জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ – Class 9

জীববিদ্যা ও তার শাখাসমূহ (MCQ)

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

 1. জীববিদ্যার যে শাখায়
বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াসমূহের বিষয়ে আলোচনা করা হয়

  1. সাইটোলজি
  2. ফিজিওলজি
  3. হিস্টোলজি
  4. ইকোলজি
উত্তরঃ ফিজিওলজি

2. জীববিদ্যার ছত্রাক বিষয়ক শাখাকে বলা হয়

  1. ফাইকোলজি 
  2. প্যারাসাইটোলজি 
  3. মাইকোলজি 
  4. মাইক্রোবায়োলজি
উত্তরঃ  মাইকোলজি 

3. ‘বায়োলজি’ শব্দের প্রবর্তক হলেন-

  1. ওপারিন
  2. ল্যামার্ক
  3. অ্যারিস্টটল
  4. লিনিয়াস
উত্তরঃ  ল্যামার্ক

 4. জীববিদ্যার যে শাখায় জীবদেহের নানাবিধ কলা ও কোশ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়, তা হল 

  1. সাইটোলজি
  2. হিস্টোলজি
  3. ফিজিওলজি
  4. সাইকোলজি
উত্তরঃ  হিস্টোলজি

5. জীববিদ্যার যে শাখায় জীবদেহের বিভিন্ন রোগের প্রকৃতি, লক্ষণ ও কারণ সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়, তা হল-

  1. ইকোলজি
  2. বায়োনিক্স
  3. হিস্টোলজি
  4. প্যাথোলজি
উত্তরঃ  প্যাথোলজি

6. জীববিদ্যার যে শাখায় জীবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়-

  1. কলাবিদ্যা
  2. রোগবিদ্যা
  3. বাস্তুবিদ্যা
  4. বিবর্তনীয় জীববিদ্যা
উত্তরঃ  বিবর্তনীয় জীববিদ্যা

7. জীববিদ্যার যে শাখায় স্তূণের গঠন ও বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তা হল-

  1. প্যালিয়ন্টোলজি 
  2. প্যাথোলজি
  3. এমব্রায়োলজি 
  4. ইকোলজি
উত্তরঃ  এমব্রায়োলজি 
 

৪. জীববিদ্যার যে শাখায় পরজীবী উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়, তা হল——

  1. প্যাথোলজি 
  2.  এমব্রায়োলজি 
  3. প্যালিয়ন্টোলজি 
  4. প্যারাসাইটোলজি 
উত্তরঃ  প্যারাসাইটোলজি 
 

 9. জীববিদ্যার যে শাখায় জীৱাশ্ম পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাগৈতিহাসিক জীৰ সম্বন্ধে  আলোচনা করা হয়, তা হল–

  1. এমব্রায়োলজি 
  2. প্যালিয়ন্টোলজি 
  3. প্যাথোলজি
  4. প্যারাসাইটোলজি
উত্তরঃ  প্যালিয়ন্টোলজি 

10. জীবজগতের শ্রেণিবিন্যাসের রীতিনীতি সম্পর্কে জীববিদ্যার যে শাখায় আলোচনা করা হয়, তা হল–

  1.  ট্যাক্সোনমি
  2. ইভোলিউশন
  3. এগ্রোনমি
  4. বায়োমেট্রি
উত্তরঃ  ট্যাক্সোনমি

11. রাশিশাস্ত্রের সঙ্গে জীববিদ্যার সম্পর্কিত শাখাটি হল বায়োমেট্রি

  1. বায়োনিক্স
  2. বায়োমেট্রি
  3. সাইবারনেটিক্
  4. বায়োফিজিক্স
উত্তরঃ  বায়োমেট্রি

12. জীববিদ্যা ও ইলেকট্রনিক্স-এর সমন্বয়ে গঠিত বিজ্ঞানের শাখাটি হল

  1.  বায়োমেট্রিক্স 
  2.  সাইবারনেটিক্স 
  3. বায়োনিক্স 
  4. বায়োফিজিক্স 
উত্তরঃ  বায়োনিক্স 

13. মহাকাশবিজ্ঞান ও জীববিদ্যার সহযোগে গঠিত বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা হল-

  1. স্পেস বায়োলজি 
  2.  বায়োজিওগ্রাফি
  3. সাইবারনেটিক্স
  4. বায়োনিক্স 
উত্তরঃ   স্পেস বায়োলজি 

14. ভূগোল, সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, পুরাতত্ত্ববিজ্ঞান ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত জীববিদ্যার শাখাটি হল

  1. অ্যানথ্রোপোলজি
  2. জিওলজি 
  3. জুলজি
  4. ফাইটোলজি
উত্তরঃ   অ্যানথ্রোপোলজি

15. গ্রিক শব্দ ‘বায়োস’ (bios) -এর অর্থ হল–

  1. জীবন
  2. জীব
  3. জীবজ
  4. জীবাণু
উত্তরঃ   জীবন

 

পরিমাপ- class 9 Chapter -1 Short and Long Question Answer

1.  ভৌত রাশি কয়প্রকার ও কী কী? 

উত্তরঃ ভৌত রাশি দু-প্রকার—(i) স্কেলার ও (ii) ভেক্টর রাশি।

2. এমন একটি মাত্রাহীন ভৌত রাশির উদাহরণ দাও যার একক আছে?

উত্তরঃ কোণ হল এমন একটি ভৌত রাশি যার মাত্রা নেই, কিন্তু একক (রেডিয়ান) আছে।

3. দুটি মাত্রাহীন ও এককহীন ভৌত রাশির উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ দুটি মাত্রাহীন ও এককহীন ভৌত রাশি হল

i) পারমাণবিক ভর এবং ii) আপেক্ষিক গুরুত্ব।

4. কোন্ ভৌত রাশির একক স্টেরেডিয়ান ?

উত্তরঃ ঘনকোণের একক হল স্টেরেডিয়ান।

5. বার্ন (barn) মৌলিক একক না লব্ধ একক ?

উত্তরঃ বার্ন হল লব্ধ একক।

6. বার্ন কী ?

উত্তরঃ 1 barn = 10-28 m2, নিউক্লিয়াসের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল পরিমাপে barn একক ব্যবহার করা হয়।

7. তড়িৎপ্রবাহ কী রাশি ? 

উত্তরঃ তড়িৎপ্রবাহ স্কেলার রাশি।

8. ক্ষেত্রফল কী রাশি ?

উত্তরঃ ক্ষেত্রফল ভেক্টর রাশি।

9. ক্রনোমিটার ঘড়ির ব্যবহার লেখো?

উত্তরঃ ক্রনোমিটার ঘড়ি সঠিকভাবে গ্রিনিচের সময় নির্দেশ করে।

10. তিনটি ভিন্ন মৌলিক একক দ্বারা গঠিত একটি স্কেলার রাশির এককের উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ তিনটি ভিন্ন মৌলিক একক দ্বারা গঠিত একটি স্কেলার রাশির একক হল কার্যের একক।

11. তিনটি ভিন্ন মৌলিক একক দ্বারা গঠিত একটি ভেক্টর রাশির এককের উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ তিনটি ভিন্ন মৌলিক একক দ্বারা গঠিত একটি ভেক্টর রাশির একক হল বলের একক।

12. দুটি ভিন্ন মৌলিক একক দ্বারা গঠিত একটি স্কেলার রাশির এককের উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ দুটি ভিন্ন মৌলিক একক দ্বারা গঠিত একটি স্কেলার রাশির একক হল দ্রুতির একক।

13. দুটি ভিন্ন মৌলিক একক দ্বারা গঠিত একটি ভেক্টর রাশির এককের উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ দুটি ভিন্ন মৌলিক একক দ্বারা গঠিত একটি ভেক্টর রাশির একক হল বেগের একক।

14. একক প্রকাশের প্রচলিত পদ্ধতি দুটি কী কী ? 

উত্তরঃ একক প্রকাশের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি দুটি হল- (i) CGS পদ্ধতি এবং (ii) SI

15. একই এককাবাশষ্ট একটি স্কেলার  ও ভেক্টর রাশির  উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ দ্রুতি ও বেগ এই দুটি ভৌত রাশির একক একই, যাদের মধ্যে দ্রুতি হল স্কেলার রাশি এবং বেগ হল ভেক্টর রাশি।

জেনে রাখোঃ

1960 সালে The International Bureau of Weights and Measures (BIPM Bureau International des Poids et Measures)-এর উদ্যোগে ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক | মহাসম্মেলনে একটি একক পদ্ধতি সুপারিশ করা হয়েছিল। এটি হল বর্তমানে ব্যবহৃত পরিমাপের একক পদ্ধতি যা | আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি বা SI (Le System international d’unités The International System  tem of Units) নামে  পরিচিত।

অন্যদিকে CGS পদ্ধতি প্রথম চালু হয় ফ্রান্সে, তাই একে ফ্রেঞ্জ পদ্ধতিও বলা হয়। ফ্রেঞ্জ পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্যের একক হল মিটার। তাই এই পদ্ধতির আর-এক নাম মেট্রিক পদ্ধতি (metric system)।

16. CGS পদ্ধতিতে মৌলিক এককগুলির নাম লেখো?

উত্তরঃ CGS পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্যের একক সেন্টিমিটার (cm), ভরের একক গ্রাম (g) ও সময়ের একক সেকেন্ড (s) ।

17. SI-তে মূল একক কয়টি ?

উত্তরঃ SI-তে মূল এককের সংখ্যা হল 7 ।

18. 1 AU দূরত্ব বলতে কতখানি দূরত্বের কথা বোঝানো হয় ?

উত্তরঃ সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব হল 1 AU (বা অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল একক) দূরত্ব।

19.  আলোকবর্ষ মৌলিক না লঞ্চ একক ?

উত্তরঃ আলোকবর্ষ হল মৌলিক একক।

20.  1 আলোকবর্ষ = কত কিমি?

উত্তরঃ আলোকবর্ষ = 9.46 x 1012 km |

21. 1 পারসেক = কত আলোকবর্ষ?

উত্তরঃ 1 পারসেক = 3.26 আলোকবর্ষ।

22 অণু-পরমাণুর ভর মাপার জন্য কোন্ একক ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ অণু-পরমাণুর ভর মাপার জন্য u একক (unifiedatomic mass unit) ব্যবহার করা হয়।

23. বিভিন্ন মণি-মুক্তোর ভর মাপার জন্য কোন্ একক ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ বিভিন্ন মণি-মুক্তোর ভর মাপার জন্য ক্যারটি (carat) একক ব্যবহার করা হয়। 1 carat = 0.2g 1

24. আলোক সেকেন্ড কাকে বলে 

উত্তরঃ শূন্য মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে আলো ৷ সেকেন্ডে যতটা দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে 1 আলোক-সেকেন্ড বলা হয়।

25.  চন্দ্রশেখর লিমিট (CSL) ও সূর্যের ভরের মধ্যে কী সম্পর্ক ?

উত্তরঃ 1 চন্দ্রশেখর লিমিট = 1.39 × সূর্যের ভর

26. লিটারের সংজ্ঞায় কোন্ উয়তার উল্লেখ থাকে ?

উত্তরঃ লিটারের সংজ্ঞায় 4°C বা 277K উয়তার উল্লেখ থাকে।

27.  কোন্ উয়তায় জলের ঘনত্ব সর্বাধিক?

উত্তরঃ 4°C বা 277 K উয়তায় জলের ঘনত্ব সর্বাধিক।

28. 4°C উয়তায় জলের ঘনত্ব কত?

উত্তরঃ 4°C উয়তায় জলের ঘনত্ব 1 g/cm3।

29.  1 m3 = কত L?

উত্তরঃ 1 m3 = 1000 L

30. 1 dm3 = কত L?

উত্তরঃ 1 dm3 = 1L |

31.  সেকেন্ডের সংজ্ঞায় কোন্ মৌলিক পদার্থের উল্লেখ করা হয় ?

উত্তরঃ সেকেন্ডের সংজ্ঞায় Cs 133 -এর উল্লেখ করা হয়।

32.  নক্ষত্রদের পারস্পরিক দূরত্ব পরিমাপে কোন্ একক ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ নক্ষত্রদের পারস্পরিক দূরত্ব পরিমাপে AU (astronomical unit) ব্যবহার করা হয়।

33. সাধারণ স্কেলের সাহায্যে কি 0.4mm মাপ নেওয়া যায়?

উত্তরঃ সাধারণ স্কেলের লঘিষ্ঠ ধ্রুবক 1 mm, তাই সাধারণ স্কেলের সাহায্যে 1 mm-এর কম মাপ, যেমন এখানে 0.4 mm মাপ নেওয়া সম্ভব নয় ।

34.  1 গ্যালন = কত লিটার?

উত্তরঃ  1 গ্যালন = 4.536 লিটার।

35. দৈর্ঘ্য পরিমাপের বৃহত্তম একক কী?

উত্তরঃ দৈর্ঘ্য পরিমাপের বৃহত্তম একক হল পারসেক।

36. এমন একটি যন্ত্রের নাম লেখো যার সাহায্যে 0.01 cm দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে মাপা যায়।

উত্তরঃ স্লাইড ক্যালিপার্স হল এমন একটি যন্ত্র, যার সাহায্যে 0.01 cm দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে মাপা যায়।

37. এমন একটি যন্ত্রের নাম লেখো যার সাহায্যে 0.001 cm দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে মাপা যায়।

উত্তরঃ এমন একটি যন্ত্র হল স্কু-গেজ।

38. দোলক ঘড়ির কার্যকর দৈর্ঘ্য বলতে কী বোঝ ? 

উত্তরঃ দোলক ঘড়ির দোলকের ঝুলন বিন্দু থেকে পিণ্ডের ভারকেন্দ্র পর্যন্ত দূরত্বকে কার্যকর দৈর্ঘ্য বলা হয়।

39. দোলক ঘড়ির স্প্রিং-এ কী ধরনের শক্তি সঞ্চিত থাকে ? 

উত্তরঃ দোলক ঘড়ির স্প্রিং-এ স্থিতিশক্তি সজ্জিত থাকে।

40.  কোন্ যন্ত্রের সাহায্যে বস্তুর ভর পরিমাপ করা হয় ?

উত্তরঃ সাধারণ তুলাযন্ত্রের সাহায্যে বস্তুর ভর পরিমাপ করা হয়।

41.  CGS পদ্ধতিতে কোনো তরলের ঘনত্ব 0.8g/cm3 হলে SI-তে ঘনত্ব কত ?

উত্তরঃ SI-তে তরলটির ঘনত্ব = 800kg/m3 |

42.  ওজন বাক্সে বাটখারাগুলির ভরের অনুপাত লেখো।

উত্তরঃ ওজন বাক্সে বাটখারাগুলির ভর 5: 2:2:1 অনুপাতে রাখা হয়।

43.1 micron = কত cm ?

উত্তরঃ 1 micron = 104 cm /

44.  তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কোনো পদার্থের ঘনত্বের কীরূপ পরিবর্তন হয় ?

