 15 কোটি কিমি

পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি—

  • বৃত্তাকার
  • উপবৃত্তাকার
  • অভিগত গোলকের ন্যায়
  • আয়তাকার

ANS: অভিগত গোলকের ন্যায়

পৃথিবীর স্থলভাগের সর্বোচ্চ অঞ্চল –

  1. মাউন্ট এভারেস্ট
  2. পামির মালভূমি
  3. তিব্বত মালভূমি
  4. সুমেরু অঞ্চল

ANS: মাউন্ট এভারেস্ট

পৃথিবীর গভীরতম অঞ্চল—

  1. মারিয়ানা খাত
  2. সুন্দা খাত
  3. কুমেরু অঞ্চল
  4. সেন্ট লুইস খাত

ANS: মারিয়ানা খাত

পৃথিবীর বন্ধুরতার প্রসর প্রায়—

  1. 10 কিমি
  2. 20 কিমি
  3. 25 কিমি
  4. 30 কিমি

ANS: 20 কিমি

পৃথিবীর নিরক্ষীয় ও মেরু ব্যাসের মধ্যে পার্থক্য

  1. 40 কিমি
  2. 42 কিমি
  3. 43 কিমি
  4. 45 কিমি

ANS: 43 কিমি

একটি বামন গ্রহের উদাহরণ হল—

  1. প্লুটো
  2. বুধ
  3. নেপচুন
  4. মঙ্গল

ANS: প্লুটো

বেডফোর্ড খালের পরীক্ষা করেন—

  1. ওয়ালেস
  2. টরিসেলি
  3. ফুঁকো
  4. গ্যালিলিয়ো

ANS: ওয়ালেস

পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ-

  1. 6,300 কিমি
  2. 6,371 কিমি
  3. 6,600 কিমি
  4. 6,500 কিমি

ANS: 6,371 কিমি

1797 সালে বিজ্ঞানী হেনরি ক্যাভেনডিস নির্ণয় করেন পৃথিবীর—

  1. ওজন
  2. ঘনত্ব
  3. পরিধি
  4. ব্যাস

ANS: ব্যাস

সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে পৃথিবীর স্থান

  1. প্রথম
  2. দ্বিতীয়
  3. তৃতীয়
  4. চতুর্থ

ANS: তৃতীয়

পৃথিবীর প্রকৃত পরিধি হল—

  1. 40,400 কিমি
  2. 40,075 কিমি
  3. 40,200 কিমি
  4. 40,500 কিমি

ANS: 40,075 কিমি

সূর্য একটি-

  1. গ্রহ
  2. উপগ্রহ
  3. নক্ষত্র
  4. গ্রহাণু

ANS: নক্ষত্র

সূর্যের ওজন পৃথিবীর ওজনের প্রায়—

  1. লক্ষ গুণ
  2. লক্ষ গুণ
  3. লক্ষ গুণ
  4. লক্ষ গুণ

ANS: লক্ষ গুণ

সৌরজগতে মোট কুলীন গ্রহের সংখ্যা—

  1. 7 টি
  2. 8 টি
  3. 9 টি
  4. 6 টি

ANS: 8 টি

বলয়যুক্ত গ্রহ হল—

  1. শনি
  2. পৃথিবী
  3. বুধ
  4. শুক্র

ANS: শনি

শনির একটি উপগ্রহের নাম—

  1. চাঁদ
  2. টাইটান
  3. ফোবোস
  4. হমিয়া

ANS: টাইটান

GPS-এর মোট অংশ—

  1. 3 টি
  2. 4 টি
  3. 6 টি
  4. 5 টি

ANS: 3 টি

প্রাচীনযুগে মানুষের ধারণা ছিল পৃথিবী—

  1. গোলাকার
  2. সমতল
  3. অভিগত গোলাকার
  4. চৌকো

ANS: সমতল

কলম্বাস-

  1. ফ্রান্সের পর্যটক
  2. জাপানের পর্যটক
  3. পর্তুগালের পর্যটক
  4. স্পেনের পর্যটক

ANS: স্পেনের পর্যটক

মেসোপটেমিয়ার পৌরাণিক কাহিনিতে মনে করা হয় পৃথিবী—

  1. শূন্যে ভাসছে
  2. একা দাঁড়িয়ে আছে
  3. মহাসাগরে ভাসছে
  4. কোথাও ভাসছে না

ANS: মহাসাগরে ভাসছে

পৃথিবী গোল প্রথম বলেন—

  1. প্লেটো
  2. পিথাগোরাস
  3. অ্যারিস্টটল
  4. স্ট্রাবো

ANS: পিথাগোরাস

পিথাগোরাস ছিলেন-

  1. গ্রিক দার্শনিক
  2. রোমান দার্শনিক
  3. ব্রিটিশ দার্শনিক
  4. পোর্তুগিজ দার্শনিক

ANS: গ্রিক দার্শনিক

‘পৃথিবী গোল’-এর সপক্ষে প্রথম প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেন—

  1. পিথাগোরাস
  2. ম্যাজেলান
  3. কলম্বাস
  4. অ্যারিস্টটল

ANS: ম্যাজেলান