উত্তরঃ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কোনো পদার্থের ঘনত্ব হ্রাস পায়। ব্যতিক্রম — জলের ক্ষেত্রে 0° থেকে 4°C পর্যন্ত উয়তা বৃদ্ধি করলে ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তরঃ

Grip to world

1.  ভৌত রাশি কাকে বলে? কয়েকটি ভৌত রাশির উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ যে সমস্ত প্রাকৃতিক বিষয়কে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরিমাপ করা যায় তাদের ভৌত রাশি বলা হয়।  উদাহরণ : দৈর্ঘ্য, ভর, উষ্ণতা, কার্য, সরণ, বেগ, ত্বরণ, বল প্রভৃতি হল ভৌত রাশি ।

 2 . সমস্ত প্রাকৃতিক বিষয়কে কি ভৌত রাশি বলা যায়—উদাহরণ সহযোগে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ আমরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিষয় দেখি বা অনুভব করি। কিন্তু এদের মধ্যে সবকটি পরিমাপযোগ্য নয়। যেমন—দয়া, স্নেহ, রাগ প্রভৃতি। যেহেতু এই সমস্ত প্রাকৃতিক বিষয় পরিমাপযোগ্য নয়, তাই এদের ভৌত রাশি বলা হয় না।

আবার দৈর্ঘ্য, ভর, সময় প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিষয় পরিমাপযোগ্য, তাই এদের ভৌত রাশি বলা হয়। সুতরাং, সমস্ত প্রাকৃতিক বিষয়কে ভৌত রাশি বলা যায় না।

3. স্কেলার রাশি কাকে বলে ? কয়েকটি স্কেলার রাশির উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ যে সমস্ত ভৌত রাশির শুধুমাত্র মান আছে কিন্তু অভিমুখ নেই তাদের স্কেলার রাশি বলা হয়।

উদাহরণ : দৈর্ঘ্য, ভর, উয়তা, কার্য প্রভৃতি হল স্কেলার রাশি।

4. ভেক্টর রাশি কাকে বলে ? উদাহরণ দাও? 

উত্তরঃ যে সমস্ত ভৌত রাশির মান ও অভিমুখ দুই-ই আছে এবং যাদের যোগ ভেক্টর যোগের নিয়মানুযায়ী হয়, তাদের ভেক্টর রাশি বলা হয়।

উদাহরণ : সরণ, বেগ, ত্বরণ, বল প্রভৃতি হল ভেক্টর রাশি।

5.  স্কেলার ও ভেক্টর রাশির মধ্যে পার্থক্য লেখো?

উত্তরঃ

স্কেলার রাশি

ভেক্টর রাশি

1.    স্কেলার রাশির শুধুমাত্র মান আছে, অভিমুখ নেই। 1.  ভেক্টর রাশির মান ও অভিমুখ দুই-ই আছে।
2.    সমজাতীয় স্কেলার রাশির যোগ, সাধারণ বীজগাণিতিক নিয়মানুযায়ী হয়। 2  .সমজাতীয় ভেক্টর রাশির যোগ সাধারণ বীজগাণিতিক নিয়মানুযায়ী হয় না।
3.    দুইটি স্কেলার রাশির গুণফল সর্বদা একটি স্কেলার রাশি হয়। 3. দুইটি ভেক্টর রাশির গুণফল একটি স্কেলার অথবা ভেক্টর রাশি হতে পারে।

 

6.  কোনো ভৌত রাশির মান ও অভিমুখ থাকলেই কি তাকে ভেক্টর রাশি বলা হয় ? অথবা, তড়িৎপ্রবাহের মান ও অভিমুখ দুই-ই আছে, কিন্তু তড়িৎপ্রবাহমাত্রা স্কেলার রাশি কেন ?

উত্তরঃ কোনো ভৌত রাশির মান ও অভিমুখ থাকলেই যে তাকে ভেক্টর রাশি বলা যাবে, তা নয়। যেমন—তড়িৎপ্রবাহ। তড়িৎপ্রবাহের মান ও অভিমুখ দুই-ই আছে, কিন্তু তড়িৎপ্রবাহের যোগ ভেক্টর যোগের নিয়মানুযায়ী হয় না। তাই তড়িৎপ্রবাহ ভেক্টর রাশি নয়, এটি স্কেলার রাশি।

 7. ‘1 kg পরিমাণ আলুর বাজারদর 20 টাকা’ এই বাক্যে আলু, আলুর পরিমাণ, এদের মধ্যে কোনটি ভৌত রাশি, কোটিই বা নয়—কেন তা বুঝিয়ে লেখো।

উত্তরঃ বাক্যটিতে আলুর ভর 1 kg, অর্থাৎ এটি পরিমাপযোগ্য প্রাকৃতিক রাশি। তাই আলুর ভর হল একটি ভৌত রাশি । আলু একটি পদার্থ, যা পরিমাপযোগ্য নয়। তাই এটি রাশি নয়।

 ৪ .নিম্নলিখিত রাশিগুলির মধ্যে কোটি স্কেলার ও কোটি ভেক্টর তা উল্লেখ করো : দৈর্ঘ্য, সময়, ভর, ওজন, বল, দ্রুতি, বেগ, ত্বরণ, ভরবেগ, কার্য, ক্ষমতা, চাপ, সরণ, কম্পাঙ্ক, ঘনত্ব।

উত্তরঃ  স্কেলার রাশি: দৈর্ঘ্য, সময়, ভর, দ্রুতি, কাৰ্য, ক্ষমতা, চাপ, কম্পাঙ্ক, ঘনত্ব।

9. একক কাকে বলে ?

উত্তরঃ  কোনো ভৌত রাশি পরিমাপ করার ক্ষেত্রে, ওই ভৌত রাশির একটি সুবিধাজনক ও নির্দিষ্ট মানকে প্রমাণ ধরে, তুলনামূলকভাবে ওই ভৌত রাশির পরিমাপ করা হয়। ওই নির্দিষ্ট মানকে পরিমাপের একক বলা হয়।

10. এককের প্রয়োজনীয়তা কী?

উত্তরঃ  বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় পরিমাপ উল্লেখ করা আবশ্যক। সেইজন্য কোনো ভৌত রাশির পরিমাপের ক্ষেত্রে এককের প্রয়োজন। কোনো ভৌত রাশিকে প্রকাশ করা হয় সাংখ্যমান ও এককের সাহায্যে। একক ছাড়া পরিমাপ সম্ভব নয়। বিভিন্ন ভৌতরাশির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন বা ভৌত রাশি সম্পর্কিত সমীকরণের সঠিকতা যাচাই-এর জন্যও এককের প্রয়োজন।

 11. নির্দিষ্ট রাশি পরিমাপের জন্য একটি নির্দিষ্ট একক থাকা প্রয়োজন—একথা তুমি সমর্থন কর কি না তা উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও ।

উত্তরঃ হ্যাঁ, নির্দিষ্ট রাশি পরিমাপের জন্য অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট একক থাকা প্রয়োজন ।

উদাহরণস্বরূপ, ভাবা যেতে পারে দৈর্ঘ্য পরিমাপের প্রসঙ্গ। দৈর্ঘ্যের কোনো নির্দিষ্ট একক না থাকলে যে-কোনো দুটি জায়গা, যেমন কলকাতা থেকে দিল্লির দূরত্ব, এক-একজনের পরিমাপে এক-এক রকম হত। কিন্তু তুলনীয় কোনো দূরত্ব বুঝতে আমাদের খুব একটা অসুবিধা হয় না। যেমন, যদি কারও কলকাতা থেকে বর্ধমানের দূরত্ব সম্বন্ধে মোটামুটি একটা ধারণা থাকে, তবে কলকাতা থেকে দিল্লির দূরত্ব সেই দূরত্বের তুলনায় কতগুণ, তা বলা হলে, কলকাতা থেকে দিল্লির দূরত্ব সম্বন্ধে একটা ধারণা জন্মায়। এক্ষেত্রে কলকাতা থেকে বর্ধমানের দূরত্ব হল একক দূরত্ব। এইভাবে যে-কোনো রাশির পরিমাপের ক্ষেত্রেই একটি একক থাকা প্রয়োজন।

 12. প্রাথমিক বা মৌলিক বা মূল একক কাকে বলে ? SI-তে প্রাথমিক এককগুলি কী কী ?

উত্তরঃ যে সমস্ত ভৌত রাশির একক পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল নয়, অর্থাৎ স্বাধীনভাবে গঠন করা হয়েছে এবং যাদের সাহায্যে অন্যান্য ভৌত রাশির একক গঠন করা যায়, সেই সমস্ত ভৌত রাশির এককগুলিকে মৌলিক একক বলা হয়।

জেনে রাখোঃ

SI-তে সাতটি মূল একক ছাড়াও সমতল কোণ (plane an gle) ও ঘনকোণ (solid angle) এই দুটি ভৌত রাশির একককে সম্পূরক একক (supplementary units) হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। সমতল কোণের একক হল রেডিয়ান (rad) ও ঘনকোণের একক হল স্টেরেডিয়ান (sr)। কিন্তু 1995 খ্রিস্টাব্দে এই দুটি একককে সম্পূরক এককের শ্রেণি থেকে বাদ দিয়ে লব্ধ এককের শ্রেণিভুক্ত করা হয়।

13.দৈর্ঘ্য, ভর ও সময়ের একককে মৌলিক একক বলা হয় কেন ?

উত্তরঃ ভর ও সময়ের একক হল মৌলিক একক, কারণ—

1. দৈর্ঘ্য, ভর ও সময়ের একক পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল নয়, অর্থাৎ স্বাধীনভাবে গঠিত হয়।

2.  এই তিনটি ভৌত রাশির একককে বিশ্লেষণ করে সরলতর আকারে প্রকাশ করা যায় না।

3.  এই তিনটি ভৌত রাশির এককের সাহায্যে অন্যান্য ভৌত রাশির একক গঠন করা যায়।

 14. লব্ধ একক কাকে বলে? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ যে সমস্ত ভৌত রাশির একক, এক বা একাধিক মূল এককের সাহায্যে গঠিত হয়, সেই সমস্ত ভৌত রাশির এককগুলিকে লঞ্চ একক বলা হয়। যেমন—বেগ, ত্বরণ, ভরবেগ, বল, কার্য প্রভৃতি রাশির একক হল লম্ব একক।

উদাহরণঃ বেগ হল কোনো বস্তুর সরণের হার। বেগের একক যে লম্ব একক তা নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে বোঝা যায়।

বেগ =বেগের একক = সরণের একক দৈর্ঘ্যের একক = সময়ের একক সময়ের একক সুতরাং, বেগের একক দৈর্ঘ্য ও সময় এই দুটি মৌলিক এককের সাহায্যে গঠিত, তাই এটি লখ একক।

15.  নীচের রাশিগুলির মধ্যে কোনটির একক মৌলিক ও কোনটির একক লব্ধ তা উল্লেখ করো ক্ষেত্রফল, আয়তন, সরণ, বেগ, ত্বরণ, বল, কার্য, শক্তি, ক্ষমতা, ভরবেগ, ভর, ওজন, উচ্চতা, ঘনত্ব, তরঙ্গদৈর্ঘ্য, পর্যায়কাল

উত্তরঃ মৌলিক এককবিশিষ্ট রাশি: সরণ, ভর, উচ্চতা, তরঙ্গদৈর্ঘ্য, পর্যায়কাল।

লব্ধএককবিশিষ্ট রাশি: ক্ষেত্রফল, আয়তন, বেগ, ত্বরণ, বল, কার্য, শক্তি, ক্ষমতা, ভরবেগ, ওজন, ঘনত্ব।

 16 . দুটি মৌলিক একক দ্বারা গঠিত একটি লম্ব এককের উদাহরণ দাও। 

উত্তরঃ দুটি মৌলিক একক দ্বারা গঠিত একটি লম্ব একক হল যুতির একক।

দ্রুতির একক = অতিক্রান্ত দূরত্বের একক দৈর্ঘ্যের একক সময়ের একক সময়ের একক

দ্রুতির একক হল দৈর্ঘ্য ও সময় এই দুটি মৌলিক রাশির এককের সাহায্যে গঠিত একটি লব্ধ একক।

17. একক পদ্ধতি কাকে বলে?

উত্তরঃ মৌলিক ও লব্ধ এককসহ সমস্ত ভৌত রাশির একককে একত্রে একক পদ্ধতি বলা হয়।

18. CGS পদ্ধতি বা SI-কে মেট্রিক পদ্ধতি বলার কারণ যুক্তিসহ লেখো।

উত্তরঃ  CGS পদ্ধতি বা SI-কে মেট্রিক পদ্ধতি বলার কারণ হল, CGS পদ্ধতি বা SI-তে কোনো ভৌত রাশির কোনো নির্দিষ্ট একটি একক থেকে অন্য কোনো ছোটো বা বড়ো এককে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দশমিক বিন্দু সরালেই চলে ।

যেমন, 500 cm = 5m = 5000 mm = 0.005 km | এই রূপান্তরের জন্য কোনো গুণ বা ভাগের প্রয়োজন হয় না। এইজন্য CGS পদ্ধতি বা SI-কে মেট্রিক পদ্ধতি বলা হয়।

19.  মেট্রিক পদ্ধতির সুবিধাগুলি লেখো।

উত্তরঃ মেট্রিক পদ্ধতির সুবিধাগুলি হল—

a.  মেট্রিক পদ্ধতিতে কোনো ভৌত রাশির কোনো নির্দিষ্ট একটি একক থেকে অন্য কোনো ছোটো বা বড়ো এককে রূপান্তরের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দশমিক     বিন্দু সরালেই চলে, জটিল গুণ বা ভাগ করার দরকার হয় না।

b.  কোনো ভৌত রাশির এককের সঙ্গে ডেসি, সেন্টি, ন্যানো, কিলো, মেগা ইত্যাদি উপসর্গগুলি যোগ করে ছোটো বা বড়ো এককগুলি লেখা যায়।

c.  এই পদ্ধতিতে আয়তন ও ভরের একটি সুবিধাজনক সম্পর্ক আছে। যেমন— 1 cm জলের ভর 1g বা 1 L জলের ভর 1 kg (4°C উয়তায়)।

জেনে রাখোঃ

CGS পদ্ধতি বা SI-তে যে-কোনো একটি একককে 10 গুণ বড়ো বা 10 গুণ ছোটো এককে প্রকাশ করা যায়, এইজন্য উপসর্গ ব্যবহার করা হয়। উপসর্গ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত বিধি দেওয়া হল।

20. এককবিহীন রাশি কাকে বলে ? 

উত্তরঃ কোনো ভৌত রাশি যদি একই এককবিশিষ্ট দুটি ভৌত রাশির অনুপাত হয়, তাহলে ওই ভৌত রাশির কোনো একক থাকে না। এই ধরনের ভৌত রাশিকে এককবিহীন রাশি বলা হয়।

23. SI-তে দৈর্ঘ্যের এককের সংজ্ঞা লেখো।

উত্তরঃ SI-তে দৈর্ঘ্যের একক হল মিটার (m)। আলো শূন্যস্থানে 1 299792458 সেকেন্ড সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে 1 মিটার (m) ধরা হয়।

24.  SI-তে ভরের এককের সংজ্ঞা লেখো।

উত্তরঃ SI-তে ভরের একক হল কিলোগ্রাম (kg)। ফ্রান্সের প্যারিস শহরে, ‘আন্তর্জাতিক ব্যুরো অফ ওয়েট্স অ্যান্ড মেজার্স’-এর দপ্তরে রাখা প্ল্যাটিনাম-ইরিডিয়াম সংকর ধাতুর তৈরি একটি নিরেট চোঙের ভরকে 1 কিলোগ্রাম (kg) ধরা হয়।

 25.  SI-তে সময়ের এককের সংজ্ঞা লেখো।

উত্তরঃ SI-তে সময়ের একক হল সেকেন্ড (s)। তাত্ত্বিকভাবে নির্দিষ্ট OK উয়তার যথাসম্ভব কাছাকাছি উয়তায় একটি স্থির সিজিয়াম 133 (Cs133 ) পরমাণুর ভূমিস্তরে অবস্থিত দুটি অতিসূক্ষ্ম স্তরের মধ্যে সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট বিকিরণের 9192631770 সংখ্যক পর্যায়ের জন্য অতিবাহিত সময়কে 1 সেকেন্ড বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।

জেনে রাখোঃ

অতি  ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্য মাপার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এককগুলি হল –

(a) মাইক্রন (micron, 2 ) – 1 মাইক্রন = 10-6 মিটার। | আণুবীক্ষণিক বস্তুর আকার মাইক্রন এককে প্রকাশ করা হয়।

(b) অ্যাংস্ট্রম (angstrom, A) – 1 অ্যাংস্ট্রম মিটার। আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বা কেলাসের মধ্যে পরমাণুর 10-10 ব্যবধান ইত্যাদি অ্যাংস্ট্রম এককে প্রকাশ করা হয়।

(c) X একক (X-unit)—1 X -একক10-13 মিটার। পরমাণুর ব্যাস X -এককে প্রকাশ করা হয়।

(d) ফার্সি (fermi) – 1 ফার্মি10-15 মিটার। পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ব্যাস ফার্মি এককে প্রকাশ করা হয়।

 

1. জীবন ও তার বৈচিত্র- ক্লাস ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর —–> Click here

2. জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯—-> Click Here

জীবন ও তার বৈচিত্র- ক্লাস ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী লেখো?

উত্তরঃ  

জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্যাবলিঃ

সজীব বস্তুর বহিঃপ্রকাশিত বৈশিষ্ট্যগুলিই ‘জীবন’রূপে চিহ্নিত হয়। এই সকল বৈশিষ্ট্য সজীব বস্তুকে জড়বস্তুর থেকে পৃথক করে। এখানে জীবনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হল—।

  1. প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিঃজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল জনন। প্রজননের মাধ্যমে কোনো জীব তার জীবনকালে নিজের মতো নতুন জীব সৃষ্টি করে বংশবৃদ্ধি ঘটায়। বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্ব বজায় থাকে।
  2. বিপাক: প্রতিটি জীবের বেঁচে থাকা ও বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপের জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়। শক্তি উৎপাদন ও শক্তি ব্যবহারের এই সমস্ত বিক্রিয়াগুলিকে একত্রে বিপাক বলে। যেমন—সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে শর্করাজাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে। সালোকসংশ্লেষ তাই সামগ্রিকভাবে একটি বিপাক পদ্ধতি।
  3. উত্তেজিতা: উত্তেজিতা জীবনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে জীবের সাড়া দেওয়াকে উত্তেজিতা বলা হয়। এই ধর্মের সাহায্যে জীবদেহে তাপ, চাপ, বেদনা প্রভৃতি অনুভূত হয়।যেমন—লজ্জাবতী লতার পাতা স্পর্শ করলে তা মুড়ে যায়।
  4. সংগঠন: প্রত্যেকটি জীবের দেহ একটি সুনির্দিষ্ট রীতিতে সংগঠিত হয়। সাধারণত কতকগুলি কোশ একত্রিত হয়ে কলা, কলা একত্রিত হয়ে অঙ্গ, অঙ্গ একত্রিত হয়ে তন্ত্র এবং অনেকগুলি তন্ত্র মিলে জীবদেহ গঠন করে।

       5. বদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ: জীবের আকার, আয়তন এবং শুষ্ক ওজন বেড়ে যাওয়াকে বৃদ্ধি বলে। স্থানীয় বৃদ্ধি জীবদেহের ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে।

2. পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি কীভাবে ঘটেছে তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।

অথবা, জীবনের উৎপত্তি সম্বন্ধে ওপারিন এবং হ্যালডেন মতবাদ লেখো।

উত্তরঃ  পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তির সংক্ষিপ্ত আলোচনাঃ

পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি বা জীবনের উৎপত্তি কীভাবে ঘটেছে, এই বিষয়ে নানা মতবাদ প্রচলিত আছে। আলেকজান্ডার ওপারিন 1924 খ্রিস্টাব্দে তাঁর ‘The Origin of Life on Earth’ নামক গ্রন্থে জীবনের উৎপত্তি-সংক্রান্ত প্রকল্পটি প্রণয়ণ করেন। পরবর্তীকালে জে বি. এস. হ্যালডেন (1928) প্রাণের উৎপত্তি-সংক্রান্ত একইরকম মতবাদ প্রকাশ করেন। এই দুই বিজ্ঞানীর প্রস্তাবিত জীবনের উৎপত্তি সংক্রান্ত তত্ত্বই বর্তমানে সর্বাপেক্ষা গ্রহণযোগ্য। এই তত্ত্বের নাম ‘জীবনের জৈবরাসায়নিক উৎপত্তির তত্ত্ব’ বা ‘অ্যাবায়োজেনেসিস তত্ত্ব’। জীবনের উৎপত্তির ওটি পর্যায় হল—

[1] পৃথিবীর উৎপত্তি ও তার প্রাচীন পরিবেশের ক্রমপরিবর্তন,

[2] জীবনের রাসায়নিক উৎপত্তি বা কেমোজেনি,

[3] প্রাণের জৈবিক বিবর্তন বা বায়োজেনি।

প্রাণের উৎপত্তির এই পর্যায়গুলি নীচে আলোচনা করা হল।

  1. পৃথিবীর উৎপত্তি ও তার প্রাচীন পরিবেশের ক্রমপরিবর্তন:প্রায় 5-6 বিলিয়ন বছর পূর্বে প্রচণ্ড এক বিস্ফোরণের মাধ্যমে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়। সৃষ্টির শুরুতে পৃথিবী ছিল এক উত্তপ্ত গ্যাসীয় পিণ্ড। কয়েকশো মিলিয়ন বছর ধরে গ্যাসগুলি ঘনীভূতহয় এবং বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত হয়। সেই সময়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা ছিল প্রায় 5000 – 6000°C। এই অতি উচ্চ তাপমাত্রায় বিভিন্ন গ্যাস, যেমন—হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, মিথেন ইত্যাদির স্বাধীনভাবে অবস্থান করা অসম্ভব ছিল। তাই মৌলগুলি পরস্পরের সাথে অথবা কোনো ধাতু বা অধাতুর সাথে যুক্ত হয়ে অবস্থান করত। এর ফলে পরিবেশে কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, জলীয় বাষ্প ইত্যাদি থাকলেও মুক্ত অক্সিজেন উপস্থিত ছিল না। পৃথিবীর পরিবেশ ছিল বিজারক প্রকৃতির। ক্রমশ জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত সুরু হয়। এই জলচক্রের আবির্ভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা হ্রাস পায় ও কঠিন উপাদানের উৎপত্তি ঘটে। বৃষ্টিপাতের ফলে জলরাশি সঙ্কিত হয়ে সমুদ্রের উৎপত্তি ঘটে।

 

  1. জীবনের রাসায়নিক উৎপত্তি বা কেমোজেনিঃ জীবন সৃষ্টির জন্য অপরিহার্য জৈব যৌগের উৎপত্তিকে বিজ্ঞানী ওপারিন ও হ্যালডেন কেমোজেনি বলে অভিহিত করেন। কেমোজেনির ধাপগুলি হল—

[A] সরল জৈব যৌগের উৎপত্তি: পৃথিবীর প্রাচীন পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে সাথে পৃথিবীর তাপমাত্রাও হ্রাস পেতে থাকে। পরিবেশে উপস্থিত বিভিন্ন যৌগগুলি (যেমন— হাইড্রোজেন, মিথেন, জলীয় বাষ্প) পরস্পর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তপ্ত বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে সরল জৈব যৌগ (যেমন—অ্যামিনো অ্যাসিড, সরল শর্করা, ফ্যাটি অ্যাসিড প্রভৃতি) গঠন করে। বজ্রবিদ্যুৎ, অতিবেগুনি রশ্মি, মহাজাগতিক রশ্মি এই বিক্রিয়ায় শক্তি জোগান দেয়।

[B] জটিল জৈব যৌগের উৎপত্তিঃ বিভিন্ন সরল যৌগগুলি ঘনীভবনের মাধ্যমে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, লিপিড, নিউক্লিক অ্যাসিড ইত্যাদির সৃষ্টি করে।

[C] কোয়াসারভেট-এর উৎপত্ত: আদিম পৃথিবীতে সমুদ্রের উত্তপ্ত জলে শর্করা, অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোটিন, লিপিড প্রভৃতি জৈব যৌগ যুক্ত হয়। বিজ্ঞানী হ্যালডেন একেই ‘তপ্ত লঘু স্যুপ’ (hot dilute soup) নামে অভিহিত করেন। এই তপ্ত লঘু স্যুপের জৈব যৌগগুলি পরস্পর সংযুক্ত হয়ে একপ্রকার বিভাজনে সক্ষম কোলয়েড গঠন করে। বিজ্ঞানী ওপারিন এর নাম দেন কোয়াসারভেট। ওপারিনের মতে কোয়াসারভেট অস্থায়ী আকৃতি ও আয়তনবিশিষ্ট গঠন। কিন্তু বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স-এর মতে দ্বি-লিপিড পর্দাবৃত বিভাজন ক্ষমতাসম্পন্ন যে যৌগ থেকে প্রাণের উৎপত্তি হয়, তা নির্দিষ্ট আকার ও আয়তনবিশিষ্ট। বিজ্ঞানী ফক্স এর নাম দেন মাইক্রোস্ফিয়ার

  1. প্রাণের জৈবিক বিবর্তন বা বায়োজেনিঃকোয়াসারভেটগুলি আদিম সমুদ্র থেকে নিউক্লিক অ্যাসিড, প্রোটিন ইত্যাদি শোষণ করে। একাধিক কোয়াসারভেট পরস্পর মিলিত হয়ে বিপাকীয় ধর্মযুক্ত প্রোটোৰায়ন্ট গঠন করে। প্রোটোবায়ন্টগুলি রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে জৈব যৌগ গঠন করে। জৈব যৌগযুক্ত, প্রতিলিপির মাধ্যমে জননে সক্ষম রূপান্তরিত প্রোটোবায়ন্টগুলিকে ইয়োবায়ন্ট বা প্রোটোসেল বলে। এই প্রোটোসেলগুলি হল পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রথম সঞ্জীব বস্তু। পরবর্তীকালে সাইটোপ্লাজমের উৎপত্তি হওয়ায় প্রোটোসেল থেকে আদি কোশ বা প্রোক্যারিওটিক কোশ সৃষ্টি হয়।

 3. জীববৈচিত্র্য কাকে বলে? জীববৈচিত্র্যের উৎস সম্বন্ধে আলোচনা করো?

উত্তরঃ  জীববৈচিত্র্য:

নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে উপস্থিত বিভিন্ন প্রকারের জীবের আকৃতি, গঠন ও প্রকৃতির বিভিন্নতার বৈচিত্র্যকে জীববৈচিত্র্য বলে।

জীববৈচিত্র্যের উৎসঃ

বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে বর্তমান মোট জীবিত প্রজাতির সংখ্যা সঠিকভাবে ধারণা করা বেশ কঠিন। এখনও পর্যন্ত প্রায় 1.9 মিলিয়ন প্রজাতির সম্বন্ধে জানা গেছে। এর মধ্যে, বিভিন্ন অণুজীব, ছত্রাক, পতঙ্গ, গৃহপালিত পশুপাখি অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ এদের প্রকৃত সংখ্যা সম্বন্ধে ধারণা করা কঠিন। বিজ্ঞানী টেরি আরউইন (1982)-এর মতে পৃথিবীতে উপস্থিত মোট প্রজাতির সংখ্যা প্রায় 30 মিলিয়ন। জীবনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল জনন। এর মাধ্যমে জনিতৃ জীব থেকে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়। প্রত্যেক সজীব বস্তুই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের নিরিখে একে অপরের থেকে কিছুটা হলেও ভিন্ন হয়। এই ভিন্নতার জন্য দায়ী হল জীবকোশে উপস্থিত বংশগতীয় বস্তু বা জিন। এই জিনগত বৈচিত্র্য বা বিভিন্নতার ফলে একই প্রজাতিভুক্ত বিভিন্ন জীবে কিংবা এক প্রজাতির সঙ্গে অন্য প্রজাতির মধ্যে ভিন্নতা দেখা যায়। এই জিনগত বৈচিত্র্য সম্ভব হয় জিনের গঠনগত পরিবর্তন বা পরিব্যক্তির মাধ্যমে, যার ফলে প্রকরণ দেখা যায়। এই প্রকরণগুলির জীবের এক জনু থেকে অপর জনুতে স্থানান্তরণ ঘটে। প্রকরণের উপস্থিতির দ্বারাই জীব নিজেদের পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে অভিযোজিত করে। যার ফলে, জীবের প্রাকৃতিক নির্বাচন ঘটে। এর ফলে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয় অর্থাৎ, জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি পায়। এর থেকে বলা যায় যে প্রকরণ হল জীববৈচিত্র্যের উৎস।

4. প্রকরণের বিভিন্ন প্রকারভেদ ও তাদের গুরুত্ব উল্লেখ করো?

উত্তরঃ  প্রকরণের প্রকারভেদঃ

কোনো জীব প্রজাতির অন্তর্গত একটি জীব থেকে অন্য জীবের বাহ্যিক গঠনগত পার্থক্যকে প্রকরণ বলে। প্রকরণ প্রধানত দুই প্রকার—

[1] অবিচ্ছিন্ন প্রকরণ এবং 

[2] বিচ্ছিন্ন প্রকরণ। 

[1] অবিচ্ছিন্ন প্রকরণ (Continuous variation) : একটি নির্দিষ্ট জীবগোষ্ঠীর বিভিন্ন জীবের মধ্যে যে ছোটো ছোটো ও ক্রমিক গুণগত পার্থক্য দেখা যায়, তাকে অবিচ্ছিন্ন প্রকরণ বলে। অবিচ্ছিন্ন প্রকরণের ফলে জিনগত বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয়।

>> উদাহরণ: দুটি মানুষের উচ্চতা, গায়ের রং, পায়ের দৈর্ঘ্য এগুলি সমান হয় না। তাই এগুলি অবিচ্ছিন্ন প্রকরণ।

>> গুরুত্ব: অবিচ্ছিন্ন প্রকরণ একই প্রজাতির বিভিন্ন জীবের মধ্যে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। এই বৈচিত্র্যগুলির মধ্যে যেগুলির প্রাকৃতিক নির্বাচন ঘটে, সেই বৈচিত্র্যগুলিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়।

 

[2]বিচ্ছিন্ন প্রকরণ (Discontinuous variation): কোনো নির্দিষ্ট জীবগোষ্ঠীর মধ্যে হঠাৎ কোনো বড়ো গঠন বিচ্যুতি দেখা দিলে, তাকে বিচ্ছিন্ন প্রকরণ বলে। বিচ্ছিন্ন প্রকরণের ফলে প্রজাতি বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়।

>> উদাহরণঃ মানুষের হাতে বা পায়ে চটি আঙুল। এটি হল বিচ্ছিন্ন প্রকরণের উদাহরণ।

>> গুরুত্ব: মিউটেশন বা পরিব্যক্তি হল বিচ্ছিন্ন প্রকরণ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। পরিব্যক্তির ফলে দ্রুত নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয় অর্থাৎ, জীবের প্রজাতি বৈচিত্র্য সৃষ্টির অন্যতম কারণ হল বিচ্ছিন্ন প্রকরণ।

5. অবিচ্ছিন্ন ও বিচ্ছিন্ন প্রকরণের কারণগুলি উল্লেখ করো?

উত্তরঃ  অবিচ্ছিন্ন প্রকরণ সৃষ্টির মূল কারণগুলি হল— 

[1] ক্রোমোজোমের স্বাধীন সারণ এবং 

[2] জিনের ক্রসিং ওভার। 

[1] ক্রোমোজোমের স্বাধীন সঞ্চারণ: মিয়োসিস কোশ বিভাজনের সময়ে অ্যানাফেজ-1 ও অ্যানোফেজ দশায় পিতা – মাতার যে-কোনো ক্রোমোজোম স্বাধীনভাবে সারিত হয়। এর ফলে নতুন নতুন বৈচিত্র্য সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।

[2 ] জিনের ক্রসিং ওভারঃ মিয়োসিস কোশ বিভাজনের সময়ে দুটি জিনের অ্যালিলের মধ্যে ক্রসিং ওভার (বা আদনপ্রদান ঘটে। এর ফলে নতুন জিন সমন্বয় তথা জিন বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়।

 

·  বিচ্ছিন্ন প্রকরণের মূল কারণ:

বিচ্ছিন্ন প্রকরণের মূল কারণ হল পরিব্যক্তি বা মিউটেশন। জিনের গঠনগত পরিবর্তন, ক্রোমোজোমের সংখ্যার পরিবর্তন ইত ফলে মিউটেশন বা পরিব্যক্তির সৃষ্টি হয়। এই পরিব্যক্তির ফলেই নতুন প্রজাতির উদ্ভব ঘটে।

 

  • জীব ও জড়ের পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো?

পার্থক্যের বিষয়

জীব

জড়

উত্তেজিতা

জীব উত্তেজনায় সাড়া দেয়। জড় উত্তেজনায় সাড়া দেয় না।

প্রজনন ও বংশবৃদ্ধি

প্রজননের দ্বারা জীব বংশবৃদ্ধি করতে পারে। জড় বংশবৃদ্ধি করতে পারে না।

পুষ্টি ও বৃদ্ধি

খাদ্যগ্রহণ করার ফলে জীবের পুষ্টি, বৃদ্ধি ইত্যাদি ঘটে। জড়বস্তু খাদ্যগ্রহণ করে না। তাই এদের পুষ্টি, বৃদ্ধি ইত্যাদি ঘটে না।

চলন-গমন

জীবের চলন, গমন আছে। জড়ের নিজস্ব চলন, গমন নেই।

শ্বাসকার্য

জীব শ্বাসকার্য করতে পারে। জড় শ্বাসকার্য করতে পারে না।

অভিযোজন

জীব পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। জড়ের পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা নেই।

পরিব্যক্তি

জীবের দেহে পরিব্যক্তি ঘটে। জড়ের ক্ষেত্রে পরিব্যক্তি ঘটে না।

জীবনচক্র

জীবের জীবনচক্র আছে। জড়ের জীবনচক্র নেই।

জরা ও মৃত্যু

জীবের জরা ও মৃত্যু আছে। জড়ের জরা ও মৃত্যু নেই।

  • কোয়াসারভেট এবং মাইক্রোস্ফিয়ার এর পার্থক্য লেখো?

তুলনার বিষয়

কোয়াসারভেট

মাইক্রোস্ফিয়ার

সংজ্ঞা

‘তপ্ত লঘু স্যুপে’ উৎপন্ন পর্দাবৃত বিন্দু। সমুদ্রের জলে সৃষ্ট দ্বি-লিপিড পর্দাবৃত বিন্দু।

বিভাজন ক্ষমতা

বিভাজন ক্ষমতাবিহীন। বিভাজন ক্ষমতাসম্পন্ন।

ভূমিকা

প্রোটোসেল উৎপাদনের পূর্বগঠন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটোসেল উৎপাদন ক্ষমতাযুক্ত এবং আদি কোশের পূর্বগঠন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গঠনগত উপাদান

প্রোটিন, ফ্যাট, শর্করা, নিউক্লিক  অ্যাসিড। প্রোটিনয়েড থেকে উৎপন্ন প্রোটিন ও অন্য জৈব যৌগ।

 

  • কোয়াসারভেট এবং প্রোটোসেল-এর তুলনা করো ?

তুলনার বিষয়

কোয়াসারভেট

প্রোটোসেল

গঠন

জৈব যৌগ সংবলিত, সীমানাপর্দাবৃত বিন্দু, যা থেকে আদি কোশ সৃষ্টি হয়। প্রোক্যারিওটিক, জেনেটিক উপাদানবিশিষ্ট (RNA), অবায়ুজীবী প্রাণ।

বিভাজন ক্ষমতা

বিভাজন ক্ষমতাবিহীন। বিভাজন ক্ষমতাসম্পন্ন।

বৈশিষ্ট্য

জীবন সৃষ্টির ক্ষমতাসম্পন্ন, জৈব পদার্থপূর্ণ গঠন। কোশপর্দাযুক্ত, জৈব পদার্থপূর্ণ পৃথিবীর প্রথম প্রাণ।

 

জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯

জীবন ও তার বৈচিত্র্য- Class 9 Life Science- Chapter 1

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

 

1.  জীবন বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ  জীবের প্রধান বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ, প্রজনন, বিপাক, উত্তেজিতা অভিযোজন, বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের প্রকাশকে জীবন বলে।

2. জনন বলতে কী বোঝ? বংশগতি কাকে বলে ?

উত্তরঃ  জনন: জনিতৃ জীব থেকে একই প্রকার বৈশিষ্ট্যযুক্ত অপত্য জীব সৃষ্টির জৈবনিক প্রক্রিয়াকে জনন বলে।

বংশগতিঃ যে প্রক্রিয়ায় পিতামাতার চারিত্রিক গুণাবলি বংশপরম্পরায় সন্তান-সন্ততির দেহে সঞ্চারিত হয়, তাকে বংশগতি বলে।

3. জরা ও মৃত্যু বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ  বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবদেহের শারীরবৃত্তীয় ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পায়। এই অবস্থাকে জরা বলে। একসময় জীবনের সমস্ত লক্ষণগুলি লুপ্ত হয়, একে মৃত্যু বলে।

4. সজীব বস্তু বা জীব কাকে বলে ?

উত্তরঃ  যেসব বস্তু জননের মাধ্যমে নতুন অপত্য জীব সৃষ্টিতে সক্ষম এবং বৃদ্ধি, বিপাক, উত্তেজিতা, ক্ষয়পূরণ ইত্যাদি প্রাণ বা জীবনের ধর্ম প্রকাশ করতে পারে, তাদের সজীব বস্তু বা জীব বলে।

যেমন—উদ্ভিদ, প্রাণী ইত্যাদি।

5. জড় বস্তু কাকে বলে ?

উত্তরঃ   যেসব বস্তুর চেতনা নেই, স্বেচ্ছায় নড়চড়া করতে পারে না, বৃদ্ধি হয় না, উত্তেজনায় সাড়া দেয় না এবং বংশবিস্তার করে না অর্থাৎ, প্রাণের ধর্মগুলি যাদের মধ্যে প্রকাশ পায় না তাদের জড় বস্তু বলে। যেমন— টেবিল, পাথর ইত্যাদি।

6. চলন ও গমন কাকে বলে?

উত্তরঃ  চলনঃ যে প্রক্রিয়ায় জীব উদ্দীপকের প্রভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে না, তাকে চলন বলে।

গমন: যে প্রক্রিয়ায় জীব উদ্দীপকের প্রভাবে অথবা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে, তাকে গমন বলে।

7. বিবর্তন বা অভিব্যক্তি কাকে বলে?

উত্তরঃ  যে অতি মন্থর কিন্তু অবিরাম গতিশীল পরিবর্তনের ফলে উদ্বংশীয় (পূর্বপুরুষ) সচল জীব থেকে নতুন প্রকারের জটিলতর জীবের উদ্ভব ঘটে, তাকে বিবর্তন বা অভিব্যক্তি বলে।

8.প্রকরণ কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রকরণ: কোনো জীব প্রজাতির অন্তর্গত সমস্ত জীবে জিনগত বৈচিত্র্যের কারণে যে বাহ্যিক গঠনগত বিভিন্নতা দেখা যায়, তাকে প্রকরণ বলে।

9. অভিযোজন কাকে বলে ?

উত্তরঃ  অভিযোজন: কোনো নির্দিষ্ট পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকা ও সাফল্যের সাথে প্রজননের জন্য জীবের অঙ্গসংস্থানিক ও শারীরবৃত্তীয় যে স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে, তাকে অভিযোজন বলে।

10. মিউটেশন বা পরিব্যক্তি কাকে বলে? পরিব্যক্তিতা কী?

উত্তরঃ  মিউটেশন বা পরিব্যক্তি: ক্রোমোজোমস্থিত কোনো জিনের আকস্মিক ও স্থায়ী পরিবর্তনকে মিউটেশন বা পরিব্যক্তি বলে।

পরিব্যক্তিতা: ক্রোমোজোমস্থিত কোনো পরিব্যক্তি ঘটানোর ক্ষমতাকে পরিব্যক্তিতা বলে।

11.  জীবনচক্র কাকে বলে ?

উত্তরঃ  জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ অবস্থা, বংশবৃদ্ধি এবং মৃত্যু— এই পর্যায়গুলির ধারাবাহিকভাবে চক্রবৎ আবর্তনকে জীবনচক্র বলা হয়।

যেমন—ব্যাঙের জীবনচক্র।

12. উত্তেজিতা কাকে বলে? উদ্ভিদদেহে উত্তেজিতার একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ  উত্তেজিতা: বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহে যে প্রতিক্রিয়া বা পরিবর্তন ঘটে, তাকে উত্তেজিতা বলে।

উদাহরণ: লজ্জাবতী গাছের পাতা স্পর্শ করলে পাতাগুলি তৎক্ষণাৎ মুদে যায়।

13. উয়তাকে জীবের জীবনীশক্তির পরিচালক বলা হয় কেন ?

উত্তরঃ  উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের অন্তর্গত প্রতিটি জীবের জৈবিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নির্দিষ্ট উয়তার প্রয়োজন হয়। সেই কারণে উন্নতাকে জীবের জীবনীশক্তির পরিচালক বলে।

14.  জীবের উৎপত্তির আধুনিক মতবাদটি লেখো। এই তত্ত্বের জনক কে?

উত্তরঃ  জীবের উৎপত্তির আধুনিক মতবাদটিকে জৈবরাসায়নিক উৎপত্তির মতবাদ বা অ্যাবায়োজেনেসিস তত্ত্ব বলা হয়। এই তত্ত্ব অনুযায়ী ‘অজৈব রাসায়নিক পদার্থ থেকে জৈব পদার্থ এবং জীবের উৎপত্তি ঘটেছে’। আদি পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রকার ভৌত শক্তি,

যেমন—তড়িং বিকিরণ, তেজস্ক্রিয়তা ইত্যাদির প্রভাবে বায়ুমণ্ডলে অজৈব গ্যাসীয় বস্তু থেকে জৈব অণুর উৎপত্তি ঘটে।

তত্ত্বের জনক: বিজ্ঞানী ওপারিন ( 1924) প্রথম এই মতবাদের প্রস্তাবনা করেন। বিজ্ঞানী হ্যালডেন পরে এই মতবাদটিকে সমর্থন করেন।

15. হট ডাইলিউট স্যুপ কী?

উত্তরঃ  কেমোজেনি মতবাদ অনুযায়ী, জীব সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে অজৈব অণুগুলি পরস্পর মিলিত হয়ে ক্ষুদ্র জৈব অণুর (কার্বোহাইড্রেট, অ্যামিনো অ্যাসিড, স্নেহ পদার্থ এবং অন্যান্য জৈব পদার্থ) উৎপত্তি ঘটে। এই উদ্ভূত পদার্থসমূহ সমুদ্রের উত্তপ্ত জলে ভাসতে থাকে। বিজ্ঞান হ্যালডেন (1929) এই ক্ষুদ্র জৈব অণুসমূহের সঙ্গে সমুদ্রের উত্তপ্ত জলের সমাহারকে ‘হট ডাইলিউট স্যুপ’ বলে অভিহিত করেন।

16. প্রোটিনয়েড কী? এর গুরুত্ব কী?

উত্তরঃ  প্রোটিনয়েড: বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স (1958) প্রায় 18 প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিডের শুষ্ক মিশ্রণকে 150°C – 180°C উয়তায় উত্তপ্ত করেন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে বিভিন্ন অ্যামিনো অ্যাসিডগুলি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পলিপেপটাইডের মতো বৃহৎ অণু গঠন করে, যাকে প্রোটিনয়েড বলে।

গুরুত্ব: প্রোটিনয়েডগুলি জলে একত্রিত হয়ে মাইক্রোস্ফিয়ার গঠন করে। বিজ্ঞানী ফক্স-এর মতে আদিকোশ গঠনে এগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

17.  মাইক্রোস্ফিয়ারে জীবের কোন্ বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা যায় ?

উত্তরঃ  প্রোটিনয়েড অণুগুলির সংযুক্তির ফলে মাইক্রোস্ফিয়ার গঠিত হয়। মাইক্রোস্ফিয়ারের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

[1] মাইক্রোস্ফিয়ার দ্বিস্তর আবরণযুক্ত।

[2] এদের মধ্যে চলন দেখা যায়।

[3] এরা অভিস্রবণ ধর্মযুক্ত।

[4] মাইক্রোস্ফিয়ারের অভ্যন্তরে উৎসেচকের ধর্মযুক্ত প্রোটিন পদার্থ বর্তমান।

[5] এরা দ্বি-বিভাজন পদ্ধতিতে বিভাজিত হতে সক্ষম।

18. নগ্ন জিন কী?

উত্তরঃ  জীব সৃষ্টির রাসায়নিক মতবাদ অনুযায়ী, কোশ সৃষ্টির অন্তিম পর্যায়ে পিউরিন, পিরিমিডিন প্রভৃতি নিউক্লিওসাইডগুলি পরস্পর সংযুক্ত হয়ে নিউক্লিক অ্যাসিড গঠন করে। এই নিউক্লিক অ্যাসিড প্রতিলিপি গঠনে সক্ষম ছিল। এই নিউক্লিক অ্যাসিড গঠনে হিস্টোন বা অন্য প্রোটিন অংশ নেয় না। নিউক্লিয় পর্দা দ্বারা আবৃত না থাকার ফলে এই নিউক্লিক অ্যাসিডগুলিকে নগ্ন জিন (naked gene) বলে।

19. কোয়াসারভেট কী? এর গুরুত্ব কী?

উত্তরঃ কোয়াসারভেট: আদিম পৃথিবীতে সমুদ্রের উত্তপ্ত জলে শর্করা, প্রোটিন, লিপিড, নিউক্লিক অ্যাসিড প্রভৃতি জৈব যৌগের সমন্বয়ে গঠিত, বিভাজনে সক্ষম কোলয়েড-জাতীয় কণাকেই কোয়াসারভেট বলে। বিজ্ঞানী ওপারিনের মতে, এটিই হল আদিম কোশ।

গুরুত্ব: বিজ্ঞানীদের মতে, সমুদ্রের জলে নিউক্লিওপ্রোটিন সমন্বিত কোয়াসারভেট থেকেই প্রথম প্রাণের সৃষ্টি হয়।

20. প্রজাতি কাকে বলে?

উত্তরঃ  একটি নির্দিষ্ট জীবগোষ্ঠীর অন্তর্গত জীব, যারা বংশগতভাবে এক ও আন্তঃপ্রজননক্ষম এবং জননের মাধ্যমে প্রজনন অপত্যের জন্ম দেয়, তাদের প্রজাতি বলে।

21.  বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতার গুরুত্ব কী ?

উত্তরঃ  বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির পারস্পরিক নির্ভরশীলতাই প্রকৃতির ভারসাম্য এবং জীবের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে। বিজ্ঞানীদের মতে, যত বেশি সংখ্যক প্রজাতি পৃথিবীতে টিকে থাকবে এবং পারস্পরিক ক্রিয়ায় অংশ নেবে, প্রকৃতির ভারসাম্য ততই সুস্থির হবে।

22.  বাইরে থেকে আসা কোনো প্রজাতি কীভাবে জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করে ?

উত্তরঃ  বাইরে থেকে আসা কোনো উদ্ভিদের বীজ অনেক সময়ে নতুন অঞ্চলে এমনভাবে অভিযোজিত হয় যে, ওই পরিবেশ তার কাছে খুবই অনুকূল হয়। এর ফলে আশেপাশের জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন—কচুরিপানা সৃষ্টির ফলে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য বিশেষভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

23) জীববৈচিত্র্য কাকে বলে? এটি প্রধানত কত প্রকার ?

উত্তরঃ  জীববৈচিত্র্য: কোনো একটি ভৌগোলিক অঞ্চলে বা পরিবেশে, বিভিন্ন প্রকার পরিবেশে এবং বিভিন্ন প্রকার বাস্তুতন্ত্রে বসবাসকারী জীব সম্প্রদায়ের মধ্যে তাদের গঠন, আকার ও প্রকৃতি অনুযায়ী যে বিভিন্নতা দেখা যায়, তাকে জীববৈচিত্র্য বলে।

প্রকারভেদ: জীববৈচিত্র্য প্রধানত তিন প্রকার। যথা—

[1] জিনগত বৈচিত্র্য,

[2] প্রজাতি বৈচিত্র্য এবং

[3] বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।

24. জিনগত বৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তরঃ  একই প্রজাতির মধ্যে জিনের বিভিন্ন প্রকরণ এবং সমন্বয়কে জিনগত বৈচিত্র্য বলে। একই প্রজাতির প্রত্যেক জীবের মধ্যে জিনগত গঠনের সামান্য পরিবর্তন দেখা যায়, যার জন্য এরা একে অন্যের থেকে সামান্য পৃথক হয় ।

25. প্রজাতি বৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তরঃ  কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত বিভিন্ন প্রজাতির জীবের বৈচিত্র্যকে ওই অঞ্চলের প্রজাতি বৈচিত্র্য বলে। কোনো বিশেষ অঞ্চলে বসবাসকারী প্রজাতিসমূহের প্রকারের ভিত্তিতে এবং প্রজাতির সংখ্যা নির্ণয়ের মাধ্যমে প্রজাতি বৈচিত্র্য নির্ধারিত হয়।

26.  বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তরঃ  একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্র এবং তাতে উপস্থিত বিভিন্ন জীবসম্প্রদায়ের যে বৈচিত্র্য দেখা যায়, তাকে বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য বলে। বিভিন্ন জীব বিভিন্নভাবে সমন্বিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার বাস্তুতন্ত্র গঠন করে। বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের গঠন ও কাজ পৃথক হয়। বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের এই বিভিন্নতাই হল বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।

যেমন—প্রবাল দ্বীপের বাস্তুতন্ত্র, বৃষ্টিবনের বাস্তুতন্ত্র।

27. ওপারিন-হ্যালডেন তত্ত্বের স্বপক্ষে একটি পরীক্ষা-নির্ভর প্রমাণ উল্লেখ করো?

উত্তরঃ  ওপারিন-হ্যালডেন তত্ত্বের প্রমাণ স্বপক্ষে বিজ্ঞানী মিলার এবং ইউরে, প্রাচীন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলির সাহায্যে জীবন সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড উৎপাদনে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁরা জলীয় বাষ্প (H2O), মিথেন (CH4), অ্যামোনিয়া (NH3) ও হাইড্রোজেন গ্যাস (H2)-এর মিশ্রণে তড়িৎবিচ্ছুরণ ঘটিয়ে, বিভিন্ন প্রকার সরল জৈব যৌগ (সরল শর্করা, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড) উৎপাদনে সক্ষম হয়েছিলেন।

সিদ্ধান্ত:  এই পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, অক্সিজেন-বিহীন প্রাচীন পৃথিবীর বিজারক পরিবেশে অতিবেগুনি রশ্মি বা বজ্রপাতের প্রভাবেই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ জৈব যৌগগুলি সৃষ্টি হয়েছিল।

জীবন ও তার বৈচিত্র- Class 9 – Life Science Short Question

Class 9 জীবন বিজ্ঞান – Chapter-1 – জীবন ও তার বৈচিত্র

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

GRIP TO WORLD LIFE SCIENCE

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

1.  সজীব বস্তুর প্রধান উপাদানটির নাম কী?

উত্তরঃ সজীব বস্তুর প্রধান উপাদানটির নাম প্রোটোপ্লাজম।

2.  জীবকোশে প্রোটোপ্লাজম গঠনের জন্য বাতাসের কোন উপাদানটির বিশেষ প্রয়োজন ?

উত্তরঃ জীবকোশের প্রোটোপ্লাজম গঠনের জন্য বাতাসের যে উপাদানটির বিশেষ প্রয়োজন, তা হল নাইট্রোজেন

3. কোন্ জীবনক্রিয়া দেহের ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে ?

উত্তরঃ বৃদ্ধি দেহের ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে।

4.  উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার ধর্মকে কী বলে ?

উত্তরঃ উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার ধর্মকে উত্তেজিতা বলে।

5. “পৃথিবীতে জীব সৃষ্টির প্রাথমিক পর্বে, পরিবেশের অজৈব পদার্থসমূহ উপযুক্ত শক্তির প্রভাবে ক্ষুদ্র জৈব অণুর সৃষ্টি করেছিল”—এই প্রকল্পটির স্রষ্টা কে?

উত্তরঃ “পৃথিবীতে জীব সৃষ্টির প্রাথমিক পর্বে, পরিবেশের অজৈব পদার্থসমূহ উপযুক্ত শক্তির প্রভাবে ক্ষুদ্র জৈব অণুর সৃষ্টি করেছিল”—এই প্রকল্পটির স্রষ্টা হলেন আলেকজান্ডার ওপারিন এবং জে. বি. এস. হ্যালডেন।

6. মিলার এবং ইউরে তাঁদের পরীক্ষায় যেসব গ্যাস ব্যবহার করেছিলেন, সেগুলির নাম লেখো।

উত্তরঃ মিলার এবং ইউরে তাঁদের পরীক্ষায় যেসব গ্যাস ব্যবহার করেছিলেন সেগুলি হল—জলীয় বাষ্প, হাইড্রোজেন, মিথেন ও অ্যামোনিয়া।

7. ‘হট ডাইলিউট স্যুপ’ কথাটির প্রবক্তা কে?

উত্তরঃ ‘হট ডাইলিউট স্যুপ’ কথাটির প্রবক্তা হলেন বিজ্ঞানী জে. বি. এস. হ্যালডেন।

৪.  প্রোটোৰায়ন্ট কী ?

 উত্তরঃ  নিউক্লিক অ্যাসিড ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত পর্দাবৃত কণা যা প্রোটোসেলের পূর্বগঠন, তাকে প্রোটোবায়ন্ট বলে।

9.  জীব সৃষ্টির পূর্বে পৃথিবীর আবহাওয়া কীরূপ ছিল? 

উত্তরঃ  জীব সৃষ্টির পূর্বে পৃথিবীর আবহাওয়া বিজারক প্রকৃতির ছিল। 

10. কত বছর আগে জড় বস্তু থেকে রাসায়নিক উপায়ে প্রথম প্রাণের আবির্ভাব ঘটেছিল ? 

উত্তরঃ প্রায় 3.7 বিলিয়ন বছর আগে রাসায়নিক উপায়ে প্রাণের আবির্ভাব ঘটেছিল।

11. থেকে জীব সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে কী বলে ? 

উত্তরঃ জনন বলে।

12. জীব থেকে জীব সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে ষ্টি 12 প্রোটিনয়েডগুলি কীজাতীয় বস্তু ?

উত্তরঃ প্রোটিনয়েডগুলি প্রোটিনজাতীয় বস্তু।

13. প্রোটিনয়েড এবং এদের চারিদিকে সৃষ্ট দুই স্তরবিশিষ্ট ফসফোলিপিড দ্বারা আবৃত গঠনকে একত্রে কী বলা হয় ?

উত্তরঃ  প্রোটিনয়েড এবং এদের চারিদিকে সৃষ্ট দুই স্তরবিশিষ্ট। ফসফোলিপিড দ্বারা আবৃত গঠনকে একত্রে মাইক্রোস্ফিয়ার বলে।

14. জীবনের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ?

উত্তরঃ জীবনের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল প্রজনন ও বিপাক।

15.  প্রোটোরায়ন্ট কি কি দিয়ে গঠিত হয় ? 

উত্তরঃ DNA, RNA এবং প্রোটিনের সমন্বয়ে প্রোটোবায়ন্ট গঠিত হয়।

16.  উদ্দীপক কাকে বলে?

উত্তরঃ  পরিবেশের যে অবস্থাগত পার্থক্য জীবদেহে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে, তাকে উদ্দীপক বলে। 

17. সাড়া কাকে বলে ? 

উত্তরঃ উদ্দীপকের ক্রিয়ার প্রভাবে জীবদেহে যে প্রতিক্রিয়া বা পরিবর্তন দেখা দেয়, তাকে সাড়া বলে।

18.  জীবের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়কে কী বলে ?

উত্তরঃ জীবের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়কে জীবের স্থিতিকাল বলে। 

19. পৃথিবীতে কত প্রকারের জীব আছে বলে অনুমান করা হয়? 

উত্তরঃ  পৃথিবীতে প্রায় তিন কোটি বা তার বেশি প্রজাতির জীব আছে বলে অনুমান করা হয়।

20. কোন কারণের জন্য প্রজাতির বিভিন্নতা সৃষ্টি হয়?

উত্তরঃ  মূলত জিনগত বৈচিত্র্যের জন্য প্রজাতির বিভিন্নতা সৃষ্টি হয়। 

21.  জীববৈচিত্র্যকে সাধারণত যে তিনটি স্তরে বর্ণনা করা হয়, তার নাম লেখো।

উত্তরঃ জীববৈচিত্র্যকে সাধারণত যে তিনটি স্তরে বর্ণনা করা হয় তার নাম—জিনগত বৈচিত্র্য, প্রজাতিগত বৈচিত্র্য এবং বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।

22.  পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জীববৈচিত্র্যের দেশ কোনটি? 

উত্তরঃ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জীববৈচিত্র্যের দেশ হল ব্রাজিল .

 23. আলফা বৈচিত্র্য কাকে বলে ?

উত্তরঃ  কোনো নির্দিষ্ট বাসস্থানে বা ক্ষুদ্র অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রজাতি বৈচিত্র্যকে আলফা বৈচিত্র্য বলে। 

24.  বিটা বৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যে থাকা দুটি পৃথক বাসস্থানে উপস্থিত তুলনামূলক প্রজাতি প্ৰাচুৰ্য্যকে বিটা বৈচিত্র্য বলে।

25. গামা বৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তরঃ  ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক ক্ষেত্রের সমন্বয়ে গঠিত বৃহৎ ভৌগোলিক ক্ষেত্রের সামগ্রিক প্রজাতি প্রাচুর্য্যকে গামা বৈচিত্র্য বলে। 

26. উৎপত্তির সময়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা কত ছিল ?

উত্তরঃ   উৎপত্তির সময়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা ছিল প্রায় 5000-6000°C

27. জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হতে কত বছর সময় লেগেছে?

উত্তরঃ    জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হতে প্রায় 400 কোটি বছর সময় লেগেছে।

28. ভারতে পৃথিবীর কত শতাংশ জীববৈচিত্র্য দেখা যায় ? 

উত্তরঃ   ভারতে পৃথিবীর প্রায় পাঁচ শতাংশ জীববৈচিত্র্য দেখা যায়।

29 প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলে কে উল্লেখ করেন ? 

উত্তরঃ   বিজ্ঞানী টি. এইচ. হাক্সলে প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলে উল্লেখ করেন।

30.  প্রোটোপ্লাজমে আত্তীকরণ দ্বারা কোশীয় উপাদানের সংযোজনকে কী বলে ? 

উত্তরঃ   প্রোটোপ্লাজমে আত্তীকরণ দ্বারা কোশীয় উপাদানের সংযোজনকে ইন্টুসাসেপশন বা অন্তঃসংযোজন বলে।

31. হৃৎস্পন্দন, ফুসফুসের প্রসারণ-সংকোচনজাতীয় জীবনের ধর্মটিকে কী বলে?

উত্তরঃ   হৃৎস্পন্দন, ফুসফুসের প্রসারণ-সংকোচনজাতীয় জীবনের ধর্মটিকে ছন্দোবদ্ধতা বা রিদ্‌মিসিটি বলে।

32. পচনশীল বস্তু থেকে প্রাণের উৎপত্তির তত্ত্বের নাম কী 

উত্তরঃ   পচনশীল বস্তু থেকে প্রাণের উৎপত্তির তত্ত্বের নাম স্বতঃস্ফূর্ত উদ্ভব তত্ত্ব।

33.  প্রাণের উৎপত্তি-সংক্রান্ত সায়ানোজেন মতবাদের প্রণেতা কে? 

উত্তরঃ   জার্মান বিজ্ঞানী ব্লুজার হলেন প্রাণের উৎপত্তি-সংক্রান্ত সায়ানোজেন মতবাদের প্রণেতা।

34. বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে ক্রমপর্যায়ে কোন্ দুটি উপাদান তৈরিতে সক্ষম হয়েছিলেন ?

উত্তরঃ   বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে ক্রমপর্যায়ে প্রোটিনয়েড ও মাইক্রোস্ফিয়ার তৈরিতে সক্ষম হয়েছিলেন।

35. প্রাচীন জিনের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তরঃ   প্রাচীন জিন নগ্ন প্রকৃতির ছিল এবং রেপ্লিকেশন, ট্রান্সলেশন পদ্ধতিগুলি ত্রুটিযুক্ত ছিল। 

36. প্রাইমরডিয়াল স্যুপ’ কী ?

উত্তরঃ   বিজ্ঞানী হ্যালডেন তপ্ত লঘু স্যুপ’-কে ‘প্রাইমরডিয়াল স্যুপ’ বলে উল্লেখ করেন।

গ্রহরুপে পৃথিবী- CLASS 9 SHORT QUESTION MARKS 1

একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও:

 

  • সৌরজগতে মোট কয়টি প্রধান গ্রহ আছে?

ANSWER: ৪ টি

  • পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশের ক্ষেত্রফল কত?

ANSWER:  প্রায় 51 কোটি 72 হাজার বর্গকিমি।

  • উপগ্রহ নেই এমন দুটি গ্রহের নাম লেখো।

ANSWER: বুধ ও শুক্র।

  • কোন্ গ্রহের উপগ্রহ সবচেয়ে বেশি?

ANSWER: বৃহস্পতির।

  • পৃথিবীর আনুমানিক ভর কত?

ANSWER: 5.97219 × 1024 কিগ্ৰা

  • GEOID শব্দের অর্থ কী?

ANSWER: পৃথিবীর সদৃশ।

  • একাট কুলান গ্রহের নাম লেখো।

ANSWER: মঙ্গল।

  • সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে কত সময় লাগে?

ANSWER:  8.2 মিনিট।

  • এরাটোথেনিসের মতে পৃথিবীর পরিধি কত?

ANSWER:  46,250 কিমি।

  • সৌরজগতে একমাত্র আলোর উৎস কী?

ANSWER:  সূর্য।

  • GPS-এর পুরো অর্থ কী?

ANSWER: Global Positioning System

  • GPS ব্যবহারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কয়টি উপগ্রহের প্রয়োজন?

ANSWER: 3টি।

  • 2006 সালে কোন্ গ্রহকে বামন গ্রহ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?

ANSWER: প্লুটোকে।

  • সৌরজগতের কেন্দ্রে কে থাকে?

ANSWER: সূর্য।

  • সৌরজগতের কোন্ গ্রহকে ‘লাল গ্রহ’ বলা হয় ?

ANSWER:  মঙ্গলকে।

  • সৌরজগতের গ্রহগুলি কার দ্বারা আলোকিত হয় ?

>ANSWER: সূর্য।

  • সূর্যের নিকটতম গ্রহ কোনটি ?

ANSWER: বুধ।

  • পৃথিবী থেকে সূর্যের মধ্যে সর্বাধিক দূরত্ব কত?

ANSWER: 15 কোটি 20 লক্ষ কিমি।

  • পৃথিবীর সবচেয়ে নীচু স্থানের নাম কী?

ANSWER: মারিয়ানা খাত।

  • উত্তর গোলার্ধে কোন স্থানের ধ্রুবতারার উন্নতিকোণ 90° হবে ?

ANSWER:  সুমেরু বিন্দুতে।

  • পৃথিবীর আবর্তন কোন্ দিক থেকে কোন্ দিকে ?

ANSWER: পশ্চিম থেকে পূর্বে।

  • IAU-এর পুরোকথা কী ?

ANSWER:  International Astronomical Union.

  • 2006 সালের 24 আগস্ট IAU-এর সভা কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?

ANSWER:  চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ্ শহরে।

  • এরাটোসথেনিস পৃথিবীর পরিধি নির্ণয়ের জন্য মিশরের কোন্-কোন্ শহরকে বেছে নিয়েছিলেন?

ANSWER:   মিশরের সিয়েন ও আলেকজান্দ্রিয়া শহরকে।

  • পৃথিবীর অভিকর্ষজ বলের মান কোন্ অন্যলে সবচেয়ে কম ?

ANSWER:   নিরক্ষীয় অঞ্চলে।

  • পৃথিবীর ব্যাস কোথায় সবচেয়ে বেশি?

ANSWER:   নিরক্ষীয় অঞ্চলে (প্রায় 12,757 কিমি)।

  • সৌরজগতে আয়তনে বৃহত্তম গ্রহ কোন্‌ টি ?

ANSWER:   বৃহস্পতি।

  • ভূপৃষ্ঠে GPS-এর প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?

ANSWER:  আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো রাজ্যে।

  • পৃথিবীতে সমুদ্র তলদেশে কত কিমি গভীরতা পর্যন্ত জীবের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয় ?

ANSWER:  ৭ কিমি।

  • বেডফোর্ড লেভেল পরীক্ষা কোথায় হয়েছিল ?

ANSWER:  ইংল্যান্ডের ওল্ড বেডফোর্ড নদীতে।

  • পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি কীরকম?

ANSWER:  পৃথিবীর মতো।

  • কোন সময় থেকে GPS পুরোপুরি চালু হয় ?

ANSWER:  1990-এর দশক থেকে।

  • জীবগোষ্ঠী তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় 02 কোথা থেকে সংগ্রহ করে ?

ANSWER:   বায়ুমণ্ডল।

  • পৃথিবীর কোন্ গতির ফলে মধ্যভাগ স্ফীত হয়েছে?

ANSWER:   আবর্তন গতি ৷

  • কে প্রথম Geoid শব্দটি ব্যবহার করেন?

ANSWER:  জোহান বেনডিক্ট লিসটিং।

  • কোন্ পরিমাপের বিজ্ঞান হল Geodesy ?

ANSWER:   পৃথিবীর আকৃতি ।

  • পৃথিবীর আনুমানিক বয়স কত ?

ANSWER:  প্রায় 460 কোটি বছর।

  • পৃথিবীর গড় উষ্ণতা কত?

ANSWER:  15° সেলসিয়াস ।

  • কোন্ সালে প্লুটোকে বামন গ্রহ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে?

ANSWER:   2006 সালে।

  • ক্যুইপার বেল্ট কী?

ANSWER:  সৌরজগতের হিমশীতল প্রান্ত।

YOU ALSO MY LIKE:

  1.  গ্রহ্রুপে পৃথিবী -ক্লাস ৯-চাপ্টার ১- MCQ
  2. Class 9 Geography Chapter 1 MCQ of Graharupa Prithibi

Class 9 Geography Chapter 1 MCQ of Graharupa Prithibi

গ্রহ্রুপে পৃথিবী -ক্লাস ৯-চাপ্টার ১- MCQ

নীল গ্রহ বলা হয়—

  1. পৃথিবীকে
  2. শনিকে
  3. শুক্রকে
  4. মঙ্গলকে

ANS: পৃথিবীকে

পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ

  1. বুধ
  2. শুক্র
  3. মঙ্গল
  4. বৃহস্পতি

ANS: শুক্র

পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাসের দৈর্ঘ্য-

  1. 12,712 কিমি
  2. 12,745 কিমি
  3. 12,757 কিমি
  4. 12,500 কিমি

ANS: 12,757 কিমি

পৃথিবীর মেরু ব্যাসের দৈর্ঘ্য—

  1. 12,400 কিমি
  2. 12,700 কিমি
  3. 12,714 কিমি
  4. 12, 720 কিমি

ANS: 12,714 কিমি

পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে”। প্রথম বলেন—

  • গ্যালিলিয়ো
  • কোপারনিকাস
  • বরাহমিহির
  • আর্যভট্ট

ANS: আর্যভট্ট

সূর্যের নিকটতম গ্রহের নাম—

  • বুধ
  • প্লুটো
  • নেপচুন
  • শুক্র

ANS: বুধ

“পৃথিবী সূর্যের এবং নিজের চারিদিকে ঘোরে”—সর্বপ্রথম বলেন—

  1. কোপারনিকাস
  2. আর্যভট্ট
  3. গ্যালিলিয়ো
  4. নিউটন

ANS: কোপারনিকাস

পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব হল—

  1. 14 কোটি কিমি
  2. 15 কোটি কিমি
  3. 16 কোটি কিমি
  4. 12 কোটি কিমি

ANS: 15 কোটি কিমি

পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি—

  • বৃত্তাকার
  • উপবৃত্তাকার
  • অভিগত গোলকের ন্যায়
  • আয়তাকার

ANS: অভিগত গোলকের ন্যায়

পৃথিবীর স্থলভাগের সর্বোচ্চ অঞ্চল –

  1. মাউন্ট এভারেস্ট
  2. পামির মালভূমি
  3. তিব্বত মালভূমি
  4. সুমেরু অঞ্চল

ANS: মাউন্ট এভারেস্ট

পৃথিবীর গভীরতম অঞ্চল—

  1. মারিয়ানা খাত
  2. সুন্দা খাত
  3. কুমেরু অঞ্চল
  4. সেন্ট লুইস খাত

ANS: মারিয়ানা খাত

পৃথিবীর বন্ধুরতার প্রসর প্রায়—

  1. 10 কিমি
  2. 20 কিমি
  3. 25 কিমি
  4. 30 কিমি

ANS: 20 কিমি

পৃথিবীর নিরক্ষীয় ও মেরু ব্যাসের মধ্যে পার্থক্য

  1. 40 কিমি
  2. 42 কিমি
  3. 43 কিমি
  4. 45 কিমি

ANS: 43 কিমি

একটি বামন গ্রহের উদাহরণ হল—

  1. প্লুটো
  2. বুধ
  3. নেপচুন
  4. মঙ্গল

ANS: প্লুটো

বেডফোর্ড খালের পরীক্ষা করেন—

  1. ওয়ালেস
  2. টরিসেলি
  3. ফুঁকো
  4. গ্যালিলিয়ো

ANS: ওয়ালেস

পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ-

  1. 6,300 কিমি
  2. 6,371 কিমি
  3. 6,600 কিমি
  4. 6,500 কিমি

ANS: 6,371 কিমি

1797 সালে বিজ্ঞানী হেনরি ক্যাভেনডিস নির্ণয় করেন পৃথিবীর—

  1. ওজন
  2. ঘনত্ব
  3. পরিধি
  4. ব্যাস

ANS: ব্যাস

সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে পৃথিবীর স্থান

  1. প্রথম
  2. দ্বিতীয়
  3. তৃতীয়
  4. চতুর্থ

ANS: তৃতীয়

পৃথিবীর প্রকৃত পরিধি হল—

  1. 40,400 কিমি
  2. 40,075 কিমি
  3. 40,200 কিমি
  4. 40,500 কিমি

ANS: 40,075 কিমি

সূর্য একটি-

  1. গ্রহ
  2. উপগ্রহ
  3. নক্ষত্র
  4. গ্রহাণু

ANS: নক্ষত্র

সূর্যের ওজন পৃথিবীর ওজনের প্রায়—

  1. লক্ষ গুণ
  2. লক্ষ গুণ
  3. লক্ষ গুণ
  4. লক্ষ গুণ

ANS: লক্ষ গুণ

সৌরজগতে মোট কুলীন গ্রহের সংখ্যা—

  1. 7 টি
  2. 8 টি
  3. 9 টি
  4. 6 টি

ANS: 8 টি

বলয়যুক্ত গ্রহ হল—

  1. শনি
  2. পৃথিবী
  3. বুধ
  4. শুক্র

ANS: শনি

শনির একটি উপগ্রহের নাম—

  1. চাঁদ
  2. টাইটান
  3. ফোবোস
  4. হমিয়া

ANS: টাইটান

GPS-এর মোট অংশ—

  1. 3 টি
  2. 4 টি
  3. 6 টি
  4. 5 টি

ANS: 3 টি

প্রাচীনযুগে মানুষের ধারণা ছিল পৃথিবী—

  1. গোলাকার
  2. সমতল
  3. অভিগত গোলাকার
  4. চৌকো

ANS: সমতল

কলম্বাস-

  1. ফ্রান্সের পর্যটক
  2. জাপানের পর্যটক
  3. পর্তুগালের পর্যটক
  4. স্পেনের পর্যটক

ANS: স্পেনের পর্যটক

মেসোপটেমিয়ার পৌরাণিক কাহিনিতে মনে করা হয় পৃথিবী—

  1. শূন্যে ভাসছে
  2. একা দাঁড়িয়ে আছে
  3. মহাসাগরে ভাসছে
  4. কোথাও ভাসছে না

ANS: মহাসাগরে ভাসছে

পৃথিবী গোল প্রথম বলেন—

  1. প্লেটো
  2. পিথাগোরাস
  3. অ্যারিস্টটল
  4. স্ট্রাবো

ANS: পিথাগোরাস

পিথাগোরাস ছিলেন-

  1. গ্রিক দার্শনিক
  2. রোমান দার্শনিক
  3. ব্রিটিশ দার্শনিক
  4. পোর্তুগিজ দার্শনিক

ANS: গ্রিক দার্শনিক

‘পৃথিবী গোল’-এর সপক্ষে প্রথম প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেন—

  1. পিথাগোরাস
  2. ম্যাজেলান
  3. কলম্বাস
  4. অ্যারিস্টটল

ANS: ম্যাজেলান

Chepter 1- নদীর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ

Class 10 Geography Chepter 1- নদীর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ;

বহুবিকল্পভিত্তিক উত্তরধর্মী প্রশ্ন:

সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:

  • পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা হল

Ans: আমাজন

  • পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী

Ans: নীল

  • পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাতটি হল—

Ans: সাল্টো এঞ্জেল

  • পৃথিবীর গভীরতম ক্যানিয়ন—

Ans: গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন

  • ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত

Ans: যোগ

  • নিউ মুর দ্বীপটি যে নদীর মোহানায় অবস্থিত-

Ans: হাড়িয়াভাঙা

  • পৃথিবীর বৃহত্তম নদীগঠিত দ্বীপ—

Ans: ইলহা দ্য মারাজো

  • অপেক্ষাকৃত কম ঢালযুক্ত  ছোটো ছোটো জলপ্রপাতকে বলে

Ans: র‍্যাপিড

  • একটি কাসপেট বদ্বীপের উদাহরণ

Ans:- তাইবার নদীর বদ্বীপ

  1. পলল শঙ্কু বা পলল ব্যজনী গড়ে ওঠে নদীর—

Ans: পর্বতের পাদদেশে

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:

উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:

  • নদীর উৎস অঞ্চলের অববাহিকাকে ধারণ অববাহিকা বলে।
  • নদীর আঁকাবাঁকা গতিপথকে মিয়েন্ডার বলে।
  • নদী মোহানা খুব প্রশস্ত হলে তাকে খাঁড়ি বলে।
  • গাঙ্গেয় বদ্বীপের আকৃতি ধনুকের মতো
  • সেন্ট লরেন্স নদীর গতিপথে বিখ্যাত জলপ্রপাতটি হল – নায়াগ্রা.
  • আমাজন নদী পৃথিবীর সর্বাধিক জল বহন করে।
  • জলপ্রপাতের নীচে সৃষ্ট গর্তকেপ্লাঞ্জপুল বলা  হয়।
  • নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ইংরেজি ‘V’ আকৃতির উপত্যকাকে – গিরিখাত বলে।
  • নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ইংরেজি  ‘I’ আকৃতির উপত্যকাকে ক্যানিয়ন  বলে।
  • মাজুলি– ভারতের বৃহত্তম নদীগঠিত চড় বা দ্বীপ।

স্তম্ভ মেলাও:

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
পক্ষীপাদ বদ্বীপতাইবার
কাসপেট বদ্বীপনীল
খাঁড়িয় বদ্বীপমিসিসিপি
ধনুকাকৃতির বদ্বীপকাস্পিয়ান সাগর
হ্রদ বদ্বীপওব

Answer: 1=C, 2=A , 3=E , 4= B,  5= D

দু-এক কথায় উত্তর দাও:

  1.  পৃথিবীর সুদৃশ্যতম জলপ্রপাতের নাম কী?

উত্তর: নায়াগ্রা।

  •  পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ কোন্‌টি?

উত্তর: গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ।

  •  একটি পাখির পায়ের মতো বদ্বীপের নাম করো?

উত্তর: মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ।

  •  একটি ধনুকাকৃতির বদ্বীপের নাম করো?

উত্তর: নীলনদের বদ্বীপ।

  •  একটি আদর্শ নদীর উদাহরণ দাও।

উত্তর: গঙ্গা।

  •  দুটি নদী অববাহিকার মধ্যবর্তী উচ্চভূমিকে কী বলে?

উত্তর: জলবিভাজিকা।

  •  দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূভাগকে কী বলে?

উত্তর: দোয়াব।

  •   নদীর জলের উচ্চতার হ্রাসবৃদ্ধিকে কী বলে?

উত্তর: নদীবর্তন।

  •  কোন্ নদীর মোহানায় পৃথিবীর দীর্ঘতম খাঁড়ি দেখা যায়?

উত্তর: ওব নদীর মোহানায়।

  1.  নদীর ক্ষয়কার্যের শেষসীমা কী?

উত্তর: সমুদ্রপৃষ্ঠ।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:

  1. গিরিখাত কী?

উত্তর: উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল খুব বেশি ই থাকে বলে নদী প্রবলবেগে নীচে থামতে থাকে এবং ক্ষয় ক্ষমতাও অধিক হয়। এইসময় নদীর প্রবল স্রোতের আঘাতে অধিক নিম্নক্ষয় ও সামান্য পার্শ্বক্ষয়ের দ্বারা নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয় এবং ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো গভীর খাতের সৃষ্টি হয়। একে গিরিখাত বা গিরিসংকট বলে। পেরু রাষ্ট্রের কল্কা নদীর এল ক্যানন দ্য কলকা পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত।

  • ক্যানিয়ন কী?

উত্তর: শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবে নদীর পার্শ্বক্ষয় একেবারেই হয় না বলে শুধুমাত্র নিম্নক্ষয়ের দ্বারা শিলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলি আরও গভীর ও সংকীর্ণ উপত্যকার সৃষ্টি করে। এই ইংরেজি “I” অক্ষরের মতো গভীর গিরিখাতকে এবং ক্যানিয়ন বলে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বল নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যানিয়ন।

  •  পলল শঙ্কু কী?

উত্তর: উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে নদী যখন সমভূমিতে নেমে আসে তখন ভূমির ঢাল হঠাৎ কমে যায় এবং নদীর বহনক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে পর্বতের পাদদেশ নদীবাহিত নানা আকৃতির নুড়ি, বালি, কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে ত্রিকোণাকার হাতপাখার মতো ভূভাগ গঠন করে, তাকে পলল ন্য শঙ্কু বা পলল পাখা বলে ।

  •  মন্থকূপ কী?
  •  মিয়েন্ডার কি?

 উত্তর: নদী যখন সমভূমি অঞ্চলে প্রবেশ করে তখন ভূমির ঢাল কম বলে নদীর স্রোতের বেগ কমে যায়। তখন নদীর গতিপথে কোনো বাধা বা কঠিন শিলাস্তর অবস্থান করলে তাকে এড়িয়ে নদী আঁকাবাঁকা পথে অতি মন্থর গতিতে প্রবাহিত হয়। সমভূমি প্রবাহে নদীর এই আঁকাবাঁকা গতিপথকে নদী বাঁক বা মিয়েন্ডার (তুরস্কের মিয়েন্ড্রাস নদীর নামানুসারে) বলে।

  • . খাঁড়ি কী?

উত্তরঃ  নদী মোহানা খুব প্রশস্ত বা ফানেলাকৃতির হলে, তাকে খাঁড়ি বলে। সাধারণত নদী মোহানায় বিপরীত দিক থেকে আসা প্রবল জোয়ারের লবণাক্ত জল নদীতে ঢুকে পড়ে এবং সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে ফানেলাকৃতির যে নালা বা নদীখাতের সৃষ্টি করে, তাকে খাঁড়ি বলে। ওব নদীর মোহানায় গঠিত খাঁড়িটি পৃথিবীর দীর্ঘতম খাঁড়ি।

  •   প্লাবনভূমি কী?

উত্তর: বর্ষাকালে নদীর জল বেড়ে যায় ও দু’কূল ছাপিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে। নদী উপত্যকার নীচু জমিতে বন্যার জল ঢুকে পড়ে ও পরে বন্যার জল সরে গেলে সেখানে নদীবাহিত পলি পড়ে থাকে। এভাবে বন্যার ফলে বছরের পর বছর পলি সঞ্চিত হয়ে যে নতুন ভূভাগ গঠন করে, তাকে প্লাবনভূমি বলে।

  • স্বাভাবিক বাঁধ বলতে কী বোঝ?

 উত্তর: নদীর নিম্নগতিপথে দুই তীর বরাবর নদীবাহিত পলি ক্রমাগত সঞ্চিত হয়ে যে অনেকটা উঁচু বাঁধের মতো ভূমিরূপ গঠন করে, স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি বলা হয়।

  •  নদীমঞ্চ কী?

উত্তর: নদী যখন ঊর্ধ্বগতিপথের শেষভাগে এবং মধ্যগতিপথের প্রথমভাগে প্রবেশ করে তখন নদীর গতিবেগ কমে যায়। এই স্থানে নদীবাহিত নুড়ি, বালি, কাঁকড় প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে, অসমান ধাপের সৃষ্টি করে, নদী উপত্যকায় গঠিত এ ধরনের বিস্তীর্ণ সিঁড়ির মতো ধাপকে নদীমঞ্চ বলে।

  •  অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলতে কী বোঝ?

উত্তর: নিম্নপ্রবাহে দুটি নদীবাঁক পরস্পরের নিকটবর্তী হলে নদী পুরোনো খাত ছেড়ে নতুন খাতে প্রবাহিত হয়। পুরোনো খাতটি ঘোড়ার ক্ষুরের মতো দেখতে হয় বলে একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে।

  • নদীগ্রাস কী?

উত্তর: কোনো জলবিভাজিকার দুই ঢাল থেকে উৎপন্ন পরবর্তী নদী দু’পাশের অনুগামী নদীতে এসে মিলিত হলে যে পরবর্তী নদীটি বেশি শক্তিশালী সেটি মস্তকের দিকে দ্রুত ক্ষয় করে। এইভাবে জলবিভাজিকার অন্যদিকে অবস্থিত অপেক্ষাকৃত দুর্বল পরবর্তী নদীর মধ্য দিয়ে অন্য অনুগামী নদীটিকে যখন শক্তিশালী নদীটি অধিগ্রহণ বা গ্রাস করে, তাকে নদীগ্রাস বলে।

  •  নিক পয়েন্ট কী?

উত্তর: ভূ-আলোড়নের ফলে নদীপথের উত্থান হয়ে অথবা সমুদ্র দূরে সরে যাওয়ায় নদীর পুনর্যৌবন লাভ ঘটে। এক্ষেত্রে নদী পুনরায় একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ গতিপথ সৃষ্টির জন্য একটি নতুন নদীখাতের সৃষ্টি করে। নদীর এই নতুন খাতটি যেখানে পুরোনো নদীখাতের সঙ্গে মিলিত হয়, অর্থাৎ যে বিন্দুতে পুরোনো ও নতুন ঢালের সংযোগ ঘটে, সেই বিন্দুকে নিক বিন্দু বা নিক পয়েন্ট বলে। ভূপ্রকৃতিগত পার্থক্যের কারণে এই স্থানে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।

  •  আদর্শ নদী কাকে বলে?

উত্তর: সাধারণত যে নদীর ঊর্ধ্ব বা পার্বত্য প্রবাহ, মধ্য বা সমভূমি প্রবাহ ও নিম্ন বা বদ্বীপ প্রবাহ—এই তিনটি প্রবাহই সুস্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে আদর্শ নদী বলে। যেমন: ভারতের গঙ্গা একটি আদর্শ নদীর উদাহরণ।

  •  ষষ্ঠঘাতের সূত্র কী?

উত্তর: নদীর গতিবেগ বৃদ্ধিজনিত কারণে নদীর বহনক্ষমতা সেই অনুপাতে বেড়ে যায়। সাধারণভাবে নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলে তার বহনক্ষমতা 26 গুণ অর্থাৎ 64 গুণ বেড়ে যায়। নদীর গতিবেগ ও বহনক্ষমতা বৃদ্ধির এই সূত্রকে ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলা হয়।

  •  জলবিভাজিকা বলতে কী বোঝ?

উত্তর: পাশাপাশি অবস্থিত দুটি নদী অববাহিকাকে যে উচ্চভূমি পৃথক করে রাখে, তাকে জলবিভাজিকা বলে। সাধারণত ভূপৃষ্ঠের পর্বত ও মালভূমিগুলি জলবিভাজিকা হিসেবে ভূপৃষ্ঠে বিরাজ করে। যেমন—এশিয়া মহাদেশের মধ্যভাগের উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল বা উচ্চভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম জলবিভাজিকা।

  •  ধারণ অববাহিকা কাকে বলে?

উত্তর: নদীর উৎস অঞ্চলের অববাহিকাকে ধারণ অববাহিকা বলে উৎস অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বিভিন্ন জলধারা যখন প্রধান নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে মূল নদীর জলধারা বৃদ্ধি করে, তখন নদীর সেই উৎস অঞ্চলের অববাহিকাকে ধারণ অববাহিকা বলে। এটি সাধারণত নদীর ঊর্ধ্ব প্রবাহে দেখা যায়।

  •  নদী অববাহিকা কাকে বলে?

উত্তর: সাধারণত প্রধান নদী তার উপনদী ও শাখানদী নিয়ে যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই অঞ্চলকে নদী অববাহিকা বলে। এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত অন্যান্য উপনদী ও শাখানদীর বাহিত জল, ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলের ধুয়ে আসা জল এবং বৃষ্টি ও বরফগলা জল বহন করে যে অঞ্চল, সেই অঞ্চলকে নদী অববাহিকা বলে। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদী অববাহিকা হল পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা।

পর্যায়িত নদী কী?

উত্তর: নদী তার গতিপথে ক্ষয়, বহন অবক্ষেপণ কাজের মাধ্যমে সবরকমের অসঙ্গতি দূর করে শেষ পর্যন্ত পরিণত পর্যায়ে একটি সঙ্গতি বা সামঞ্জস্যপূর্ণ ঢাল সৃষ্টি করে। নদীর এই ঢালকে পর্যায়িত ঢাল এবং এই ঢালে প্রবাহিত নদীকে পর্যায়িত নদী বলে।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তরধর্মী প্রশ্ন:

  1.  গিরিখাত ও ক্যানিয়নের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
গিরিখাতক্যানিয়ন
উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল খুব বেশি ই থাকে বলে নদী প্রবলবেগে নীচে থামতে থাকে এবং ক্ষয় ক্ষমতাও অধিক হয়। এইসময় নদীর প্রবল স্রোতের আঘাতে অধিক নিম্নক্ষয় ও সামান্য পার্শ্বক্ষয়ের দ্বারা নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয় এবং ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো গভীর খাতের সৃষ্টি হয়। একে গিরিখাত বা গিরিসংকট বলে।  শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবে নদীর পার্শ্বক্ষয় একেবারেই হয় না বলে শুধুমাত্র নিম্নক্ষয়ের দ্বারা শিলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলি আরও গভীর ও সংকীর্ণ উপত্যকার সৃষ্টি করে। এই ইংরেজি “I” অক্ষরের মতো গভীর গিরিখাতকে এবং ক্যানিয়ন বলে।
পেরু রাষ্ট্রের কল্কা নদীর এল ক্যানন দ্য কলকা পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাতআমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বল নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যানিয়ন।
  • মন্থকূপ ও প্রপাতকূপের মধ্যে পার্থক্য লেখো?
পার্থক্যের বিষয়মন্থকূপপ্রপাতকূপ
ধারণানদীর পার্বত্য প্রবাহে নদীখাতের তলদেশে বর্তুলাকৃতির যে গর্তের সৃষ্টি হয়, তাকে মন্থকূপ বা পটহোল বলে।জলপ্রপাতের তলদেশে যেখানে জলস্রোতের সঙ্গে প্রস্তরখণ্ড প্রবল বেগে এসে পড়ে সেখানে প্রচণ্ড আঘাতে বিশালাকার হাঁড়ির মতো দেখতে গর্তের সৃষ্টি হয়, যেগুলিকে প্রপাতকূপ বা প্লাঞ্জপুল বলে।
সৃষ্টির প্রক্রিয়ানদীর অবঘর্ষণ ও বুদবুদজনিত ক্ষয়।প্রবল জলস্রোতের সঙ্গে প্রস্তরখণ্ডের ক্রমাগত আঘাত।
উদাহরণগঙ্গানদীর উচ্চপ্রবাহে দেখা যায়।ভারতের হুডু জলপ্রপাতের পাদদেশে দেখা যায়।
  • জলপ্রপাত ও খরস্রোতের মধ্যে পার্থক্য লেখো ?
পার্থক্যের বিষয়জলপ্রপাতখরস্রোত
ধারণানদীর পার্বত্য প্রবাহে ঢালের তারতম্যের কারণে নদীর জলরাশি ওপর থেকে নীচে সবেগে আছড়ে পড়লে, তাকে জলপ্রপাত বলেনদীর পার্বত্য প্রবাহে যেসব অসংখ্য ছোটো ছোটো জলপ্রপাত গঠিত হয়, তাদের খরস্রোত বলে
অবস্থাননদীর পার্বত্য প্রবাহে শিলাস্তরের আড়াআড়ি বা উল্লম্ব অবস্থান, চ্যুতিতল, পুনর্যৌবন লাভের ফলে  সৃষ্ট নিক পয়েন্ট, ঝুলন্ত উপত্যকার প্রান্তভাগের খাড়া ঢাল ও মালভূমির খাড়া ঢাল বরাবর অংশে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।নদীর পার্বত্য প্রবাহে প্রায় সর্বত্রই খরস্রোতের সৃষ্টি হয়।
উদাহরণকারাও নদীর সাল্টো এঞ্জেল।আফ্রিকার জাইর নদীর খরস্রোত
  • জলপ্রপাত সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: বিভিন্ন কারণে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।

 যেমন:

 [1) শিলাস্তরের বিন্যাস ও চ্যুতিতল বরাবর : নদীর গতিপথে কঠিন শিলা ও কোমল শিলা পরস্পর উল্লম্বভাবে বা আড়াআড়িভাবে অবস্থান করলে অসম ক্ষয়কার্যের ফলে উৎপন্ন খাড়া ঢাল বরাবর জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও ভূ-আলোড়নের ফলে নদীর গতিপথে খাড়া ঢাল বা চ্যুতিতলের সৃষ্টি হলেও জলপ্রপাত গঠিত হয়।

[2] নিক পয়েন্ট: ভূমির পুনর্যৌবন লাভের ফলে নদীর গতিপথে পুরোনো নদীখাত ও নতুন খাতের মিলনস্থলে যে খাঁজ বা নিক পয়েন্ট গড়ে ওঠে, সেই স্থানেও জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।

[3] বুলিন্ত উপত্যকা : পার্বত্য হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ঝুলন্ত উপত্যকার প্রান্তভাগের খাড়া ঢালে।

  • জলপ্রপাত ক্রমশ উৎসের দিকে সরে যায় কেন?

উত্তর:  জলপ্রপাত ক্রমশ উৎসের দিকে সরে যায় বা পশ্চাদপসারণ করে, কারণ –

[1] নদীর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলার অবস্থানগত তারতম্যের কারণে অসম ক্ষয়কার্য হয়। এর ফলে কঠিন শিলা অপেক্ষা কোমল শিলাস্তর দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং এর ফলে জলপ্রপাত ক্রমশ পিছনদিক বা মস্তকের দিকে সরে যায়।

[2] এ ছাড়াও, নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর পুরাতন ও নতুন ঢালের সংযোগ বিন্দুতে সৃষ্ট নিক বিন্দু বা নিক পয়েন্টে নদীর ক্ষয় দ্রুত হতে থাকে। নদী তার ঢালকে নদীক্ষয়ের নতুন শেষ সীমা অনুযায়ী মসৃণ করার জন্য মোহানা থেকে ক্রমশ ঊর্ধ্বপ্রবাহের দিকে ক্ষয় করতে শুরু করে। এর ফলে নিক বিন্দুতে সৃষ্ট প্রপাতটি ক্রমশ পিছনদিকে বা উৎসের দিকে সরে যায়।

[3] নদীর পুনর্যৌবনলাভের কারণে নদীর ঢালের যে পরিবর্তন ঘটে, তার ফলে ক্রমশ জলপ্রপাতের পশ্চাদপসরণ ঘটে।

  • বিভিন্ন প্রকার জলপ্রপাতের প্রেণিবিভাগ করো।

উত্তর: ভূপৃষ্ঠের যাবতীয় জলপ্রপাতকে নিম্নলিখিত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

(1) র‍্যাপিড: অল্প উচ্চতাযুক্ত অসম ঢালে সৃষ্ট জলপ্রপাত হল র‍্যাপিড। যেমন সুবর্ণরেখা নদীর হুজু জলপ্রপাত।

[2] কাসকেড : একাধিক ধাপ ও ধারায় জলপ্রপাতের জল নীচের দিকে পতিত হলে, তাকে কাসকেড বলে। যেমন সুবর্ণরেখা নদীর জোহা জলপ্রপাত।

[3] ক্যাটার‍্যাক্টঃ  অধিক উচ্চতা থেকে প্রবল ও ভয়ঙ্কর জলরাশি উত্তাল গতিতে নেমে এলে, তাকে ক্যাটারাক্ট বলে। যেমন—সাল্টো এঞ্জেল জলপ্রপাত।

  • অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বদ্বীপ অঞ্চলে দেখা যায় কেন?

উত্তরঃ বদ্বীপ অঞ্চলে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টি হয়, কারণ—

[1] ভূমির ঢাল অত্যন্ত কমে যাওয়ায় নদী এখানে অত্যন্ত সর্পিল বা আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হয়।

[2] ক্রমাগত জলস্রোতের ধাক্কায় অবতল অংশ ক্ষয় হয় এবং এভাবে নদীর বাঁক ক্রমশ বাড়তে থাকলে বাঁকের মাঝের অংশটি সংকীর্ণ হয়। নদীর উত্তল অংশে পলি সঞ্চয়ের ফলে নদীর বাঁকের মাঝের সামান্য ব্যবধান লুপ্ত হয়ে নদী থেকে বাঁকা অংশটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

[3] বেশি বাঁকযুক্ত স্থানের পরিবর্তে নদী নতুন ও সোজা পথে প্রবাহিত হয় এবং বিচ্ছিন্ন ও পরিত্যক্ত নদী বাঁকের অগ্রভাগে পলি, কাদা, সঞ্চিত হয়ে খাতের মুখটি বন্ধ হয়ে গেলে জল আবদ্ধ হয়ে অশ্বের ক্ষুরের মতো হ্রদের সৃষ্টি করে।

  • সব নদীতে বদ্বীপ গড়ে ওঠে না কেন?

উত্তর: সব নদীতে বদ্বীপ গড়ে ওঠে না। কারণ –

[1] স নদী দীর্ঘ হয় না, তাদের উপনদীর সংখ্যা কম থাকে ও তাদের মধ্য ও নিম্নপ্রবাহ অনতিদীর্ঘ হয়।

[2] মোহানার কাছে প্রবল সমুদ্র স্রোত থাকলে, সমুদ্র গভীর ও উন্মুক্ত এবং সমুদ্রে জোয়ারভাটার প্রকোপ বেশি হলে বদ্বীপ গড়ে ওঠে না।

[3] এ ছাড়া যেসব নদীতে বায়ুপ্রবাহ নদীস্রোতের দিকে চালিত হয় ও নদীতে ক্ষয়কার্য কম হয় সেখানে নদীতে পলির অভাব হয়, ফলে মোহানায় পলি সঞ্চয় কম হয় এবং বদ্বীপ গড়ে ওঠে না।

  • নদী কী কী প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্য করে?

উত্তর:  নদী প্রধানত পাঁচটি পদ্ধতির মাধ্যমে ক্ষয়কার্য করে থাকে। যথা—

[1] অবঘর্ষণজনিত ক্ষয়: নদীখাতের সঙ্গে নদীবাহিত প্রস্তরখণ্ডের সংঘর্ষের ফলে ক্ষয়।

[2] ঘর্ষণজনিত ক্ষয় : নদীবাহিত প্রস্তরখণ্ডগুলি একটি অন্যটির সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে বা নিজেদের মধ্যে ঠোকাঠুকিতে ভেঙ্গে গিয়ে প্রস্তরখণ্ড এবং অবশেষে বালুকণায় পরিণত হয়।

[3] অন্যান্য পদ্ধতি: নদীর জলপ্রবাহের ধাক্কায় নদীপথের অপেক্ষাকৃত কোমল ও অসংলগ্ন প্রস্তরখণ্ড স্থানচ্যুত হয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। অনেকসময় রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নদীবাহিত প্রস্তরখণ্ডগুলি দ্রবীভূত বা বিয়োজিত হয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এ ছাড়া 7 নদীর জলের বুদবুদের মধ্যেকার বাতাসের প্রচণ্ড = চাপে নদীগর্ভের শিলাস্তর চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

  1. নদী কী কী প্রক্রিয়ায় তার বোঝা বহন করে?

উত্তর: প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নদী তার বোঝা বহন করে। যথা

[1] টান বা আকর্ষণ প্রক্রিয়া: নদীবাহিত বড়ো বড়ো প্রস্তরখণ্ড নদীস্রোতের টান বা আকর্ষণে নদীর তলদেশ দিয়ে গড়াতে গড়াতে এগিয়ে চলে।

[2] লম্ফদান ও ভাসমান প্রক্রিয়া: নদীবাহিত বড়ো বড়ো প্রস্তরখণ্ডের সঙ্গে তলদেশের শিলাখণ্ড ঠোক্কর খেয়ে লাফাতে লাফাতে এগিয়ে চলে। অনেকসময় ছোটো ছোটো প্রস্তরখণ্ড নদীর স্রোতের সঙ্গে ভাসমান অবস্থায় পরিবাহিত হয়।

[3] দ্রবণ প্রক্রিয়া : নদীতে অনেকসময় প্রস্তরখণ্ড = জলে দ্রবীভূত অম্লের সাহায্যে বিয়োজিত হয়ে তা জলস্রোতের সঙ্গে বাহিত হয়ে থাকে।

  1. শাখানদী বদ্বীপ অঞ্চলে গড়ে ওঠার কারণ কী?

উত্তর: শাখানদী বদ্বীপ অঞ্চলে দেখা যায়, কারণ—

[1] নদীর নিম্ন স্রোত বা বদ্বীপ প্রবাহে ভূমির ঢাল অত্যন্ত কমে যাওয়ায় নদীর স্রোতের বেগও কমে যায়।

[2] ফলে, অত্যধিক পলি সঞ্চিত হয়ে নদীতে বড়ো বড়ো চড়ার সৃষ্টি হয়।

[3] এইসব চড়া, পলির বাঁধ এবং কঠিন শিলা এড়িয়ে চলার জন্য নদী বিভিন্ন শাখাপ্রশাখায় বিভক্ত হয়ে প্রবাহিত হয় যেগুলিকে শাখানদী বলে।

  1. বিভিন্ন প্রকার বদ্বীপের শ্রেণিবিভাগ করো?

উত্তর: আকৃতি অনুসারে পৃথিবীর যাবতীয় বদ্বীপকে নিম্নলিখিত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা— (1) ধনুকাকৃতির বদ্বীপ: যেসব বদ্বীপ সমুদ্রের দিকে বাংলা মাত্রাহীন ‘ব’ বা ধনুকের মতো বেঁকে গড়ে ওঠে এবং উপকূল বরাবর দু-দিকে প্রসারিত হতে থাকে তাকে ধনুকাকৃতির বদ্বীপ বলে। গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র, নীল, পো, হোয়াংহো প্রভৃতি নদীর বদ্বীপ এই জাতীয় ৷

[2] তীক্ষ্ণাগ্ন বদ্বীপ : যেসব বদ্বীপ করাতের দাঁতের তীক্ষ্ণ অগ্রভাগের মতো সমুদ্রের দিকে প্রসারিত তাকে তীক্ষ্ণাগ্র বদ্বীপ বলে। ইটালির তাইবার নদীর বদ্বীপ এই জাতীয়।

[3] পঙ্কীপাদ বদ্বীপ: যেসব বদ্বীপ সমুদ্রের দিকে পাখির পায়ের আঙুলের মতো দীর্ঘ ও সংকীর্ণ আকারে প্রসারিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ এই জাতীয়.

  1.  সুন্দরবন অঞ্চলে পৃথিবীব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব লেখো?

উত্তর: পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে সুন্দরবন অঞ্চলের উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি এমনকি বসবাসকারী মানুষ এক ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। যেমন—

[1] উন্নতা বৃদ্ধির ও সমুদ্র জলপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব: বিশ্ব উষ্মায়নের কারণে সমুদ্র জলপৃষ্ঠের উন্নতা বৃদ্ধিজনিত কারণে সুন্দরবনের জলজ বাস্তুতন্ত্র বিপন্নতার মুখে। এ ছাড়াও সমুদ্র জলপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিজনিত কারণে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, উপকূল ক্ষয় ইত্যাদি ঘটছে ও অনেক দ্বীপ জলের নীচে নিমজ্জিত হচ্ছে।

[2] ঘূর্ণবাত ও মৌসুমি বৃষ্টিপাতের প্রভাব : সুন্দরবন = একটি ঘূর্ণবাত অধ্যুষিত অঞ্চল। এখানে প্রায়শ = ঘূর্ণবাতের আগমন ঘটে। যেমন সাম্প্রতিককালে সৃষ্ট আয়লা ঝড়ে এখানকার ব্যাপক সংখ্যক উদ্ভিদ, প্রাণী. ও জনবসতি ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে এখানকার নদী, নালা, খাল, বিল প্রভৃতিতে জলস্ফীতির ফলে সৃষ্ট বন্যা এখানে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করছে।

[3] সমুদ্রজলের লবণতা বৃদ্ধি : বিগত কয়েক দশক ধরে এখানকার সমুদ্রজলের লবণতা বৃদ্ধি ম্যানগ্রোভ অরণ্য, জলজ বাস্তুতন্ত্র ও কৃষির ব্যাপকভাবে ক্ষতি করছে।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্ন:

  1. নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে ভূমিরূপগুলির সচিত্র ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর: ঊর্ধ্ব বা পার্বত্য প্রবাহে ভূমির ঢাল প্রচণ্ড বেশি ও বন্ধুর থাকে বলে এখানে নদীর প্রধান কাজ ক্ষয়কার্য। পাশাপাশি এখানে বহনকার্যও চলতে থাকে। নদীর এই ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট প্রধান ভূমিরূপগুলি হল—

[1] গিরিখাত:

উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল খুব বেশি ই থাকে বলে নদী প্রবলবেগে নীচে থামতে থাকে এবং ক্ষয় ক্ষমতাও অধিক হয়। এইসময় নদীর প্রবল স্রোতের আঘাতে অধিক নিম্নক্ষয় ও সামান্য পার্শ্বক্ষয়ের দ্বারা নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয় এবং ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো গভীর খাতের সৃষ্টি হয়। একে গিরিখাত বা গিরিসংকট বলে।

[2] ক্যানিয়ন:

শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবে নদীর পার্শ্বক্ষয় একেবারেই হয় না বলে শুধুমাত্র নিম্নক্ষয়ের দ্বারা শিলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলি আরও গভীর ও সংকীর্ণ উপত্যকার সৃষ্টি করে। এই ইংরেজি “I” অক্ষরের মতো গভীর গিরিখাতকে এবং ক্যানিয়ন বলে।

[3] কৰ্তিত শৈলশিরা : পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রবল স্রোতের আঘাতে ক্ষয়প্রাপ্ত পর্বতের অভিক্ষিপ্তাংশ বা শৈলশিরাগুলিকে কর্তিত শৈলশিরা বলে।

[4] শৃঙ্খলিত শৈলশিরা : পার্বত্য অঞ্চলে নদীর আঁকাবাঁকা গতিপথে শৈলশিরাগুলি একটি অপরটিকে আড়াল করে রাখলে সেইসব নদীর পাড় বা শৈলশিরাগুলিকে শৃঙ্খলিত শৈলশিরা বলে।

[5] জলপ্রপাত: নদীর পার্বত্য প্রবাহে ঢালের তারতম্যের কারণে নদীর জলরাশি ওপর থেকে নীচে সবেগে আছড়ে পড়লে, তাকে জলপ্রপাত বলে।

[6] মথকূপ : নদীর পার্বত্য প্রবাহে নদীখাতের তলদেশে বর্তুলাকৃতির যে গর্তের সৃষ্টি হয়, তাকে মন্থকূপ বা পটহোল বলে।

[7] প্রপাতকূপ:  জলপ্রপাতের তলদেশে যেখানে জলস্রোতের সঙ্গে প্রস্তরখণ্ড প্রবল বেগে এসে পড়ে সেখানে প্রচণ্ড আঘাতে বিশালাকার হাঁড়ির মতো দেখতে গর্তের সৃষ্টি হয়, যেগুলিকে প্রপাতকূপ বা প্লাঞ্জপুল বলে।

demo-attachment-1075-Mask-Group-45@2x

Taylor Life in Other Word

When, while the lovely valley teems with vapor around me, and the meridian sun strikes the upper surface of the impenetrable foliage of my trees, and but a few stray gleams steal into the inner sanctuary, I throw myself down among the tall grass by the trickling stream; and, as I lie close to the earth, a thousand unknown plants are noticed by me: when I hear the buzz of the little world among the stalks, and grow familiar with the countless indescribable forms of the insects and flies, then I feel the presence of the Almighty, who formed us in his own image, and the breath of that universal love which bears and sustains us, as it floats around us in an eternity of bliss; and then, my friend, when darkness overspreads my eyes, and heaven and earth seem to dwell in my soul and absorb its power, like the form of a beloved mistress, then I often think with longing, Oh, would I could describe these conceptions, could impress upon paper all that is living so full and warm within me, that it might be the mirror of my soul, as my soul is the mirror of the infinite God!

O my friend — but it is too much for my strength — I sink under the weight of the splendor of these visions! A wonderful serenity has taken possession of my entire soul, like these sweet mornings of spring which I enjoy with my whole heart. I am alone, and feel the charm of existence in this spot, which was created for the bliss of souls like mine.

I am so happy, my dear friend, so absorbed in the exquisite sense of mere tranquil existence, that I neglect my talents. I should be incapable of drawing a single stroke at the present moment; and yet I feel that I never was a greater artist than now.

When, while the lovely valley teems with vapor around me, and the meridian sun strikes the upper surface of the impenetrable foliage of my trees, and but a few stray gleams steal into the inner sanctuary, I throw myself down among the tall grass by the trickling stream; and, as I lie close to the earth, a thousand unknown plants are noticed by me: when I hear the buzz of the little world among the stalks, and grow familiar with the countless indescribable forms of the insects and flies, then I feel the presence of the Almighty, who formed us in his own image, and the breath of that universal love which bears and sustains us, as it floats around us in an eternity of bliss; and then, my friend, when darkness overspreads my eyes, and heaven and earth seem to dwell in my soul and absorb its power, like the form of a beloved mistress, then I often think with longing, Oh, would I could describe these conceptions, could impress upon paper all that is living so full and warm within me.

demo-attachment-1248-Mask-Group-48@2x

develop your Idea in Word

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Egestas purus viverra accumsan in nisl nisi. Arcu cursus vitae congue mauris rhoncus aenean vel elit scelerisque. In egestas erat imperdiet sed euismod nisi porta lorem mollis. Morbi tristique senectus et netus. Mattis pellentesque id nibh tortor id aliquet lectus proin. Sapien faucibus et molestie ac feugiat sed lectus vestibulum. Ullamcorper velit sed ullamcorper morbi tincidunt ornare massa eget. Dictum varius duis at consectetur lorem. Nisi vitae suscipit tellus mauris a diam maecenas sed enim. Velit ut tortor pretium viverra suspendisse potenti nullam. Et molestie ac feugiat sed lectus. Non nisi est sit amet facilisis magna. Dignissim diam quis enim lobortis scelerisque fermentum. Odio ut enim blandit volutpat maecenas volutpat. Ornare lectus sit amet est placerat in egestas erat. Nisi vitae suscipit tellus mauris a diam maecenas sed. Placerat duis ultricies lacus sed turpis tincidunt id aliquet.